আজকের দিন তারিখ ২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, মঙ্গলবার, ৯ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
স্পোর্টস ইতালী-স্পেনে করোনা ছড়াতে দায়ী চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচ!

ইতালী-স্পেনে করোনা ছড়াতে দায়ী চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচ!


পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: মার্চ ৩০, ২০২০ , ১১:১০ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: স্পোর্টস


গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ইতালিয়ান ক্লাব আটলান্টার বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচ খেলতে ইতালির মিলান শহরে যায় স্প্যানিশ ক্লাব ভ্যালেন্সিয়া। ঐ ম্যাচটিতে ইতালিয়ান ক্লাবটির প্রায় ৪০ হাজার দর্শক উপস্থিত ছিল। যাদের বেশিরভাগই এসেছিল লোমবারদে প্রদেশের রাজধানী মিলান শহরের বারগামো অঞ্চল ও আশেপাশে থেকে। অন্যদিকে স্পেন থেকে শুধু ম্যাচটি দেখতে গিয়েছিল আরো ৪ হাজার দর্শক। মিলান শহরের বারগামো অঞ্চলের মেয়র জর্জিও গোরি জানিয়েছেন এই ম্যাচটি থেকেই ইতালি ও স্পেনে ছড়িয়েছে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস। খবর সিএনএন
জর্জিও গোরি এ ব্যপারে বলেন, ‘ঐদিন চ্যাম্পিয়ন্স লিগের রাউন্ড ষোলর আটলান্টা ও ভ্যালেন্সিয়ার ম্যাচটিকে ঘিরে জমজমাট ছিল মিলান শহর। কিন্তু ঐ সময়ও কেউ জানতো না আমাদের মাঝেই ঘুর ঘুর করছিল করোনা ভাইরাস। শহরের ৪০ হাজার লোক একসঙ্গে শুধু স্টেডিয়ামে জড়ো হয়েছিল। সেখান থেকে বিপুল পরিমাণে ছড়িয়েছে এই ভাইরাস। তাছাড়া মানুষ মদের দোকানে বসে খেলা দেখেছে একসঙ্গে। সেখান থেকে ছড়িয়েছে করোনা। সেই সঙ্গে বাসায়ও একসঙ্গে বসে সকলে খেলা দেখেছে। এখান থেকেও ছড়িয়েছে ভাইরাস’।
মেয়রের সঙ্গে একই সুরে সুর মিলিয়েছেন ইতালিয়ান রোগ প্রতিরোধ বিশেষজ্ঞ ফ্রান্সেসকো লে ফোচ। তিনি বলেন, ‘ইতালিতে ভাইরাস ছড়াতে অনেক কিছুই দায়ী। তবে এরমধ্যে অন্যতম হলো ভ্যালেন্সিয়া ও আটলান্টার ম্যাচটি। মানুষ কিছুই বুঝতে পারেনি যে করোনা ভাইরাস কারো না কারো মধ্যে বিরাজমান ছিল’।
ভ্যালেন্সিয়া ও আটলান্টার ম্যাচের ২ দিন পর বারগামো অঞ্চল থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরে কোদোগনো শহরে ৩৮ বছর বয়স্ক এক ব্যাক্তি প্রথম করোনা ভাইরাসের রোগী হিসেবে শনাক্ত হয়। কিন্তু প্রথম ব্যক্তি শনাক্ত হওয়ার আগেই লোমবারদে প্রদেশের দক্ষিণভাগের প্রতেক্যটি জায়গায় ছড়িয়ে পরে। এরপর পরীক্ষা করে দেখা যায় যে ৩৮৮ জন ব্যক্তি এই অঞ্চলে ১৯ ফেব্রুয়ারির আগেই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। আর ওই ম্যাচের এক সপ্তাহ পরেই তা খুব দ্রুত ছড়িয়ে পরে।
অন্যদিকে স্পেনেও করোনা ছড়ায় এই চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচ। স্পেন থেকে ইতালিতে যাওয়া ৪ হাজার ব্যাক্তির মধ্যে ছিলেন স্পেনের সাংবাদিক কিকি মাতিও। সিএনএনকে তিনি জানান ওই ম্যাচের ৪ দিন পর তিনি কাশি ও জ্বর জ্বর অনুভব করেন। এরপর তিনি পরীক্ষা করে দেখেন তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তিনি বলেন, ‘ইতালি থেকে ফেরার পর আমি অসুস্থ অনুভব করি। আর খবর পেতে থাকি যে লোমবারদেতে এই ভাইরাস মারত্বক আকার ধারণ করেছে। তারপর পরীক্ষা করে দেখি আমিও করোনায় আক্রান্ত হয়েছি’। মাতিওর কাছ থেকেই তার চারজন সহকারী সাংবাদিক এই করোনায় আক্রান্ত হন।