আজকের দিন তারিখ ২৬শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার, ১১ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
রাজনীতি ইসি আইন অগ্রহণযোগ্য নির্বাচনের সুযোগ: ফখরুল

ইসি আইন অগ্রহণযোগ্য নির্বাচনের সুযোগ: ফখরুল


পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: ফেব্রুয়ারি ১, ২০২২ , ৪:৩৭ অপরাহ্ণ | বিভাগ: রাজনীতি


দিনের শেষে ডেস্ক :   নির্বাচন কমিশন গঠন আইনের মাধ্যমে ভোটারবিহীন অগ্রহণযোগ্য নির্বাচনের সুযোগ সৃষ্টি করা হলো বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মঙ্গলবার বিকেলে দলের চেয়ারপারসনের গুলশান রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। গত সোমবার অনুষ্ঠিত দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠকে সিদ্ধান্ত জানাতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বিএনপি।

হুদা নির্বাচন কমিশনের মেয়াদকালের শেষ পর্যায়ে আইন প্রণয়ন করে রাষ্ট্রপতি ও নির্বাচন কমিশনকে দায় মুক্তি প্রদানের তীব্র সমালোচনা ও নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, বিএনপি মনে করে দায় মুক্তি দিয়ে ২০১২ ও ২০১৭ সালে বেআইনিভাবে গঠিত নির্বাচন কমিশনের অসাংবিধানিক এবং অনৈতিক কার্যকলাপের বৈধতা প্রদানের হীন চক্রান্ত হয়েছে। প্রকৃত পক্ষে ২০১৪ ও ২০১৮ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দুই কমিশনের অযোগ্যতা, পক্ষপাতিত্বের কারণে ভোটারবিহীন নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণের ভোটের অধিকার হরণ এবং জনগণের ম্যান্ডেট বিহীন সরকার গঠন করা হয়। বেআইনিভাবে দুই বারই আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে ক্ষমতায় এসে নির্বাচন ব্যবস্থা পুরোপুরি ধ্বংস করে ফেলে।

নির্বাচন কমিশন গঠন আইনের মাধ্যমে এই ধরনের ভোটারবিহীন অগ্রহণযোগ্য নির্বাচনের সুযোগ সৃষ্টি করা হলো। জনগণের নিকট এই প্রতারণা কখনই গ্রহণযোগ্য হবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি। সম্প্রতি সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের জরিপে বাংলাদেশে ব্যবসার সবচেয়ে বড় বাধা হিসেবে দুর্নীতিকে চিহ্নিত করা হয়েছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, দুর্নীতি আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে সর্বগ্রাসী রূপ নিয়েছে। রাষ্ট্রের সর্বস্তরে দুর্নীতির বিষাক্ত ছোবলে স্বাধীনতার সব অর্জন ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে দুর্নীতি সংঘটিত হওয়ায় দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেয়া হচ্ছে। সরকারের সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের লাগামহীন দুর্নীতি ভবিষ্যতের সম্ভাবনাকে বিনষ্ট করছে। বিএনপি মনে করে, ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য রাষ্ট্রযন্ত্রের সঙ্গে সম্পৃক্ত আমলাতন্ত্র, বিচার ব্যবস্থাকে সচেতনভাবে দুর্নীতিগ্রস্থ করে ফেলা হচ্ছে। শুধু ব্যবসা ক্ষেত্রে নয়, কিছুদিন আগে ট্রান্সপারেন্সী ইন্টারন্যাশনাল কর্তৃক প্রতিবেদনে বাংলাদেশকে দুর্নীতির সর্বোচ্চ স্থানে চিহ্নিত করা হয়েছে। বিএনপি মনে করে এই সরকারের পতনের মধ্য দিয়েই সৃষ্টি হবে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ, দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ অপার সম্ভাবনা নতুন অধ্যায়।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহণে শিক্ষামন্ত্রী, তার আত্মীয়-স্বজন ও রাজনৈতিক সহকর্মীদের জড়িত থাকার যে অভিযোগ উঠেছে তার নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে দোষী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।

বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বেগম সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু উপস্থিত ছিলেন।