আজকের দিন তারিখ ২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সোমবার, ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
সারাদেশ চট্টগ্রামে কুমারী মায়ের আসনে তৃতীয় শ্রেণির শ্রেয়া

চট্টগ্রামে কুমারী মায়ের আসনে তৃতীয় শ্রেণির শ্রেয়া


পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: অক্টোবর ২৪, ২০২০ , ১:০৪ অপরাহ্ণ | বিভাগ: সারাদেশ


চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : নগরের পাথরঘাটার রাধাগোবিন্দ ও শান্তনেশ্বরী মাতৃমন্দিরে অনুষ্ঠিত হলো কুমারী পূজা। শনিবার (২৪ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টায় শ্যামল সাধু মোহন্ত মহারাজের পৌরহিত্যে কুমারী পূজা সম্পন্ন হয়।
২০০৪ সাল থেকে এ মন্দিরে কুমারী পূজা হয়ে আসছে। প্রতিবছর ভক্তদের উপচে পড়া ভিড় থাকলেও এবার করোনা মহামারীর কারণে সবার মুখে ছিল মাস্ক।
এবার কুমারী মায়ের আসনে বসানো হয়েছে সেন্ট যোসেফস স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী শ্রেয়া বিশ্বাস (তাথৈ)। তার বয়স ৯ বছর হওয়ায় কালসন্দর্ভা নামে পূজা করা হয়। শাস্ত্রমতে এ নামের কুমারী পূজিত হলে দারিদ্র্য ও শত্রু বিনাশ হয়।  কুমারী মায়ের আসনে শ্রেয়া বিশ্বাস। ছবি: উজ্জ্বল ধরশ্রেয়া দেওয়ানজী পুকুর পাড়ের ডা. বিপ্লব বিশ্বাস ও স্মৃতিকণা বিশ্বাসের বড় নাতনি। তার বাবা শ্যাম কুমার বিশ্বাস ও মা তনিমা বিশ্বাস (টিনা)।
শাস্ত্রমতে ১৬টি উপকরণ দিয়ে পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। এরপর অগ্নি, জল, বস্ত্র, পুষ্প ও বাতাস এই পাঁচ উপকরণে দেওয়া হয় ‘কুমারী’ মা’-এর পূজা। অর্ঘ্য প্রদানের পর দেবীর গলায় পরানো হয় পুষ্পমাল্য।
মহাঅষ্টমীর দিন মানবকল্যাণের জন্য ১ থেকে ১৬ বছরের কুমারী কন্যাকে মনোনীত করা হয়। বয়সভেদে নাম হয় ভিন্ন। এক বছর বয়সে সন্ধ্যা, দুইয়ে সরস্বতী, তিনে ত্রিধামূর্তি, চারে কালিকা, পাঁচে সুভগা, ছয়ে উমা, সাথে মালিনী, আটে কব্জিকা, নয়ে অপরাজিতা, দশে কালসন্ধর্ভা, এগারোয়া রুদ্রানী, বারোয়, ভৈরবী, তেরোয় মহালক্ষ্মী, চৌদ্দয় পীঠনায়িকা, পনোরয় ক্ষেত্রজ্ঞা এবং ষোল বছরে অম্বিকা বলা হয়।
কুমারী মায়ের আসনে শ্রেয়া বিশ্বাসশ্যামল সাধু মোহন্ত মহারাজ ভক্তদের উদ্দেশে বলেন, কুমারী আদ্যাশক্তি মহামায়ার প্রতীক। দুর্গার আরেক নাম কুমারী। মূলত নারীকে যথাযথ মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করতে কুমারী পূজা করা হয়। মাটির প্রতিমায় যে দেবীর পূজা করা হয় তারই বাস্তব রূপ কুমারী পূজা।
কুমারীতে সমগ্র জাতির শ্রেষ্ঠ শক্তি, পবিত্রতা, সৃজনী ও পালনী শক্তিসহ সব কল্যাণী শক্তি সূক্ষ্মরূপে বিরাজিত। কুমারী প্রতীকে জগৎজননীর পূজায় পরম সৌভাগ্য লাভ হয়। এ রূপ কুমারী সমগ্র জগতের বাক্যস্বরূপা, বিদ্যাস্বরূপ। তিনি এক হাতে অভয় ও অন্যহাতে বর দেন।
শ্রেয়ার মা-বাবা জানান, মেয়ে কুমারী পূজায় অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছে সে জন্য আমরা নিজেদের পরম সৌভাগ্যবান মনে করছি।
এবার পূজারী ছিলেন পণ্ডিত শম্ভু ভট্টাচার্য, তন্ত্রধারে ছিলেন দেবব্রত নাথ (জুয়েল)। সহযোগিতায় ছিলেন পরম বৈষ্ণব বাবলু মিত্র, সুভাষ বিশ্বাস, বাবলা চক্রবর্তী, রুবেল আচার্য, জুয়েল দাশ প্রমুখ।