আজকের দিন তারিখ ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রবিবার, ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
/////হাইলাইটস///// চীন-ভারত সংঘাত: কার শক্তি বেশি?

চীন-ভারত সংঘাত: কার শক্তি বেশি?


পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: জুন ১৭, ২০২০ , ৪:০৬ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: /////হাইলাইটস/////


দিনের শেষে ডেস্ক :  চীন এবং ভারতের মধ্যে বড় ধরনের যুদ্ধ বা সম্মুখ সমর হয়েছিল একবারই। সেটা ১৯৬২ সালে। ওই যুদ্ধের পর গত প্রায় ৬০ বছরে এশিয়ার এই দুটি দেশ বিপুল সমরাস্ত্র ভাণ্ডার গড়ে তুলেছে। পরমাণু শক্তিধর দুই দেশের মধ্যে শত্রুতাও ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। যার ফলাফল গত সোমবারের সীমান্ধ সংঘর্ষ যাতে দুই পক্ষের বেশ কিছু সেনা হতাহত হয়েছে। এ ঘটনার পর দুই দেশের মধ্যে সামরিক উত্তেজনা হঠাৎ করেই বহুগুণ বেড়ে গেছে। এ অবস্থায় চীন ও ভারতের মধ্যে যুদ্ধ লাগলে কি হবে তার পরিণাম। এই লড়াইয়ে কার বিজয়ী হওয়ার সম্ভবনা বেশি? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে হলে আমাদের দুই দেশের শক্তিমত্তা সম্পর্কে জানতে হবে।

সামরিক শক্তিতে কে বেশি সুবিধাজনক অবস্থানে?

দুটি দেশেরই বিপুল অস্ত্রসম্ভার রয়েছে এবং এসব অস্ত্রশস্ত্র বেশ আধুনিক। গত ২০ বছর ধরে দুটি দেশ শুধু নিজেরাই সমরাস্ত্র তৈরি করেনি, একই সঙ্গে অস্ত্র আমদানিও করেছে। বিশেষ করে ভারত পরপর পাঁচ বছর বিশ্বের সবচাইতে বেশি অস্ত্র আমদানিকারক দেশের স্থান দখল করেছিল। যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া এবং ইসরায়েল থেকে তারা অনেক অত্যাধুনিক অস্ত্র এনেছে। তারা নিজেরাও বিদেশি প্রযুক্তি এনে নিজেরা অস্ত্র তৈরি করেছে।

তবে চীন বেশিরভাগ অস্ত্র এখন নিজেরাই উৎপাদন করে থাকে। যদিও চীন রাশিয়া থেকেও কিছু অস্ত্র কিনেছে।

কাজেই অত্যাধুনিক অস্ত্র দুপক্ষেরই আছে। কিন্তু প্রশ্ন হলো গিরিসংকুল পার্বত্য এলাকায় তারা সেইসব অস্ত্র কতটা ব্যবহার করতে পারবে।

বিমান বহর এবং ক্ষেপণাস্ত্র হয়তো তারা ব্যবহার করতে পারবে। কিন্তু যাকে আমরা সেনাবাহিনী বলি, যারা মাটিতে যুদ্ধ করে, তারা তাদের গোলন্দাজ, সাঁজোয়া বা ট্যাংক বহর খুব একটা ব্যবহার করতে পারবে বলে মনে হয় না।

গত কদিন ধরে গণমাধ্যমে, বিশেষ করে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমগুলোতে দুই দেশের সামরিক শক্তির অনেক তুলনামূলক হিসেব দেয়া হচ্ছে। তিব্বত আর শিনজিয়াং অঞ্চলে চীনের কত যুদ্ধবিমান, কত সৈন্য আর ট্যাংক আছে, তার পাশাপাশি ভারতের সীমান্তবর্তী এলাকায় যে কমান্ডগুলো রয়েছে, সেখানে কত সৈনিক আর সরঞ্জাম আছে।

কিন্তু এ ধরনের অংকের হিসেব আসলে একেবারেই সঠিক নয়। কেননা যার যত সৈন্যই থাকুক, নানা কারণে সব সৈন্য কোন দেশই মোতায়েন করতে পারে না। কারণ যেখানে এই যুদ্ধ হবে, সেখানকার ভূপ্রকৃতি এবং যোগাযোগ ব্যবস্থাকেও বিবেচনায় নিতে হবে। সবচেয়ে বড় কথা, যে জায়গা নিয়ে বিরোধ, সেটা কোন দেশের কাছে কত বেশি গুরুত্বপূর্ণ এবং সেটির জন্য তারা কতটুকু পর্যন্ত বলপ্রয়োগ করতে প্রস্তুত, সেটাই হচ্ছে আসল প্রশ্ন।