অবসরের ইঙ্গিত দিলেন মাহমুদউল্লাহ
পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: অক্টোবর ২৮, ২০২৩ , ১২:৪৭ অপরাহ্ণ | বিভাগ: স্পোর্টস
দিনের শেষে প্রতিবেদক : হুট করেই টেস্ট ক্রিকেটটা ছেড়েছিলেন। গত বছর থেকে টি-টোয়েন্টিতেও জায়গা হচ্ছে না। দীর্ঘ ৬ মাস ওয়ানডে দলেও ছিলেন না মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। অন্যদের ব্যর্থতায় শেষ মুহূর্তে সুযোগ পেয়েছেন বিশ্বকাপ দলে। সুযোগ পেয়েই সেটা কাজে লাগিয়েছেন ৩৭ বছর বয়সী মাহমুদউল্লাহ। তবে বিশ্বকাপের মঞ্চেই যেন অবসরের ইঙ্গিত দিয়ে দিলেন টাইগারদের নির্ভরযোগ্য এই ব্যাটার। আইসিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে মাহমুদউল্লাহ জানিয়েছেন, এটিই হতে চলেছে তার শেষ বিশ্বকাপ। একই সঙ্গে মনে করিয়ে দিয়েছেন, দ্রুতই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলবেন তিনি।
২০২৭ বিশ্বকাপের সময় রিয়াদের বয়স হবে ৪১। সেসময় তার না খেলাটাই স্বাভাবিক। তবে এরপরেও কেমন হবে লাল-সবুজ জার্সিতে তার যাত্রা সেই আভাসও পাওয়া গেল এদিন। মাহমুদউল্লাহ বলেন, ‘সত্যি বলতে, আমি আমার শেষ বিশ্বকাপ খেলছি। আমি বাংলাদেশ দলের পক্ষে আর কতদিন খেলব তা নির্ভর করছে আমার পারফরম্যান্স ও শরীরিক ফিটনেসের ওপর। হয়ত কয়দিন পরে বা দ্রুতই আমি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানাব।’
আইসিসির ভিডিওতে মাহমুদউল্লাহ বলেন, ‘দেশের হয়ে অনেকদিন ধরেই খেলছি আমি। ২০০৭ সালে আমার অভিষেক হয় বাংলাদেশের জার্সিতে। এরপর অনেক সময় হয়ে গেলো আমি খেলছি, আইসিসি ইভেন্টে চারটি সেঞ্চুরি করতে পারায় আসলে আমি নিজেকে ভাগ্যবানই মনে করি।’
মাহমুদউল্লাহ ক্রিকেটকে বিদায় জানালেও তার বিশ্বাস- মুস্তাফিজ, তাসকিন, লিটন-মিরাজরাই দেশের ক্রিকেটকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন। ৩৭ বছর বয়সী এই ব্যাটার বলেন, ‘বাংলাদেশের ক্রিকেটকে অবশ্যই এগিয়ে যেতে হবে। আমাদের ড্রেসিংরুমে যে প্রতিভা আছে, মোস্তাফিজ, তাসকিন, শান্ত, লিটন, মিরাজ-এরপর তারাই ধীরে ধীরে সিনিয়র ক্রিকেটার হবে। তারাই এরপর দলের দায়িত্ব নেবে। বাংলাদেশের কিংবদন্তি একদিন তারা হবে।’
আইসিসি ইভেন্ট মানেই যেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের চোখ ধাঁধানো পারফর্ম্যান্স। ২০১৫ বিশ্বকাপ, ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর ২০২৩ বিশ্বকাপ। বয়সের ভিড়ে বৈশ্বিক আসরেও ধার কমেনি রিয়াদের ব্যাটে। বিশ্বমঞ্চে নিজেদের সবশেষ ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষেও পেয়েছেন নৈপুণ্যে সাজানো এক সেঞ্চুরি। আর রিয়াদের শতকে বড় হারের লজ্জা এড়িয়েছে বাংলাদেশ।
বিশ্বকাপের চলতি আসরে দলের সেরা পারফর্মার মাহমুদউল্লাহ। এক সেঞ্চুরিতে দলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। ১৯৮ রান নিয়ে আছেন লিটনেরও ওপরে।
২০০৭ সালে বাংলাদেশের জার্সিতে অভিষেকের পর থেকে এখন পর্যন্ত ২২৫টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলছেন মাহমুদউল্লাহ। তাতে ৪ সেঞ্চুরি ও ২৭ হাফ সেঞ্চুরিতে রান করেছেন ৫২১৮। এছাড়াও ৫০টি টেস্টে ২৯১৪ ও ১২৫ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ২১২২ রান করেছেন তিনি।