খল চরিত্রে পর্দায় প্রশংসিত সজল
পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: এপ্রিল ১১, ২০২১ , ১০:২০ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: বিনোদন
দিনের শেষে প্রতিবেদক : এবার খলনায়ক হিসেবে পর্দায় দেখা মিলেছে অভিনেতা সজলের। গত ৮ এপ্রিল দেশীয় ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বিঞ্জে মুক্তি পেয়েছে ‘ব্যাচ ২০০৩’ সিনেমাটি। পার্থ সরকার পরিচালিত এ ছবিতে জুটি বেঁধেছেন জনপ্রিয় অভিনেতা আবদুন নূর সজল ও তাসনুভা তিশা।সাইকো-থ্রিলার গল্পের সিনেমাটি নির্মিত হয়েছে রাফায়েল আহসানের গল্প অবলম্বনে। সিনেমাটির চিত্রনাট্য রচনা করেছেন চলচ্চিত্রটির পরিচালক পার্থ সরকার। ক্ল্যাপবোর্ড এন্টারটেইনমেন্টের প্রযোজনায় এই সিনেমাতে সজল ও তিশা ছাড়া বিভিন্ন চরিত্রে আরো অভিনয় করেছেন কাজী নওশাবা আহমেদ, শিপন মিত্র, তন্ময়, শারমিন আঁখি, অনিকা তাবাসসুম, তৌহিদুল ইসলাম, ফজলে রাব্বি, জান্নাত প্রমুখ।
অভিনেতা সজল জানান, ২০০৩ সালের এসএসসি ব্যাচের কয়েক ছাত্রকে নিয়ে এগিয়েছে প্লট। সাইকো থ্রিলার গল্পের সিনেমা এটি। এতে দর্শক একদমই আমায় ভিন্নরূপে পাবেন৷ এ চলচ্চিত্রটি মুক্তি পাবার পর দর্শকমহলে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে ; অভিনেতা সজলের দুর্দান্ত অভিনয়। এ চলচ্চিত্রের একটি দৃশ্যে দেখা গেছে- সজলের এক মেয়ে বন্ধু তার পাশে এসে জিজ্ঞাসা করে- পরীক্ষার ঠিক আগ মুহূর্তে ঔ রকম উধাও হয়ে গেলে যে ; কি হয়েছিল ” সজলঃ হাসপাতালে ছিলাম মানসিক সমস্যার জন্য। তারপর সুস্থ হয়ে ফিরে আসি। পরীক্ষা দিতে পারলাম না পড়াশুনাটাও শেষ হয়ে গেল। মেয়ে বন্ধুটার প্রশ্ন কি করছো?.আজকাল-
সজল: তেমন কিছু করা হয় না। এ ছোট্ট শহরে আমার মত করেই আছি৷। একটা ছোটোখাটো ব্যবসা করি; বই পড়ি; গান শুনি; গুনগুন গান গাইতেও চেষ্টা করি।
অপর একটা দৃশ্য দেখা যায়-
সজল মারজান মারজান বলতে বলতে ( শিপনসহ অন্যান্যরা বের হওয়ার জন্য চেষ্টা করে)..কিন্তু গেট তালাবদ্ধ।
সজল: তালা ভাঙ্গাভাঙ্গি করার কি ছিল?..আমাকে বললেই হতো চাবি আমার কাছে ছিল। চাবিটা দিয়ে দিতাম।
শিপনঃ তাহলে খুলে দে। আলভীকে খুঁজতে যেতে হবে।
সজল: এখন খোলা যাবে না। সমস্যা আছে৷
অপর আরও একটি দৃশ্যেতে দেখা গেছে। সজল সকল বন্ধুদের কেন্দ্র করে বলতেছে কখন থেকে বলে যাচ্ছি এটা একটা জঙ্গল। কখন কি ঘটনা ঘটে তার কোন ইয়ওা নেই৷ একের পর এক ঘটনা ঘটেই যাচ্ছে। হঠাৎ এ সময় শিপনের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে সজল বলে- সারাটা জীবন তুই নেতাগিরি করছিস.. আমরা তোর চেলাপেলা!!.
এ চলচ্চিত্রের একটি উল্লেখযোগ্য ডায়ালগ হলো-
এ সেই দরজা যে দরজা আমাকে সেদিনও আটকে রাখতে পারেনি। আজও আটকে রাখতে পারবে না। ” শিপনকে উদ্দেশ্য করে সজল এর একটি দৃশ্য তে দেখা যায়: তোর মনে নেই একদিন তুই কি আমার সাথে করেছিলি। আজ তুই মাফ চাস?..
(জানি খবিসটা এখানেই থাকতে পারে)
শিপন: আমায় মাফ করে দে?
সজল: কিসের মাফ?.. এতোদিন এ দিনটির জন্য অপেক্ষা করছিলাম…
এভাবে দৃশ্যগুলো ব্যতিক্রমভাবে চলচ্চিত্রটিতে ফুটে উঠেছে। এছাড়া এ ছবিটিতে দেখা গেছে
সজলের মুখ ঝলসানো! মনে হচ্ছে কেউ যেন এসিড মেরেছে! মুখের এক পাশ পুরো পুড়ে গিয়েছে! এ যেন এক ভিন্ন সজলের আবির্ভাব।।