আজকাল আওয়ামী লীগ নেতারা মিথ্যার কোরাস গাইছেন: রিজভী
পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২২ , ২:৪৬ অপরাহ্ণ | বিভাগ: রাজনীতি
দিনের শেষে ডেস্ক : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘আজকাল আওয়ামী লীগ নেতারা মিথ্যার কোরাস গাইছেন।’ শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে এগ্রিকালচারিস্ট অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এ্যাব) আয়োজিত ‘জ্বালানি তেল, সার ও নিত্যপ্রয়োজনী দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি: বিপর্যস্ত কৃষক, কৃষিখাত ও জনজীবন’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। রুহুল কবির রিজভী বলেন, বিএনপি মহাসচিব আওয়ামী লীগ আমলের সঙ্গে পাকিস্তানের তুলনা করেছেন এতে তাদের খুব লেগেছে। ওবায়দুল কাদের সাহেব আপনাদের আমলে তো বাংলাদেশে গুমের কথা জানতে পারলাম। পাকিস্তান আমলেও এ কথা শুনিনি। তো পাকিস্তান আমলের কথা শুনলে আপনাদের এত লাগে কেন?
‘জ্বালানি ও দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি এবং নূরে আলম, আ. রহিম, শাওন হত্যার প্রতিবাদে সারাদেশে দলটির প্রতিবাদ সমাবেশে হাজার হাজার মানুষ উপস্থিত হয়ে প্রতিবাদ জানাচ্ছে। আর এটি দেখে সরকার এখন বিএনপির প্রতিবাদ সমাবেশ প্রতিহত করতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও পুলিশের সমন্বয়ে নতুন কৌশল নিয়েছে।’
তিনি বলেন, প্রথমে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর আওয়ামী লীগের লোকজন হামলা করে পুলিশ দাঁড়িয়ে দেখে। যদি তারা না পারে তখন পুলিশ তাদের পক্ষ হয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করে, গুলি করে। আবার লন্ডনে যেন প্রধানমন্ত্রীর সফরের সময় প্রতিবাদ না হয় এজন্য যুক্তরাজ্য বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কয়ছর আহমেদের গ্রামের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। যা সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের নির্দেশেই হয়েছে। তবে এভাবে আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না।
‘সংকটকালে খাদ্য উৎপাদন অনিবার্য। আজকে মহামারির কারণে দেশে খাদ্য সংকটের সম্ভাবনা রয়েছে। আসলে বাংলাদেশ বরাবরই দুর্ভিক্ষের পরিস্থিতি বিরাজ করেছে। ক্ষুধা যে কত ভয়ংকর হতে পারে- যে মা তার সন্তানকে পর্যন্ত বিক্রি করছে। অথচ ক্ষুধা নিয়ে রাজনীতি এবং মানুষের সঙ্গে নির্মম উপহাস করা হচ্ছে।’
রিজভী বলেন, দেশের প্রত্যন্ত এলাকার কৃষি উন্নয়নে ক্ষুদ্র ঋণ কার্যক্রম গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ৭৮/৭৯ সালে গ্রামীণ উন্নয়নে সে সময় ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছিলেন। সেই থেকে শুরু হলো গ্রামের সমৃদ্ধি। আসলে একজন জনদরদী শাসক হলেই কেবল জনগণের কষ্ট অনুভব করে তাদের জন্য কল্যাণমূলক কাজ করা যায়।
‘এই সরকার আজীবন ক্ষমতায় থাকতে চান বলেই নিজেদের লোককে দিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান বাতিল করেছে। অথচ সেই আইনে বলা ছিল আরও দুইবার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে পারে। কিন্তু সেটাও তারা বাতিল করেছে। তাদের যেটাতে সুবিধা হয়েছে সেটি নিয়েছে। কারণ প্রধানমন্ত্রীর কথার সঙ্গে কাজের মিল নেই। তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে সারাদেশে জ্বালাও-পোড়াও করলো আবার তারাই বাতিল করলো। ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় থাকাকালে শেখ হাসিনা বলেছিলেন বিরোধী দলে গেলে হরতাল দেবে না, আবার সেটি করেছেন।’