আঠারো কোটি মানুষের জন্য এক হাজার আইসিইউ
পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: জুন ৮, ২০২০ , ৫:১৭ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: /////হাইলাইটস/////
দিনের শেষে প্রতিবেদক : করোনা চিকিৎসার জন্য সরকারি বেসরকারি হাসপাতালে মোট বরাদ্দকৃত তিন’শ নিরানব্বইটি আইসিইউ থাকলেও ক্রমবর্ধমান রোগীর চাপে তা নগণ্য। অথচ বিভিন্ন হাসপাতালে সবকিছু ঠিকঠাক হয়েও চালুর অপেক্ষায় আছে প্রায় চল্লিশটি আইসিইউ। আর সরকারি বেসরকারি হাসপাতাল মিলে প্রায় আঠারো কোটি মানুষের এই দেশে আইসিইউ এর সংখ্যা মাত্র এক হাজার।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনাকালে আইসিইউ নিয়ে টানা হেঁচড়ায় বেরিয়ে এসেছে দেশের স্বাস্থ্য খাতের এই দৈন্যদশা। করোনা প্রভাবে নতুন যে কয়েকটি আইসিইউ স্থাপনের পরিকল্পনা পাশ হয়েছে তাও আগষ্টের আগে বাস্তবায়ন সম্ভব নয়- বলছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
করোনাকালে এসে স্বজনহারানো বেদনার গল্প জমছে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। আইসিইউ এর একটি বেডের জন্য হাকাকার। এদিক ওদিকে দিশেহারা হয়ে ঘুরে এ্যাম্বুলেন্সই প্রাণ হারিয়েছেন অনেক রোগী।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেয়া তথ্য মতে, দেশে কোভিড মোকাবিলায় সরকারি বেসরকারি হাসপাতালে মোট বরাদ্দকৃত আইসিইউর সংখ্যা ৩৯৯। এর মধ্যে ২৫৬টি ঢাকায়, ১৩৪ টি অন্যান্য জেলায়। প্রতিদিন যে হারে রোগী বাড়ছে তাতে প্রয়োজনে আইসিইউ পেতে অপেক্ষা করতে হয় সুস্থ কিংবা মৃত্যুজনিত কারণে সিট খালি হওয়া পর্যন্ত।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কন্ট্রোল রুম সহকারি পরিচালক ডা. আয়েশা বলেন, করোনায় যারা সুস্থ হয়ে গেছে, তারা বেড খালি করে দিলে আরেকজনকে আইসিইউতে ট্রান্সফার করা যায়।
দেশে মোট আইসিইউ শয্যার সংখ্যা প্রায় এক হাজার। এর মধ্যে ঢাকায় প্রায় চারশতাধিক ও ঢাকার বাইরে বাকি ছয়’শ। অথচ অধিকাংশ কাজ শেষ করেও চালুর অপেক্ষায় বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে প্রায় ৪০টি আইসিইউ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন বছরের পর বছর অবহেলায় থাকা এই স্বাস্থ্যখাতের আসল চিত্র ফুটে উঠেছে এই করোনা সময়ে।
অধ্যাপক ডা. রিদওয়ানউর রহমান বলেন, এই জিনিসগুলো আমাদের পরিকল্পনার অভাব। আমার মনে হয়, যারা বাজেট করেন তারা স্বাস্থ্যটাকে খেয়াল করতে হবে। এদিকে করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় তড়িঘড়ি করে যে আইসিইউ স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে এগুলো সেবাদানের উপযোগী করতে সময় লাগবে আরো অন্তত তিন মাস। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, এই কোভিড সংকট আসার আগে, অন্তত সরকারি হাসপাতালের আইসিইউর সংখ্যা ডাবল করার জন্য কর্মসূচি নিয়েছিলাম। এছাড়া বাড়ানো হচ্ছে অক্সিজেন সরবরাহ ব্যবস্থা।