গোটা বিশ্বের মূল ফোকাস ছিলো বাংলাদেশ
পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: মার্চ ২৮, ২০২১ , ১২:৩৩ অপরাহ্ণ | বিভাগ: /////হাইলাইটস/////
দিনের শেষে প্রতিবেদক : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে ১০ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। দশ দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানমালাকে কেন্দ্র করে গোটা বিশ্বের মূল ফোকাস ছিলো বাংলাদেশ। এই অনুষ্ঠানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকারপ্রধানরা স্বশরীরে উপস্থিত ছিলেন। আর যারা করোনা পরিস্থিতির কারণে স্বশরীরে উপস্থিত হতে পারেননি তারা ভিডিও বার্তায় শুভেচ্ছা পাঠিয়েছেন। ২৬ মার্চ, মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে বিশ্বের মানচিত্রে নতুন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশের ঘোষণা দিয়েছিল একটি ভূখণ্ড, যার নাম বাংলাদেশ। সবুজ জমিনে রক্তিম সূর্যখচিত মানচিত্রের এই দেশটির স্বাধীনতার ৫০তম বার্ষিকী।
স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর এ দিনটি বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর বছরও। এবার তাই উদযাপনেও যোগ হয়েছে ভিন্ন মাত্রা। এর সাথে আর একটি নতুন পালক যোগ হয়েছে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের জাতিসংঘের চূড়ান্ত সুপারিশ। আর স্বাধীনতার ৫০ বছরে এসে দারিদ্র্য আর দুর্যোগের বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উত্তরণের পথে। এই প্রাপ্তি নিয়েই এবার জাতি স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করছে। বাংলাদেশের এই উদযাপনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকারপ্রধানরা স্বশরীরে এবং ভিডিও বার্তায় শুভেচ্ছা পাঠিয়েছেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে দুই দিনের সফরে বাংলাদেশে এসেছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে যৌথ অগ্রযাত্রায় এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন, আমাদের দুই দেশের কাছেই গণতন্ত্রের শক্তি আছে, এগিয়ে যাওয়ারা দূরদর্শিতা রয়েছে। ভারত ও বাংলাদেশের যৌথ অগ্রযাত্রা এই পুরো অঞ্চলের জন্য সমান জরুরি।
সুবর্ণজয়ন্তীতে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি বলেন, অর্থনৈতিক অগ্রগতির এক দৃষ্টান্ত এখন বাংলাদেশ।বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে বাইডেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে, আমি বাংলাদেশের জনগণকে স্বাধীনতার ৫০তম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে অভিনন্দন জানাচ্ছি। বাংলাদেশ এখন অর্থনৈতিক অগ্রগতির এক দৃষ্টান্ত; উচ্চাশা ও সুযোগের এক দেশ। অসাধারণ এ অর্জনের জন্য আপনাকে ও বাংলাদেশের জনগণকে অভিনন্দন জানাই। ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় দেওয়াকে বিশ্বের সামনে ‘বাংলাদেশের মানবিকতা ও উদারতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত’হিসেবে তুলে ধরেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর উলক্ষে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন। বার্তায় তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমার আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা গ্রহণ করুন। বাংলাদেশ তুখোড় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও রাষ্ট্রের স্থপতি শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীও উদযাপন করছে। বাংলাদেশে ও রাশিয়ার সম্পর্ক সব সময় বন্ধুত্বপূর্ণ। আমি বিশ্বাস করি আমাদের যৌথ উদ্যোগে ভবিষ্যতের গঠনমূলক দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা দুই দেশের জনগণের স্বার্থ রক্ষা, আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় ভূমিকা রাখবে। আমি আপনাদের সুস্বাস্থ্য, সাফল্য কামনা করছি এবং বাংলাদেশের সব নাগরিকের শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করছি।
সুবর্ণজয়ন্তীতে এসে যে স্বপ্নের পথে হাঁটছে বাংলাদেশ, তার বাস্তব রূপায়ণে সারথি হওয়ার আকাঙ্ক্ষার কথা জানিয়ে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং বলেছেন, এ সময়ে দুই দেশই উন্নয়নের মাধ্যমে একটি নতুন পর্যায়ে উন্নীত হওয়ার চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। চীনের নবতর পর্যায়ে উত্তরণের যে স্বপ্ন, তার সঙ্গে মেলবন্ধন হতে পারে সোনার বাংলার স্বপ্নের।
বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানের অংশ হয়ে দুই দেশের পতাকার মিল ও ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা বললেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগা। ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, আমি শুনেছি যে বাংলাদেশের পতাকার নকশায় জাপানের পতাকার সঙ্গে মিল থাকার ব্যাপারটি বঙ্গবন্ধুর আইডিয়া ছিল। আর আমরা যে ভ্রাতৃপ্রতিম, এটা তারই বহিঃপ্রকাশ।
গত শুক্রবার বাঙালি জাতির জন্য সারা জীবনের সংগ্রাম ও আত্মত্যাগ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে বিশ শতকের শ্রেষ্ঠ রাষ্ট্রনায়কদের কাতারে নিয়ে গেছে মন্তব্য করে এক বার্তায় তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে আপনাকে এবং বাংলাদেশের ভাতৃপ্রতীম নাগরিকদেরকে আমার পক্ষ থেকে এবং তুরস্কের জনগণের পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।একই দিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ভিডিওবার্তায় পাঠিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। তিনি বলেছেন, ৫০ বছর পূর্তিতে বাংলাদেশের জনগণকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। জন্মের সময়ের অবস্থা থেকে আপনাদের জাতির অর্জন, তা অভিভূত হওয়ার মত।
পঞ্চাশ বছর আগে রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে জন্ম নেওয়া বাংলাদেশ উন্নয়ন ধরে রেখে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও অবদান রেখে চলেছে বলে এক ভিডিও বার্তায় মন্তব্য করেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। তিনি বলেন, গত পাঁচ দশকে বাংলাদেশ সামাজিক উন্নয়ন ও দুর্যোগ মোকাবেলা ও প্রস্তুতির বিষয়ে অসাধ্য সাধন করেছে। নিম্ন আয়ের দেশের তালিকা থেকেও বাংলাদেশ বেরিয়ে এসেছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বাংলাদেশিদেরকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ব্রিটেনের যুবরাজ প্রিন্স চার্লস। এক ভিডিওবার্তায় তিনি বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছরে বাংলাদেশকে আমার অভিনন্দন।
এদিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর আয়োজনে ভিডিওবার্তায় ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের উত্তাল সময়ের কথা স্মরণ করেছেন ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি সোনিয়া গান্ধী। দুই উদযাপনে ১০ দিনব্যাপী আয়োজনের অষ্টম দিন গত বুধবার তিনি বলেন, ইন্দিরা গান্ধীর পাশে থেকে ১৯৭১ সালে রূপান্তরের সেসব ঘণ্টা, দিন, সপ্তাহ ও মাসের একজন প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে শেখ হাসিনা ও তার দেশের মানুষের গর্বের অংশীদার হতে পেরে আমি আনন্দিত।
বাংলাদেশে ভিন্ন ঐতিহ্য ও সম্প্রদায়ের মানুষ একতাবদ্ধ হয়ে মর্যাদার সঙ্গে বসবাস করছে মন্তব্য করে ভ্যাটিক্যানের আর্চবিশপ পোপ ফ্রান্সিস বলেছেন, এমন বহুত্ববাদী ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রজ্ঞার ফসল। গত বুধবার এক ভিডিওবার্তায় তিনি বলেন, অনন্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য ও আধুনিক দেশ বাংলাদেশ, সোনার বাংলা, যেখানে ভিন্ন ঐতিহ্য ও সম্প্রদায়ের মানুষ ভাষা ও সংস্কৃতির ঐকতানে এগিয়ে যাচ্ছে। এটা বাংলাদেশিদের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উত্তরাধিকারের একটি। আলোচনা ও সংলাপের সংস্কৃতির প্রসার তিনি করেছিলেন, যেটা তার প্রজ্ঞা, জ্ঞানের গভীরতা ও বিস্তৃত লক্ষ্যে থেকে উৎসারিত
গত বুধবার জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং বলেন, আজকে আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মবার্ষিকী এবং এমন একটি দেশের ৫০তম বার্ষিকী উদযাপন করছি, যেটার জন্য তিনি পুরো জীবন ব্যয় করেছেন। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, অন্যকে বলার মত একটি গল্প প্রত্যেক মানুষ ও জাতির অবশ্যই থাকা উচিত। বিশ্বের সব মানুষকে বলার মত একটি চমৎকার গল্প বাংলাদেশকে দিয়ে গেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাতই মার্চের ভাষণের পথ ধরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে মন্তব্য করে জাতিসংঘ শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থার (ইউনেস্কো) মহাপরিচালক অড্রে অ্যাজুলাই বলেছেন, জাতির পিতার ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ ভাষণে বৈশ্বিক মানবাধিকার ও মর্যাদার মূল্যবোধও প্রতিফলিত হয়েছে।
অন্যদিকে শৈশবে বাবার সঙ্গে এসে যে বাংলাদেশ দেখেছিলেন, সেই দেশের ৫০ বছর পূর্তিতে উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় বদলে যাওয়ার চিত্রই ধরা পড়ছে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর চোখে। বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে গত বুধবার আয়োজিত ‘মুজিব চিরন্তন’ অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী পর্বে এক ভিডিও বার্তায় শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেন, সে সময়ের আর এখনকার বাংলাদেশ ভিন্ন। এখন বাংলাদেশে অনেক উন্নয়ন ঘটেছে, দারিদ্র্য কমেছে।
মুজিব চিরন্তন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষে গত শুক্রবার ঢাকায় এসেছিলেন। বিমানবন্দরে মাহিন্দা রাজাপক্ষেকে অভ্যর্থনা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিমানবন্দরে শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রীকে লালগালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়। দেওয়া হয় গার্ড অব অনার। এদিকে স্বাধীনতার ৫০ বছরে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে যে উন্নয়ন ঘটিয়েছে, তার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করে নেপালের প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভান্ডারি বলেছেন, এতে মিত্রদেশ হিসেবে নেপালও আনন্দিত। অনুষ্ঠানের ষষ্ঠ দিনের আয়োজনে গত সোমবার অতিথি হিসেবে যোগ দেন বিদ্যা দেবী ভান্ডারি। সে সময় নেপালের প্রেসিডেন্ট বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক বিকাশ ও উন্নতি ঘটেছে এবং বাংলাদেশ দারিদ্র্যমুক্ত হয়েছে। বাংলাদেশের মানুষের জীবনমানের পরিবর্তন দেখে মিত্ররাষ্ট্র হিসেবে নেপাল অত্যন্ত আনন্দিত।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদকে দেওয়া এক বিশেষ শুভেচ্ছা বার্তায় যুক্তরাজ্যের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ বলেছেন, বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে সম্পর্কের ভিত্তি গভীর বন্ধুত্বের ও সৌহার্দ্যের। এই সম্পর্কের গুরুত্ব ও তাৎপর্য ৫০ বছর আগের মতোই অটুট আছে। বৈশ্বিক স্বাস্থ্যঝুঁকি মোকাবিলা করে এই সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরও সুন্দর হয়ে উঠবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। প্রসঙ্গত, ১৭ মার্চ থেকে ২৬ মার্চ পর্যন্ত ১০ দিনব্যাপী আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে বিদ্যমান কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে দেশি-বিদেশী অতিথিরা অংশ গ্রহণ করেন।