আজকের দিন তারিখ ২৭শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বুধবার, ১২ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
স্পোর্টস করোনা টেস্ট : ফুটবলাররা অবাক কর্তারা হতবাক

করোনা টেস্ট : ফুটবলাররা অবাক কর্তারা হতবাক


পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: আগস্ট ১০, ২০২০ , ১১:১৮ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: স্পোর্টস


দিনের শেষে প্রতিবেদক : করোনা পরীক্ষার ফলাফল নেগেটিভ-পজিটিভ তত্ত্বে জেরবার জাতীয় ফুটবল দল। তিনদিনে রিপোর্ট করা ৩০ জন ফুটবলারের মধ্যে ১৮ জনই পজিটিভ। দু’বারের টেস্টে দু’রকম ফল। ফুটবলারদের সঙ্গে হতবাক বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) কর্মকর্তারাও।

তাই এবার দুটি হাসপাতালে দু’বার করোনা পরীক্ষার উদ্যোগ নিয়েছে বাফুফে। আজ ১৮ ফুটবলার ও একজন সহকারী কোচের পুনঃপরীক্ষা করানো হবে। ন্যাশনাল টিম কমিটি তাকিয়ে রয়েছে আজকের এই দুই পরীক্ষার ফলাফলের দিকে।

চট্টগ্রামের ইম্পেরিয়াল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে টেস্ট করিয়েছিলেন ঢাকা আবাহনীর গোলকিপার শহিদুল আলম সোহেল। একই হাসপাতালের ফল নিয়ে হাজির হয়েছিলেন মামুনুল ইসলামও। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে করা পরীক্ষায় মামুনুল নেগেটিভ হলেও সোহেলের রিপোর্ট আসে পজিটিভ।

রিপোর্টের ভিন্নতা দেখে অবাক এই গোলকিপার, ‘আমি ৪ আগস্ট চট্টগ্রামের সবচেয়ে নামকরা হাসপাতালে টেস্ট করেছিলাম। সেখানে রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছিল। কিন্তু ঢাকায় এসে পেলাম পজিটিভ। নিজেকে নিরাপদে রাখার জন্য সরাসরি ফ্লাইটে ঢাকায় আসি। ক্লাবে এসেও কাউকে পাইনি। কারও সংস্পর্শেও যাইনি। কোনো উপসর্গও দেখা দেয়নি। বুঝতে পারতেছি না তাহলে কীভাবে পজিটিভ হল। এখন সারাহ রিসোর্টে আমি আইসোলেশনে রয়েছি।’

নেগেটিভ ধরে প্রথমদিনের পরীক্ষা শেষে যে আটজনকে ক্যাম্পে পাঠানো হয়েছিল, তাদেরই একজন মিডফিল্ডার বিপলু আহমেদ। ৪৮ ঘণ্টা পর যখন জানলেন তার করোনা পজিটিভ, অবাক হন বিপলুও। সিলেটের ওসমানি মেডিকেল কলেজ থেকে নেগেটিভ রিপোর্ট নিয়ে ঢাকায় এসেছিলেন তিনি।

বাফুফের উদ্যোগে করোনা টেস্টে পজিটিভ হওয়া বিপলু আছেন ধোঁয়াশার মধ্যে। তার কথায়, ‘ঢাকায় আসার আগে সিলেটে করোনা পরীক্ষা করেছিলাম। সেখানে রিপোর্ট নেগেটিভ ছিল। ঢাকায় করার পর যখন আমাদেরকে নেগেটিভ ধরে ক্যাম্পে পাঠানো হয়েছিল, তখন শঙ্কা কেটে গিয়েছিল। কিন্তু দু’দিন পর যখন জানলাম পজিটিভ, তখন একটু ঘাবড়ে যাই। আমি সুস্থ আছি। আমার মধ্যে কোনো উপসর্গও নেই।’

জাতীয় দলের ক্যাম্পে ডাক পেয়েছেন ৩৬ ফুটবলার। এর মধ্যে বসুন্ধরা কিংস তাদের তিন খেলোয়াড় মাসুক মিয়া জনি, আতিকুর রহমান ফাহাদ ও মতিন মিয়াকে ছাড়েনি। ডেনমার্ক প্রবাসী জামাল ভূঁইয়া ও ফিনল্যান্ড প্রবাসী কাজী তারিক রায়হান ফ্লাইট জটিলতায় আসতে পারছেন না।

দু’জনই এ মাসের মধ্যে দেশে ফিরে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ক্যাম্পে যোগ দেবেন বলে জানিয়েছে ন্যাশনাল টিম কমিটি। ১৯ আগস্ট তারিক এবং ৩১ আগস্ট জামালের দেশে ফেরার কথা রয়েছে।