ঋণ খেলাপিরাও পাবে প্রণোদনা প্যাকেজের অর্থ
পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: মে ১১, ২০২০ , ৫:৩৪ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: অর্থ ও বাণিজ্য
দিনের শেষে ডেস্ক : করোনা সঙ্কট মোকাবেলায় সরকার শিল্প খাতের জন্য ৩০ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। এই প্যাকেজের অর্থ ঋণ খেলাপিদের দেওয়ার যে বিধিনিষেধ ছিল, তা তুলে নেওয়া হয়েছে। জানা যায়, বাংলাদেশ ব্যাংকের ইন্টারনাল ক্রেডিট রিস্ক রেটিং (আইসিআরআর) নীতিমালার শর্ত শিথিল করে ঋণ খেলাপিদের এই সুবিধা দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রোববার নেয়া এই সিদ্ধান্তের পর এখন যে কোনও শিল্পদ্যোক্তা এই তহবিল থেকে ঋণ নিতে পারবেন। কোভিড-১৯ মহামারির কারণে দাপ্তরিক কার্যক্রম সীমিত হয়ে পড়ায় আইসিআরআর কার্যক্রম ব্যাহত ও ঋণ গ্রহীতার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সরবরাহে বিঘ্ন সৃষ্টি হওয়াকে বিধিনিষেধ শিথিলের কারণ দেখিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। দেশের সব ক’টি ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ‘এই দুর্যোগপূর্ণ অবস্থায় শিল্প ও সেবা খাতের আওতায় তাদের কার্যক্রম দ্রুত চালু করার জন্য প্রণোদনা প্যাকেজের ঋণ সুবিধা দিতে আইসিআরআর সম্পন্ন না করেও ব্যাংক ঋণ দিতে পারবে। তবে নিজেরা বিধিনিষেধ তুলে ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোর উপর দায়িত্ব দিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওই নির্দেশনায় একটি ‘তবে’যুক্ত করে বলা হয়েছে, ‘প্রতিটি ব্যাংক বিদ্যমান নিজস্ব নীতিমালার আওতায় ঋণ ঝুঁকি বিশ্লেষণপূর্বক ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে গ্রাহক নির্বাচন করবে।’ করোনাভাইরাস মহামারির কারণে দেশে সম্ভাব্য অর্থনৈতিক ক্ষতি মোকাবেলায় সরকার শিল্প খাতের জন্য যে ৩০ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে, তাতে ব্যাংক থেকে ৯ শতাংশ সুদে ঋণ দেওয়া হবে।এর ৪.৫ শতাংশ ঋণগ্রহীতা শোধ করবে, বাকি ৪.৫ শতাংশ সরকার ভর্তুকি হিসেবে দেবে। গত ৫ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দেওয়ার পর ১২ এপ্রিল ওই প্রণোদনা প্যাকেজের নীতিমালা ঘোষণা করে বাংলাদেশ ব্যাংক। তখন বলা হয়েছিল, কোনও ঋণ খেলাপি এই প্রণোদনা প্যাকেজের অর্থ পাবে না। ওই নীতিমালায় আরও উল্লেখ ছিল, যে সব ঋণ খেলাপি বিভিন্ন সময়ে সরকারের দেওয়া সুযোগ নিয়ে তিন বারের বেশি তাদের ঋণ পুনঃতফসিল করেছেন, তারাও এই প্রণোদনার অর্থ পাবে না। কিন্তু কেন্দ্রীয় ব্যাংক রোববার এই বিধিনিষেধটি তুলে নেয়ার ফলে এখন এই প্যাকেজের সুবিধা নিতে পারবেন দেশের চিহ্ণিত ঋণ খেলাপিরাও।