আজকের দিন তারিখ ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সোমবার, ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
জাতীয় করোনাভাইরাস: আগামী দুই সপ্তাহ ‘ক্রুসিয়াল টাইম’

করোনাভাইরাস: আগামী দুই সপ্তাহ ‘ক্রুসিয়াল টাইম’


পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: মার্চ ৩১, ২০২০ , ৬:৫০ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: জাতীয়


দিনের শেষে প্রতিবেদক : নভেল করোনাভাইরাসের ইনকিউবিশন পিরিয়ড বা রোগসঞ্চার থেকে প্রথম লক্ষণ দেখা দেওয়ার সময় (সুপ্তাবস্থা) কমপক্ষে ১৪ দিন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ কারণে আগামী দুই সপ্তাহ আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তারা বলছেন, এরই মধ্যে যদি কেউ সংক্রমিত হয়ে থাকেন তাহলে তার লক্ষণ প্রকাশ পাবে আগামী কয়েক দিনে। এ কারণে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবিলায় সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটির মেয়াদ বাড়ানোর পক্ষে জোরালো মত তাদের। বিশেষজ্ঞরা আরও বলছেন, সাধারণ ছুটি যদি আগামী ৪ এপ্রিল শেষ হয়ে যায় আর সংক্রমিত কেউ যদি ভিড়ে মিশে যাওয়ার সুযোগ পায়, তাহলে সেটা ভয়ঙ্কর হবে। তাই সাধারণ ছুটি বাড়ানোর পাশাপাশি ‘আজ থেকে ১৪ দিন’ বিষয়টিকে মাথায় রেখে কাজ করতে হবে। তাহলে হয়তো কমিউনিটি ট্রান্সমিশন থেকে আমরা রক্ষা পাবো। এভাবে লকডাউন করেই করোনার উৎসস্থল চীন সংক্রমণমুক্ত হয়েছে। তবে অর্থনৈতিক দিক বিবেচনায় সাধারণ ছুটির মেয়াদ বাড়ানো নাও হতে পারে, এমন আলোচনা আছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, তাতে সংক্রমণ বাড়বে। তখন আবার লকডাউন করতে হবে অনেক সময়ের জন্য। ক্ষতির মাত্রাও বেড়ে যাবে। তখন হয়তো লকডাউন তেমন কোনও কাজে আসবে না। গত ২৬ মার্চ থেকে শুরু হওয়া সাধারণ এই ছুটিতে রাজধানীবাসী প্রথম কয়েকদিন ঘরে থাকলেও এখন রাস্তায় বের হচ্ছেন। অন্যদিকে ছুটি শেষ হয়ে আসায় ঢাকার বাইরে যাওয়া মানুষেরা ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেও জানা গেছে। এতে আশঙ্কা প্রকাশ করে জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা বলেন, ‘মানুষ রাস্তায় বেরিয়ে আসছে, কিন্তু তাদের বাড়িতে থাকতে হবে। আপনারা ঘরে থাকুন, এটা অত্যন্ত জরুরি। সবার স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্যই এসব নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে।’ তিনি সবাইকে ঘরে থাকার অনুরোধ করেন। জানতে চাইলে চিকিৎসা নৃবিজ্ঞানী আতিক আহসান বলেন, ‘কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, ২৭ ফেব্রুয়ারি জার্মানি (২৭), ফ্রান্স (১৮), যুক্তরাজ্য (১৩) এবং ইটালিতে (১৩৯) রোগী ছিল অনেক কম, কিন্তু তৃতীয় সপ্তাহ থেকে সংখ্যা বাড়তে শুরু করে এবং চতুর্থ সপ্তাহে আক্রান্তের সংখ্যা ব্যাপক বাড়তে শুরু করে। ওইসব দেশের সব রোগীই কিন্তু তৃতীয় অথবা চতুর্থ সপ্তাহে সংক্রমিত হননি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দেখা যাচ্ছে কোনও সংক্রমিত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসার পরে গড়ে উপসর্গ দেখা দিতে ১৪ দিন থেকে ২১ দিন পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। এবং এরপর উপসর্গের মাত্রা দিন দিন বাড়তে থাকে এবং আক্রান্ত ব্যক্তি বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ১৯ দিনে ভালো হয়ে যায় বা মৃত্যুবরণ করে।’