আজকের দিন তারিখ ২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, মঙ্গলবার, ৯ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
অর্থ ও বাণিজ্য আরবের খেজুর-চারা বেচে সোলায়মানের আয় ৪ লাখ

আরবের খেজুর-চারা বেচে সোলায়মানের আয় ৪ লাখ


পোস্ট করেছেন: delwer master | প্রকাশিত হয়েছে: আগস্ট ১৩, ২০২২ , ১১:১১ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: অর্থ ও বাণিজ্য


দিনের শেষে ডেস্ক : সৌদি আরবের খেজুর চাষ করে বছরে চার থেকে পাঁচ লাখ টাকা আয় করছেন শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলার নাগেরপাড়া ইউনিয়নের ছোটকাচনা গ্রামের সোলায়মান খান। তবে এজন্য চারা রোপণ করে তিন বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে তাকে। ইউটিউবে খেজুর বাগানের ভিডিও দেখে ২০১৯ সালের মে মাসে প্রথম বন্ধুদের মাধ্যমে সৌদি আরব থেকে বীজ সংগ্রহ করেন সোলায়মান। পরে রংপুর, গাজীপুর, নরসিংদী থেকেও সৌদির খেজুরের চারা সংগ্রহ করে বাড়ির পশ্চিম পাশের জমিতে রোপণ করেন তিনি। একে একে দুই বিঘা জমিতে ১০০ খেজুরের চারা রোপণ করা হয়। এতে প্রায় চার লাখ টাকা খরচ হয় তার। তিন বছরের মাথায় কয়েকটি গাছে খেজুর আসে। পাশাপাশি নার্সারি গড়ে তোলেন তিনি। নার্সারিতে খেজুরের চারা বিক্রি করতে শুরু করেন এ যুবক। বর্তমানে খেজুরের চারা আর খেজুর বিক্রি হচ্ছে নিয়মিত। সোলায়মান খানের বাগানের খেজুর অত্যন্ত মিষ্টি ও সুস্বাদু বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। তার খেজুর ও চারার চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। এ ব্যাপারে স্থানীয় কয়েকজন বলেন, ইউটিউব দেখে সৌদি আরব থেকে খেজুরের চারা এনে চাষ করেছেন সোলায়মান। তিন বছর কঠোর পরিশ্রম করে সফলতা পেয়েছেন। তার গাছের খেজুর মিষ্টি। তাকে দেখে অনেকেই উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন। অনেকে আসছে খেজুর ও চারা কিনতে এবং বাগান দেখতে।

এ ব্যাপারে সোলায়মান খান বলেন, এখন খেজুর বাগান থেকে বাৎসরিক আয় হচ্ছে প্রায় চার থেকে পাঁচ লাখ টাকা। তিনি জানান, ২০২০ সালে প্রথম তিনটি গাছে খেজুর ধরে। এবার ১৩/১৪টি গাছে খেজুর ধরেছে। এবার সব গাছের খেজুর গাছে থাকা অবস্থায় আগেই ঢাকার এক ক্রেতার কাছে দেড় লাখ টাকায় বিক্রি করেছেন তিনি। পাকার পর ওই ক্রেতা খেজুরগুলো নিয়ে যাবেন। তিনি খুচরা বিক্রি করেন না। এদিকে সাইজ ভেদে এক হাজার থেকে দুই হাজার টাকা করে একেকটি চারা বিক্রি করেন তিনি। এখন পর্যন্ত খেজুরের চেয়ে চারাই বেশি বিক্রি হচ্ছে তার। এ ব্যাপারে নাগেরপাড়া পরিষদের চেয়ারম্যান মোজাম্মেল খান বলেন, আমাদের ছোটকাচনার সোলায়মান সৌদি আরবের খেজুর চাষ করে সফল হয়েছে। অনেকেই তাকে দেখে উৎসাহিত হচ্ছে। এতে করে দেশে আয় বৃদ্ধি পাবে এবং খেজুরের চাহিদা কিছুটা হলেও পূরণ হবে।