এখন পর্যন্ত এক শিশুসহ দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বাকিদের উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছে কোস্টগার্ডের দুটি টিম। চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে ঝড়ে ঘরের ওপর গাছ পড়ে নামে এক নারী মারা গেছেন। এছাড়া কুমিল্লার মুরাদনগরে ঝড়ে সিএনজির ওপর গাছ পড়ে শিশু মারা গেছে। আহত হয়েছে আরও ৪জন। লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে ঝড়ো হাওয়ায় নারিকেল গাছের নিচে চাপা পড়ে রুহুল আমিন নামে এক বৃদ্ধ মারা গেছে। উপজেলার কেরোয়া ইউনিয়নের মধ্য কেরোয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে, ময়মনসিংহের নান্দাইলে আতশবাজির কারখানায় বজ্রপাতে বিস্ফোরণে দুই নারী মারা গেছে। এদিকে কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে শেরপুরের তিন উপজেলায় প্রায় পাঁচ হাজার হেক্টরের বেশি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সরকারি সহায়তা চেয়েছেন কৃষকরা।
ঢাকায় সকাল সাড়ে ৬টা থেকে সাড়ে ৮টা পর্যন্ত ঢাকায় ৪৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। অন্যদিকে শিলাবৃষ্টিসহ বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৭০ কিলোমিটার। হঠাৎ এমন বৃষ্টিতে শহরের কিছু অংশে পানি জমে যায় এবং যানজটের সৃষ্টি হয়। এ সময় সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েন অফিস ও স্কুলগামীরা।
ঢাকা ছাড়াও রংপুর, নওগাঁ, কুড়িগ্রাম, দিনাজপুর, কিশোরগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, নোয়াখালী, হাতিয়া, সন্দ্বীপ, রাঙামাটি, ফরিদপুর ও রাজবাড়ী জেলাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে কালবৈশাখীর ঝড় বয়ে গেছে। সারা দেশে শিলাবৃষ্টিসহ বাতাসের গড় গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৫৫ কিলোমিটার।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বলেছেন, গত মধ্য রাতে রংপুর জেলায় সর্বোচ্চ ৬০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। সেখানে বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৭৮ কিলোমিটার। তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশের অনেক স্থানে কালবৈশাখী ঝড়ের পূর্বাভাসের কারণে অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোকে ২ নম্বর সর্তক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে”।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বুধবার ঢাকা, কিশোরগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, রাজবাড়ী, ফরিদপুর, নোয়াখালী, হাতিয়াসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে। মঙ্গলবার আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছিল, পশ্চিমাঞ্চলীয় নিম্নচাপটি উপ-হিমালয় পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমী নিম্নাংশ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।