আজকের দিন তারিখ ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রবিবার, ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
অর্থ ও বাণিজ্য কেপিসিএল, ওরিয়ন ফার্মা ও সামিট পাওয়ারের জন্য সুখবর

কেপিসিএল, ওরিয়ন ফার্মা ও সামিট পাওয়ারের জন্য সুখবর


পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: সেপ্টেম্বর ৭, ২০২১ , ১২:০৩ অপরাহ্ণ | বিভাগ: অর্থ ও বাণিজ্য


দিনের শেষে প্রতিবেদক : এক দশক আগে বিশেষ আইন দিয়ে দেশে বিদ্যুৎ ঘাটতি মেটাতে ‘কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্লান্ট’ চালু করা হয়েছিল, সেই আইনের মেয়াদ আরও পাঁচ বছর বাড়ানো হল। গতকাল সোমবার (০৬ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানান, বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) (সংশোধন) আইন, ২০২১’ এর নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। তিনি বলেন, ‘জরুরি পরিস্থিতিতে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ঘাটতি মোকাবেলায় ২০১০ সালে বিশেষ আইনটি করার পর এর মধ্যেই কয়েকবার তার মেয়াদ বাড়ানো হয়। বর্তমান মেয়াদ ছিল ২০২১ পর্যন্ত।’ তিনি বলেন, ‘২০৩০ সালের মধ্যে উচ্চ-মধ্যম আয়ের এবং ২০৪০ সালের মধ্যে উন্নত দেশ গড়ার ক্ষেত্রে আমাদের যে পরিকল্পনা আছে, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহে সেটা যাতে আমরা নির্বিঘ্নে সরবরাহ করতে পারি। এজন্য ২০২৬ সাল পর্যন্ত এটার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।’ দেশে বিদ্যুতের চাহিদা বাড়বে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, কিছুদিন আগেও উদ্বৃত্ত বিদ্যুৎ ছিল। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, দেশে শিল্প-কারখানায় বিদ্যুতের চাহিদা আরও বাড়ছে। পদ্মা সেতু আগামী বছর শেষ হলে ওই পাড়ে যে পরিমাণ বিনিয়োগ শুরু হবে, তাতে ম্যাসিভ এনার্জির প্রয়োজন হবে। দেশে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সহজলভ্য করতে আইনটির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।
‘কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্লান্ট’আইনের মেয়াদ আরও ৫ বছর বৃদ্ধি করার ফলে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত খুলনা পাওয়ারের (কেপিসিএল) নবায়ন না করা ১১৫ ও ৪০ মেগাওয়াটের দুই প্ল্যান্ট, ওরিয়ন গ্রুপের ১০০ মেগাওয়াট করে দুই প্ল্যান্ট এবং সামিট গ্রুপের ১০০ মেগাওয়াটের এক প্ল্যান্টের নবায়ন করার পথে আর বাধা থাকল না। এর আগে গত ২৮ মে এবং ৩১ মে কেপিসিএল-এর দুই প্ল্যান্টের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভোলপমেন্ট বোর্ড (বিপিডিবি) প্ল্যান্ট দুটির মেয়াদ আর নবায়ন করেনি। একইভাবে ওরিয়ন গ্রুপের দুই প্ল্যান্ট এবং সামিট গ্রুপের এক প্ল্যান্টের মেয়াদও শেষ হয়ে যাওয়ায় নবায়ন আটকে যায়।
উল্লেখ্য, ওরিয়ন গ্রুপের দুই প্ল্যান্টের মালিকানায় রয়েছে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ওরিয়ন ফার্মা। একইভাবে সামিট গ্রুপের প্ল্যান্টটির মালিকানায় রয়েছে শেয়ারবাজারের সামিট পাওয়ার। কোম্পানি ৩টির বিদ্যুৎ কেন্দ্র নবায়ন না করার কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে খুলনা পাওয়ারের বিনিয়োগকারীরা। কোম্পানিটির শেয়ার দর গত দুই বছর আগে ১২০ টাকার উপরে ছিল। দুই বছর আগে থেকেই প্রতিষ্ঠানটির বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মেয়াদ বাড়বে না বলে শেয়ারবাজারে চাউর হতে থাকে। তখন থেকেই কোম্পানিটির শেয়ার দরে পতন শুরু হয়। গত দুই বছর কোম্পানিটির কর্তৃপক্ষ বিনিয়োগকারীদের ভালো ডিভিডেন্ড দিলেও কোম্পানিটির শেয়ার দর ধরে রাখতে পারেনি। ক্রমেই নিম্নমুখী থেকেছে। দুই বছর আগের তুলনায় বর্তমানে কোম্পানিটির শেয়ার তিন ভাগের এক ভাগ দরে লেনদেন হচ্ছে।
খুলনা পাওয়ার বরাবরই বিনিয়োগকারীদের ভালো ডিভিডেন্ড দিয়ে আসছে। ৩০ জুন, ২০২০ অর্থবছরে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের ৩৪ শতাংশ ক্যাশ ডিভেডেন্ড দিয়েছে। আগের বছর দিয়েছিল ৪০ শতাংশ ক্যাশ। সমাপ্ত অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ২ টাকা ৬৫ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ছিল ২ টাকা ৬২ পয়সা।
কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ৩৯৭ কোটি ৪১ লাখ ৩০ হাজার টাকা। বিপরীতে রিজার্ভ রয়েছে ৫৯০ কোটি ১৭ লাখ টাকা। সর্বশেষ শেয়ার দর অনুযায়ী, কোম্পানিটির পিই রেশিও ১২.২৮। কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য রয়েছে ২৩ টাকা ৮৪ পয়সা। ২০১০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত খুলনা পাওয়ারের পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ৩৯৭ কোটি ৪১ লাখ ৩০ হাজার টাকা। এরমধ্যে উদ্যোক্তা/পরিচালকদের মালিকানায় রয়েছে ৬৯.৯৯ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের ৮.৪৫ শতাংশ, সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ২১.৩৫ শতাংশ ও বিদেশীদের ০.২১ শতাংশ রয়েছে।