আপাতত বাড়ছে না ভোজ্যতেলের দাম
পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: জানুয়ারি ১৯, ২০২২ , ৪:২২ অপরাহ্ণ | বিভাগ: অর্থ ও বাণিজ্য
দিনের শেষে প্রতিবেদক : ভোজ্যতেলের দাম আপাতত বাড়ছে না বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। এ সময় আগামী দুই সপ্তাহ বাজার পর্যালোচনা করে তারপর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানান তিনি। আজ বুধবার সকালে সাংবাদিকদের এ কথা জানান বাণিজ্যমন্ত্রী। এর আগে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ভোজ্যতেল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। টিপু মুনশি বলেন, ‘ভারতের বড় সুবিধা তাদের ডিউটি স্ট্রাকচার আমাদের চেয়ে কম। আমাদের যেখানে ১৮ থেকে ২০ শতাংশ, সেখানে তারা ৫ শতাংশ দেয়। এসব বিবেচনা করে আমাদের দেখতে হবে। এজন্য আমি ব্যবসায়ীদের অনুরোধ করেছি একটু সময় দিতে। আমরা আগামী ৬ তারিখ, মানে ১৬ দিন পর বসে দাম বাড়ানোর প্রয়োজন হলে বাড়াব। কমানোর প্রয়োজন হলে কমাব। সবকিছু বিবেচনা করে যেটা সুবিধাজনক হয় সেটি করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘ব্যবসায়ীরা নিজেরা নিজেরা কিছু দাম বাড়িয়েছিল আমাদের না জানিয়ে। সেটাও তারা (ব্যবসায়ী) বলেছে যে কনসিডার করবে।’ আজকের আলোচনায় তেমন কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন,‘আমরা বলেছি, এখন তেলের যে দাম আছে তার থেকে কিছুটা হলেও কমাতে চেষ্টা করুন। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করব। এজন্য আন্তর্জাতিক মার্কেট, ডিউটি স্ট্রাকচার সব দেখে ১৫ দিন পর বসে সিদ্ধান্ত নেবো। সামনে রমজান, রোজার ঈদও আছে। সেজন্য ব্যবসায়ীদের অনুরোধ করেছি তারা স্বাভাবিকভাবে এলসি ওপেন করবে।’
এদিকে, বর্তমানে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৬০ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেলের দাম ১৩৬ টাকা নির্ধারিত আছে। এর আগে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বাড়ার কথা উল্লেখ করে নতুন দাম কার্যকরের দাবি জানিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠিয়েছিল বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন। পরে সেটি যাচাই-বাছাইয়ের জন্য ট্যারিফ কমিশনে পাঠায় মন্ত্রণালয়।
বাণিজ্যমন্ত্রীর সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড ট্যারিফ কমিশন, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা অধিদপ্তর, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর, ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি), বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি (এফবিসিসিআই), বাংলাদেশ ভেজিটেবল ওয়েল রিফাইনার্স এন্ড বনস্পতি মানুফ্যাকচারার্স এসোসিয়েশন, সিটি গ্রুপ, মেঘনা গ্রুপ, বসুন্ধরা গ্রুপ, টিকে গ্রুপ, এস আলম গ্রুপসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।