আর্থিক প্রতিষ্ঠানেও সুদহার বেঁধে দেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক
পোস্ট করেছেন: delwer master | প্রকাশিত হয়েছে: মার্চ ২৯, ২০২২ , ১০:৪১ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: অর্থ ও বাণিজ্য
বাণিজ্য ডেস্ক : দেশের ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে (এনবিএফআই) উচ্চ হারে সুদ নেয়ায় বিপাকে পড়ছেন ব্যবসায়ী, উদ্যোক্তা ও ঋণগ্রহীতারা। ১৬ থেকে ১৮ শতাংশ পর্যন্ত সুদ নিয়ে থাকে এসব প্রতিষ্ঠানগুলো। তাই যৌক্তিক পর্যায় কমিয়ে আনতে ব্যাংকের মতো আর্থিক প্রতিষ্ঠানেরও ঋণের সুদহার বেঁধে দেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের ৪২০তম বোর্ড সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ব্যাংকগুলোর সর্বোচ্চ ঋণের সুদ হার ৯ হলেও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ঋণের সুদহার বেঁধে দেয়া ছিল না। তারা তাদের ইচ্ছে মতো সুদহার নির্ধারণ করছে। কোনো কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠান ঋণ দেয়ার ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ থেকে ১৮ শতাংশও সুদ নিচ্ছে। এটি বাজারের জন্য সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। তাই আর্থিক প্রতিষ্ঠানের আমানত ও ঋণ, লিজ ও বিনিয়ােগের সুদ বা মুনাফার হার যৌক্তিক পর্যায়ে আনার বিষয়ে একটি প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বোর্ড বিষয়টির সঙ্গে একমত হয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বোর্ড এ বিষয়ে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে। এখন সংশ্লিষ্টরা বিচার বিশ্লেষণ করে নির্ধারণ করবে সুদহার কত টাকায় নামিয়ে আনা যায়। এছাড়া বোর্ড রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল (ইডিএফ) এর আকার সাময়িক বাড়ানোর বিষয়ও ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানান তিনি। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে ব্যাংকে ঋণের সুদ হার ৯ শতাংশ বেঁধে দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। যা ওই বছরের এপ্রিল থেকে কার্যকর হয়। এর ফলে নতুন ও পুরোনো সব ধরনের ঋণে সুদ হার হয় ৯ শতাংশে নেমে আসে। ব্যাংক কোম্পানি আইনের ৪৫ ধারা অনুযায়ী ‘জনস্বার্থে’ এ নির্দেশনা দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। একই বছর ২৪শে সেপ্টেম্বর ক্রেডিট কার্ডের সর্বোচ্চ সুদহার বেঁধে দেয়া হয়। দেশের কোনো ব্যাংকই ক্রেডিট কার্ডে ২০ শতাংশের বেশি সুদ আদায় করতে পারবে না। যা ওই বছর ১লা অক্টোবর থেকে কার্যকর হয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির বোর্ড সভায় সভাপতিত্ব করেন। এ সময় বোর্ড সদস্যসহ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।