গবেষণা বলছে ধনীদের তুলনায় দরিদ্রদের মাঝে করোনার সংক্রমণ বেশি
পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: মে ১৬, ২০২০ , ১০:২১ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: জাতীয়
দিনের শেষে ডেস্ক : দারিদ্র্র্য আসলেই এক অভিশাপ। বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া মহামারি করোনাভাইরাসও বেশি আক্রান্ত করেছে দরিদ্রদের। গবেষকরা দেখেছেন, দরিদ্র, বেশি বয়সী মানুষ আর দীর্ঘমেয়াদে লিভার রোগীরাই করোনায় বেশি আক্রান্ত হয়েছে। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা ব্রিটেনের ৩ হাজার ৬০০ করোনা রোগীর ইতিহাস বিশ্লেষণ করে এমনটিই নিশ্চিত হয়েছেন। শনিবার গবেষণার বিষয়টি বিজ্ঞান সাময়িকী ল্যানসেটে প্রকাশিত হয়েছে। খবর এএফপি ও এনডিটিভির। গবেষকরা বলছেন, ব্রিটেনের কিছুটা দরিদ্র এলাকার বাসিন্দারা আশপাশের ধনী এলাকায় বসবাসরত বাসিন্দাদের চেয়ে চারগুণ বেশি করোনাভাইরাসের সংক্রমণের শিকার হয়েছে। ৩৬০০ জন করোনা রোগীর নমুনা ও ইতিহাস বিশ্লেষণ করে গবেষকরা দেখেছেন, এদের মধ্যে ৬৬০ জন অতি দরিদ্র-বঞ্চিত এলাকার বাসিন্দা। এসব বাসিন্দার ২৯.৫ শতাংশ করোনা পজিটিভ। অন্যদিকে ধনী এলাকার মাত্র ৭.৭ শতাংশ করোনা পজিটিভ হয়েছেন। তবে দরিদ্ররাই কেন বেশি আক্রান্ত হয়েছেন, তা গবেষকরা পরিষ্কার করেননি। পর্যবেক্ষণে গবেষকরা দেখেছেন, দরিদ্র অঞ্চলের ৪০ থেকে ৬৪ বছর বয়সীরা বেশি করোনার ঝুঁকিতে রয়েছেন। এ বয়সী সাড়ে ১৮ শতাংশ করোনা আক্রান্ত, অন্যদিকে ১৭ বছরের নিচের বয়সীরা করোনা আক্রান্ত হয়েছে মাত্র সাড়ে ৪ শতাংশ। তাছাড়া নারীদের তুলনায় পুরুষ বেশি আক্রান্ত হয়েছেন। নারীরা যেখানে ১৩ শতাংশ আক্রান্ত সেখানে পুরুষ আক্রান্ত ১৮ শতাংশ। করোনা ভাইরাস কিছুটা বর্ণ বৈষম্যও করেছে। কৃষ্ণাঙ্গ কিংবা কিছুটা বাদামী ত্বকের মানুষ ৬২ শতাংশ আক্রান্ত হয়েছে, সে তুলনায় সাদা চামড়ার মানুষ আক্রান্ত হয়েছে মাত্র সাড়ে ১৫ শতাংশ। এ বিষয়ে গবেষণাপত্রের লেখক ও ইংল্যান্ড পাবলিক হেলথ বিভাগের গবেষক গায়ত্রী আমিরথালিংগাম বলেন, করোনাভাইরাস যতই দিন পার করছে, ততই তার সম্পর্কে আমরা নতুন নতুন তথ্য জানতে পারছি। তিনি বলেন, এ গবেষণার মাধ্যমে আমরা জানতে চেয়েছি, করোনা ভাইরাস কতোভাবে, কেমন করে সংক্রমিত হচ্ছে। এক্ষেত্রে ঝুঁকির বিষয়গুলো কী কী। দেখা গেছে, আসল ঝুঁকিই হচ্ছে দারিদ্র্য-বঞ্চনা। অক্সফোর্ড গবেষণার সঙ্গে যুক্ত না থাকলেও এ বিষয়ে এক মন্তব্যে বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক র্যাচেল জর্ডান বলেন, গবেষণাটি কর্তৃপক্ষকে করোনা পরীক্ষার ক্ষেত্রে কমিউনিটি চিহ্নিত করতে সহায়তা করবে। তাছাড়া ঝুঁকির বিষয় যাই হোক না কেন, বিদ্যমান আর্থ-সামাজিক বৈষম্যকেও চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে করোনাভাইরাস।