অভিযোগ ‘প্রমাণের মত’ তথ্য আসলাম দিয়েছেন, দাবি পুলিশের
পোস্ট করেছেন: admin | প্রকাশিত হয়েছে: জুন ৯, ২০১৬ , ১:৪৬ অপরাহ্ণ | বিভাগ: /////হাইলাইটস/////,রাজনীতি
কাগজ অনলাইন প্রতিবেদক: ইসরায়েলের রাজনীতিবিদের সঙ্গে মিলে বাংলাদেশে সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রের মামলায় গ্রেপ্তার বিএনপি নেতা আসলাম চৌধুরী তার বিরুদ্ধে ‘অভিযোগ প্রমাণের মত’ অনেক তথ্যই জিজ্ঞসাবাদে দিয়েছেন বলে দাবি করেছে পুলিশ।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “তিনি আমাদের অনেক তথ্য দিয়েছেন, যাতে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের পক্ষে যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণ পাওয়া গেছে।”
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরীকে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় জিজ্ঞসাবাদের জন্য বুধবার দ্বিতীয় দফায় পাঁচ দিনের রিমান্ডে পায় পুলিশ। এই মামলা হওয়ার আগে ৫৪ ধারায় সন্দেহভাজন হিসেবেও তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল।
রিমান্ডে আসলামের কাছে কী তথ্য পাওয়া গেছে- সে বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে মনিরুলকে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা।
জবাবে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, “ওখানে (ভারতে) কার কার সঙ্গে বৈঠক হয়েছে, কারা কারা জড়িত ছিল, কাদের কাদের ক্লিয়ারেন্স নিয়ে তিনি সেখানে গিয়েছেন, কারা কারা তাকে উৎসাহিত করেছেন এই কাজে, পরে কী পরিকল্পনা ছিল- অনেক কিছু তিনি বলেছেন।”
মনিরুল বলেন, এসব তথ্য যাচাই-বাছাই করে সত্যতা পাওয়া গেলে, অর্থাৎ, যাদের নাম রিমান্ডে এসেছে, তাদের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঘটনাক্রম
চট্টগ্রামের নেতা আসলাম চৌধুরীকে মাস খানেক আগে বিএনপির নতুন কমিটিতে যুগ্ম মহাসচিব হিসেবে মনোনীত করেন খালেদা জিয়া।
আর লিকুদ পার্টির সদস্য মেন্দি এন সাফাদি ইসরায়েলের বর্তমান সরকারের উপমন্ত্রী এম কে আয়ুব কারার একজন সাবেক উপদেষ্টা। তিনি নিজের নামে মেন্দি এন সাফাদি সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল ডিপ্লোমেসি অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস নামে একটি প্রতিষ্ঠান চালান।
সম্প্রতি ভারতের এক সম্মেলনে তাদের দুজনের সাক্ষাতের ছবি ও খবর গণমাধ্যমে এলে আলোচনার সূত্রপাত হয়।
আওয়ামী লীগ নেতারা অভিযোগ করেন, শেখ হাসিনা সরকারকে উৎখাত করতে বিএনপি ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েল এবং দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সঙ্গে মিলে ‘ষড়যন্ত্র’ করছে।
ইসরায়েল কিংবা মোসাদের সঙ্গে কোনো ধরনের ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আসলামের ওই সফর ছিল ‘ব্যক্তিগত’।
এ নিয়ে আলোচনার মধ্যেই ১৫ মে ঢাকার খিলক্ষেত থেকে আসলামকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর তাকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে সাত দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
এরপর ২৬ মে গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক গোলাম রব্বানি গুলশান থানায় আসলামের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলাটি করেন, যেখানে ফৌজদারি দণ্ডবিধির ১২০/বি (রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র), ১২১/এ (রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার ষড়যন্ত্র) এবং ১২৪/এ (রাষ্ট্রদ্রোহ) ধরায় অভিযোগ আনা হয়।
পুলিশ প্রধান একেএম শহীদুল হক মামলা হওয়ার দিন সাংবাদিকদের বলেন, মেন্দি এন সাফাদির সঙ্গে ‘চুক্তি করার কথা’ আসলাম পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ‘স্বীকার করেছেন’।