আজকের দিন তারিখ ২৬শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার, ১১ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
স্পোর্টস অনিশ্চয়তায় প্রথম অনূর্ধ্ব-১৯ নারী বিশ্বকাপের আসর

অনিশ্চয়তায় প্রথম অনূর্ধ্ব-১৯ নারী বিশ্বকাপের আসর


পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: মে ১৬, ২০২০ , ৭:৩০ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: স্পোর্টস


দিনের শেষে ডেস্ক : গেল বছর ১৪ অক্টোবর প্রথমবারের মতো অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল আইসিসি। এই আসরের আয়োজক হিসেবে বিশ্ব ক্রিকেট সংস্থা বাংলাদেশের নাম ঘোষণা করে। এরই পর শুরু হয়েছিল এই আসর আয়োজনের জন্য নানা কার্জক্রম। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নারী বিভাগ প্রথম এই আয়োজনের অংশিদার হতে সব রকম উদ্যোগ নিতে শুরু করে। সবচেয়ে বড় যে বিষয়টি ছিল বাংলাদেশ গঠন করেছিল অনূর্ধ-১৯ নারী দল। বিশেষ করে এই আসরটি নারী ক্রিকেটের উন্নতি ও দেশের নারীদের এগিয়ে নিতে দারুণ সহায়ক হবে বলেই মনে করা হচ্ছিল। তবে বিশ্ব জুড়ে করোনা ভাইরাসের ভয়াবহ থাবা থেকে বাদ যাচ্ছে না নয়া এই আসর। এরই মধ্যে আয়োজন নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। ২০২১ সালের শুরুতেই এই আসর বাংলাদেশে হওয়ার কথা ছিল। বর্তমান পরিস্থিতিতে তা অকেটাই অসম্ভব বলে মনে করছেন বিসিবির নারী বিভাগের চেয়ারম্যান শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল। দিনের শেষে প্রতিনিধিকে তিনি বলেন, ‘বিশ্বের যে পরিস্থিতি তাতেই আইসিসি-ই এই (অনূর্ধ্ব-১৯ নারী বিশ্বকাপ) আসর নিয়ে সব রকম কার্যক্রম বন্ধ রেখেছে। তাই আমাদেরও এখন তেমন কিছু করার নেই। হ্যাঁ, পিছিয়ে তো যাচ্ছেই, কবে আয়োজন হবে তা পরিস্থিতি ভালো না হওয়া পর্যন্ত বলা যাচ্ছে না।’ নারী এশিয়া কাপে সালমা খাতুনদের হাত ধরে এসেছিল বাংলাদেশের প্রথম কোনো টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ান হওয়ার গৌরব। তবে জাতীয় দল নারী বিশ্বকাপে তেমন ভালো ফলাফল এখনো আনতে পারেনি। এর কারণ হিসেবে ধরা হচ্ছিল পর্যাপ্ত ভালো মানের নারী ক্রিকেটার উঠে না আসাকে। যে কারণে অনূর্ধ্ব-১৯ নারী দল গঠন হলে ভবিষৎতের জন্য অনেক ক্রিকেট তৈরি হতো। কিন্তু হঠাৎ করেই এই আয়োজন  থেমে যাওয়ায় বন্ধ হয়ে গেছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী দলটি তৈরির কাজও। এ নিয়ে  হতাশ নারী বিভাগের চেয়ারম্যান। শফিউল আলম নাদেল বলেন, ‘অবশ্যই হতাশা তো আছেই। কারণ একটি দারুণ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী দল আমরা তৈরি করতে পারতাম। যেখান থেকে আমরা পেতাম ভবিষ্যতের সালমা, জাহানারা, রুমানাদের মতো ক্রিকেটার। যার নারী ক্রিকেটকে এগিয়ে নিতে সক্ষম হতো। কিন্ত আইসিসিই যেহেতু এই আসরের কার্যক্রম বন্ধ রেখেছে আমাদেরও সুযোগ নেই চালিয়ে যাওয়ার। কারণ বাংলাদেশেও বর্তমানে সব ধরনের ক্রিকেট বন্ধ রয়েছে। তাই কিভাবে অনূর্ধ্ব-১৯ নারী দলের প্রস্তুতি আমরা সারবো! সব কিছু মিলিয়ে বলবো ক্ষতি তো হলোই আমাদের। এখন অপেক্ষা, দেখি পরিস্থিতি ভালো হলে আইসিসি ও বিসিবি কি নির্দেশনা দেয়। আপাতত সব কিছু বন্ধ করে রাখতে হচ্ছে।’
বিসিবির নারী বিভাগের চেয়ারম্যান আগেই জানিয়েছেন করোনা পরিস্থিতির কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হচ্ছে বাংলাদেশ নারী দলের। তিনি বলেন, ‘দেখেন ছেলেদের সারা বছরই খেলা থাকে। তারা কোনো না কোন আসরে খেলে। এমনকি ঘরোয়া ক্রিকেটও পর্যাপ্ত আছে। কিন্তু মেয়েদের ক্রিকেট কিন্তু দেশে ও আন্তর্জাতিকভাবে খুব একটা আয়োজন হয়না। আর করোনা ভাইরাসের কারণে নারী দলের যে সব ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক ম্যাচ পিছিয়ে গেছে তা পুনরায় আয়োজনও বেশ কঠিন। এছাড়াও করোনায় নারী দলের নিরাপত্তার জন্য সব রকম ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলেই জানিয়েছেন শফিউল আলম। তিনি বলেন, ‘অবশ্য নারী দলের নিরাপত্তার কথা ভাবা হয়েছে। আমরা শুরু থেকেই প্রতিটি ক্রিকেটারের জন্য একটি গাইড লাইন দিয়ে দিয়েছি। তারা সেগুলো  মেনে চলছে। শুধু তাই নয় তারা যদি কোনো ধরনের সমস্যা বোধ করে, সঙ্গে সঙ্গে আমাদের জানানোর জন্য নিদের্শ দেয়া আছে। আমরা এমন কিছু হলে সব রকম পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত আছি।’