কেরানীগঞ্জের আদি বাড়িতে শায়িত হবেন মিতা হক
পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: এপ্রিল ১১, ২০২১ , ১১:৩১ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: বিনোদন
দিনের শেষে প্রতিবেদক : করোনায় আক্রান্ত হয়ে চলে গেলেন বরেণ্য রবীন্দ্রসঙ্গীতশিল্পী মিতা হক। রবিবার (১১ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বরেণ্য এই শিল্পীর প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে প্রথমে তাকে নেওয়া হবে ছায়ানটে। পরে কেরানীগঞ্জের তাকে দাফন করা হবে।
দেশের বরেণ্য এই সঙ্গীতশিল্পীর প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য আজ বেলা ১১টায় তার মরদেহ ছায়ানটে নেওয়া হবে। সেখানে তাকে শেষবারের মতো শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা জানাবেন তার ভক্ত, শুভানুধ্যায়ীসহ সর্বস্তরের মানুষ। পরে সেখান থেকে তাকে নেওয়া হবে কেরানীগঞ্জে বড় মনোহারিয়ায়। সেখানে তাদের আদি বাড়িতে তাকে দাফন করা হবে।
এর আগে, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে মিতা হককে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। চার দিন আগে তার করোনা নেগেটিভ হলে বাসায় নেওয়া হয়। তিনি কিডনি রোগে ভুগছিলেন তাই তার ডায়লাইসিস করতে হতো। শনিবার ডায়লাইসিসের সময় তার প্রেসার ফল করে। এর পর বাসায় নেওয়ার পরও আবার তার প্রেসার ফল করে। সে সময় হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসকরা জানান, মিতা হক হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় মিতা হকের। মিতা হক ১৯৬২ সালের সেপ্টেম্বরে ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি প্রয়াত অভিনেতা খালেদ খানের স্ত্রী। তার মেয়ে জয়িতাও রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী। ১৯৭৬ সাল থেকে তিনি তবলাবাদক মোহাম্মদ হোসেন খানের কাছে গান শেখা শুরু করেন। বাংলাদেশ বেতারের সর্বোচ্চ গ্রেডের তালিকাভুক্ত শিল্পী মিতা হক। ১৯৯০ সালে বিউটি কর্নার থেকে প্রকাশিত হয় মিতা হকের প্রথম রবীন্দ্রসংগীতের অ্যালবাম ‘আমার মন মানে না’। সঙ্গীতায়োজনে ছিলেন সুজেয় শ্যাম।
মিতা হক এ পর্যন্ত সব মিলিয়ে প্রায় ২০০টি রবীন্দ্রসংগীতে কণ্ঠ দিয়েছেন। তার এককভাবে মুক্তি পাওয়া মোট ২৪টি অ্যালবাম আছে। এর মধ্যে ১৪টি ভারত থেকে ও ১০টি বাংলাদেশ থেকে। বরেণ্য রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী মিতা হক ২০১৬ সালে শিল্পকলা পদক লাভ করেন। সঙ্গীতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ২০২০ সালে একুশে পদক পান তিনি।