আজকের দিন তারিখ ২৫শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বুধবার, ১০ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
/////হাইলাইটস///// আনসারীর জানাজায় জনসমুদ্র, প্রশাসনের অসহায়ত্ব প্রকাশ

আনসারীর জানাজায় জনসমুদ্র, প্রশাসনের অসহায়ত্ব প্রকাশ


পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: এপ্রিল ১৮, ২০২০ , ৩:১৫ অপরাহ্ণ | বিভাগ: /////হাইলাইটস/////


দিনের শেষে প্রতিবেদক : সেশবরেণ্য ইসলামী চিন্তাবিদ ও আলোচক আল্লামা মাওলানা যুবায়ের আহমদ আনসারীর জানাজায় চলমান লকডাউন ভেঙেই লাখো মানুষের সমাগম হয়েছে। বিভিন্ন স্থান থেকে ট্রাকে করে মানুষ এসে জড়ো হন বেড়তলায়। মাদরাসা মাঠে জায়গা না হওয়ায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের অন্তত দুই কিলোমিটারজুড়ে জানাজায় অংশ নেয় মানুষ। এতে বিঘ্নিত হয়েছে সামাজিক দূরত্ব। শনিবার সকালে জামিয়া রহমানিয়া বেড়তলা মাদরাসা প্রাঙ্গণে যায়গা স্বল্পতায় একদিকে বিশ্বরোড মোড় হয়ে সরাইলের মোড় পর্যন্ত অন্যদিকে আশুগঞ্জের কাছাকাছি গিয়ে ঠেকে লোকজন। এ ছাড়া ওই এলাকার বিভিন্ন ভবনের ছাদেও মানুষের উপস্থিতি দেখা যায়। সেখানে উপস্থিত ‍কিছু পুলিশ ছিল একপ্রকার নীরব দর্শক। মাওলানা জুবায়ের আহমেদ আনসারীর জানাজায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জামিয়া ইসলামিয়া ও ইউনুছিয়া মাদরাসার অধ্যক্ষ মুফতি মুরাবারক উল্লাহ, সাইখুল হাদিস আল্লামা সাজিদুর রহমান, বিশিষ্ট আলেম আল্লামা হাসান জামির, খেলাফত মজলিশের মহাসচিব মুফতি মাহফুজুল হক, যুব মজলিশের সভাপতি মাওলানা মামুনুল হক প্রমুখ অংশ নেন। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল-মামুন সরকার এ প্রসঙ্গে বলেন, এটা থেকে বুঝতে পারা যায় যে আমাদের মাঝে সচেতনতার অভাব রয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ দিয়ে এমন পরিস্থিতি সামাল দেওয়া মোটেও সম্ভব ছিলো না। সরাইল থানার ওসি মো. শাহাদাৎ হোসেন টিটু লাখো মানুষ সমাগমের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছাড়াও ঢাকা থেকে লোকজন আসে। আমরা চিন্তাও করতে পারিনি যে এত লোক হবে। তিনি বলেন, লোকজন আসতে শুরু করার পর আমাদের আর কিছু করার ছিল না। তবে বলার পর উপস্থিত লোকজন সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে দাঁড়ান। প্রসঙ্গত, শুক্রবার বিকাল ৫টা ৪৫ মিনিটে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার মার্কাসপাড়ার নিজ বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন যুবায়ের আহমেদ আনসারী। (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৬ বছর। তিনি স্ত্রী, তিন ছেলে, চার মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। মাওলানা যুবায়ের আহমেদ বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের নায়েবে আমির এবং বেড়তলা মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ ছিলেন। এ ছাড়া তিনি একাধিক মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করে গেছেন। ইসলামী আলোচক হিসেবে তার খ্যাতি বিশ্বজুড়ে।