Warning: file_put_contents(/data/wwwroot/dinersheshey.com/wp-content/plugins/covid-19-bangladesh-live/data/districts.json): failed to open stream: Permission denied in /data/wwwroot/dinersheshey.com/wp-content/plugins/covid-19-bangladesh-live/covid-19-bd-live.php on line 103
গরমজনিত অসুস্থতার চিকিৎসা নিতে এসেও গরমে অতিষ্ঠ রোগীরা - Diner Sheshey গরমজনিত অসুস্থতার চিকিৎসা নিতে এসেও গরমে অতিষ্ঠ রোগীরা - Diner Sheshey
Notice: Trying to access array offset on value of type null in /data/wwwroot/dinersheshey.com/wp-content/themes/dinersheshey/panel/sit_style.php on line 124
আজকের দিন তারিখ ১৮ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার, ২রা কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
/////হাইলাইটস///// গরমজনিত অসুস্থতার চিকিৎসা নিতে এসেও গরমে অতিষ্ঠ রোগীরা

গরমজনিত অসুস্থতার চিকিৎসা নিতে এসেও গরমে অতিষ্ঠ রোগীরা


পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: এপ্রিল ১৯, ২০২৪ , ৩:০৬ অপরাহ্ণ | বিভাগ: /////হাইলাইটস/////


দিনের শেষে প্রতিবেদক : ঢাকাসহ দেশের বেশিরভাগ অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহ। তীব্র গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা। এর মধ্যে রয়েছে লোডশেডিংয়ের সমস্যা। হাসপাতালগুলোতে বেড়েছে গরমজনিত কারণে অসুস্থ রোগীর চাপ। চিকিৎসা নিতে এসেও হাসপাতালে আরেক দফা গরমের সম্মুখীন হতে হচ্ছে রোগী ও তার স্বজনদের। এবার এপ্রিলের শুরু থেকেই তীব্র গরম পড়ছে দেশজুড়ে। ঈদের পর হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হওয়া রোগীদের বেশিরভাগই আসছে হিট স্ট্রোক, জ্বর, সর্দি, ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া নিয়ে। এসব রোগে সবচেয়ে বেশি কাবু হচ্ছে শিশুরা। দীর্ঘ ছুটির পর সামনের সপ্তাহ থেকে খুলবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এভাবে তাপপ্রবাহ চলমান থাকলে শিশুদের জন্য আরও বড় সমস্যা হতে পারে। সুচিকিৎসার জন্য রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রোগীরা ভিড় জমান ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে। সরেজমিনে ঢামেক গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালে এসেও অতিরিক্ত গরমে খারাপ অবস্থা হচ্ছে রোগী ও স্বজনদের। ওয়ার্ডে ভর্তি ও মেঝেতে থাকা প্রায় সবাই হাতপাখা কিংবা ছোট টেবিল ফ্যান কিনে ব্যবহার করছেন। ২০৭ নম্বর ওয়ার্ডে দেখা যায়, এক কোণার ফ্যান নষ্ট হয়ে আছে। সেখানে অবস্থান করা এক রোগীর স্বজন বলেন, ভিতরে বাইরে সব জায়গায় গরম। তিনদিন ধরে হাসপাতালে আমার রোগী ভর্তি। আসার পর থেকেই দেখছি পাখা বন্ধ। খোঁজ নিয়েছিলাম, বলে পাখা নষ্ট। এগুলো তো হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দেখতে পারে। আমার মেয়ের কয়েকদিন ধরেই পেটে ব্যথা, জ্বরের পাশাপাশি বমি ও পাতলা পায়খানা হচ্ছে। সাজেদা খানম তার চার বছরের মেয়েকে নিয়ে ঢামেকের শিশু ওয়ার্ডে মেঝেতে আছেন। তিনি বলেন, ‘ঈদের দিন রাত থেকেই মেয়ের পাতলা পায়খানা শুরু হয়েছে। এরপর পেটে ব্যথা ও জ্বরও থাকে। প্রথমে ফার্মেসি থেকে স্যালাইন কিনে খাওয়ালেও ভালো না হওয়ায় মেয়েকে নিয়ে হাসপাতালে চলে এসেছি। হাসপাতালের ভিতরে পর্যাপ্ত বাতাসের অভাব, রোগীর চাপ ও ফ্যান স্বল্পতায় কষ্টে আছেন অধিকাংশ রোগী। ভর্তি রোগীদের সঙ্গে স্বজনরাও করছেন কষ্ট। বেশিরভাগই গরমে ঘামছেন অঝোরে। হাসপাতালের ভিতরে থাকা রোগীরা গরমে কষ্টে আছেন, কিছু জায়গায় পাখা নষ্ট- এসব বিষয়ে ব্যবস্থা নিয়েছেন কি না জানতে চাইলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেন, আমি স্টোররুমে যেসব পাখা ছিল কর্মীদের বলেছি যেখানে নষ্ট পাখা আছে সব পরিবর্তন করে দিতে। যেখানে নতুন করে পাখা লাগানো যায় সেখানে পাখা সংযুক্ত করতে বলেছি। তিনি আরও বলেন, এখানে তো অনেক রোগী আসে, অনেক বেশি ভিড়। তাই অনেকেই নিজের লাইট-ফ্যান ব্যবহার করেন। তাই আমি টেকনিশিয়ানদের বলে দিয়েছি যাতে আলাদা লাইনের ব্যবস্থা করা হয়, সেখান থেকে তারা লাইন নিয়ে ফ্যান, লাইট যেন জ্বালাতে পারে। যাতে বিপদ না হয়। আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র (আইসিডিডিআর,বি) বা কলেরা হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, ঈদের পর থেকে দ্বিগুণ রোগী ভর্তি হয়েছে হাসপাতালগুলোতে। যার বেশিরভাগই ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া রোগী। ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিশু ওয়ার্ডে পা ফেলার জায়গা নেই। বেড ছাড়িয়ে মেঝেতেও আসন পেতে চিকিৎসা নিচ্ছে শিশুরা। জরুরি বিভাগ ও আউটডোরের মেডিসিন বিভাগে রোগীর চাপ সবচেয়ে বেশি। আইসিডিডিআর,বিতে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়াজনিত রোগ নিয়ে হাসপাতালে ভিড় বেড়েছে রোগীদের। হাসপাতাল সূত্র জানায়, সাধারণ সময়ে ডায়রিয়াজনিত সমস্যা নিয়ে তিন থেকে সাড়ে তিনশ রোগী আসে। বর্তমানে তা বেড়ে পাঁচ থেকে ছয়শর বেশি রোগী ভর্তি হচ্ছে। আইসিডিডিআর,বির চিকিৎসকরা বলছেন, কয়েকদিন ধরে অতিরিক্ত গরমের কারণে পানির চাহিদা বেড়েছে। অনিরাপদ পানি ও খাবার গ্রহণের কারণে ছড়িয়ে পড়ছে ডায়রিয়া। বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের রেসপিরেটরি মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. কামরুজ্জামান (কামরুল) বলেন, গরম বেশি পড়লে সাধারণত ডায়রিয়া, জন্ডিস, পানিবাহিত রোগ, হেপাটাইটিস এ ও ই ভাইরাসের প্রকোপ বেড়ে যায়। এসময়ে প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হওয়া উচিত না। এছাড়া বাইরে থেকেই এসেই এসি ছেড়ে দেওয়া, ঠান্ডা পানি খাওয়া, রাস্তার ধারের শরবত পান থেকে বিরত থাকা প্রয়োজন। তিনি বলেন, আগামী সপ্তাহ থেকে শিশুদের স্কুল খুলে দেওয়া হবে। এখন শিশুরা ঘরেই আছে, তবে স্কুল খোলা হলে তারা লম্বা সময় স্কুলে থাকবে। স্কুল খুলে দিলে এবং তাপমাত্রা আরও বাড়লে শিশুদের হিট স্ট্রোকের আশঙ্কা বাড়বে। তাই এ বিষয়ে সচেতনতা প্রয়োজন। এছাড়া শিশুদের রাস্তার ধারের খাবার খাওয়া থেকে বিরত রাখতে হবে। একই সঙ্গে জ্বরের পাশাপাশি ঘণ্টায় তিনবারের বেশি বমি হলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে বলেও জানান তিনি।

 


Notice: Trying to access array offset on value of type null in /data/wwwroot/dinersheshey.com/wp-content/themes/dinersheshey/panel/sit_style.php on line 130