আজকের দিন তারিখ ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রবিবার, ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
জাতীয় কোটা আন্দোলনকারীদের জন্য আদালতের দরজা সবসময় খোলা : প্রধান বিচারপতি

কোটা আন্দোলনকারীদের জন্য আদালতের দরজা সবসময় খোলা : প্রধান বিচারপতি


পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: জুলাই ১১, ২০২৪ , ৩:৫০ অপরাহ্ণ | বিভাগ: জাতীয়


দিনের শেষে প্রতিবেদক : প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, কোটা নিয়ে যারা আন্দোলন করছেন তাদের পরামর্শ দিন, তারা কেন নির্বাহী বিভাগের কথা বলে? নির্বাহী বিভাগের যেকোনো সিদ্ধান্ত তো আদালতে চ্যালেঞ্জ হতে পারে। কোটা আন্দোলনকারীদের জন্য আদালতের দরজা সবসময় খোলা।  দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়তে জাতীয় সংসদকে ১৬ দফা পরামর্শ দেওয়া সংক্রান্ত রায়ের বিরুদ্ধে আপিল শুনানির একপর্যায়ে এসব কথা বলেন তিনি। প্রধান বিচারপতি বলেন, কোটা আন্দোলনকারীরা তাদের দাবিগুলো আইনজীবীদের মাধ্যমে তুলে ধরতে পারেন। আমরা সেটি গুরুত্ব সহকারে শুনবো। শুনানিতে তখন আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, দেশের স্বার্থে হাইকোর্ট দেশকে দুর্নীতিমুক্ত করতে ১৬ দফা পরামর্শ দিয়েছেন। তখন প্রধান বিচারপতি বলেন, আমরা কি সংসদকে পরামর্শ দিতে পারি? হাইকোর্ট সরকারকে নির্দেশনা দিতে পারেন। তিনি বলেন, সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি চাইলে সুপ্রিম কোর্ট পরামর্শ দিতে পারেন। রাষ্ট্রপতি চাইলে সেই পরামর্শ গ্রহণ করতে পারেন, নাও পারেন। মএকপর্যায়ে প্রধান বিচারপতি ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলের উদ্দেশে ওবায়দুল হাসান বলেন, আপনারা তো সুপ্রিম কোর্ট বারের নেতা, দেশের প্রতি আপনাদের দায়িত্ব আছে। যারা কোটা নিয়ে আন্দোলন করছে, তাদের বোঝান, পরামর্শ দিন। আদালতের দরজা তো তাদের জন্য সবসময় খোলা। এর আগে, দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়তে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) জন্য একটি স্বতন্ত্র ক্যাডার সার্ভিস গঠন করাসহ জাতীয় সংসদের প্রতি ১৬টি পরামর্শ সংবলিত হাইকোর্টের রায় স্থগিত করেছিলেন আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৯ নভেম্বর আপিল বিভাগের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এর চেম্বার জজ আদালত এই আদেশ দেন। একই সঙ্গে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে দুদকের করা পৃথক লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে। আদালতে ওইদিন দুদকের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। পরে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘হাইকোর্টের রায়ে ১৬ দফা পরামর্শ রয়েছে। এর বেশ কয়েকটি দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ও বিধিবহির্ভূত, যে কারণে দুদক দুটি লিভ টু আপিল করে। হাইকোর্টের সুপারিশ সংবলিত রায় স্থগিত করেছেন চেম্বার জজ আদালত। সেই সঙ্গে লিভ টু আপিল দুটি ওই দিন আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে। দুজনকে খালাসের রায় বহাল থাকবে কি না, তা লিভ টু আপিল নিষ্পত্তির মধ্যে জানা যাবে।