তারা হলেন -সিটি ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট তৌহিদুর রহমান ওরফে স্যাম তৌহিদ, তার স্ত্রী মিসেস আইরিন ইসলাম নীলা তৌহিদ, তিন সন্তান তানভীর তাওহীদ, ফারবিন তাওহীদ, ফারহান তাওহীদ, আইরিন ইসলামের বৃদ্ধা মা আলতাফুন নেসাও। নিহত আইরিনের ভাতিজা তাওসীফ হোসেন জানান, তারা পুলিশের মাধ্যমে জানতে পেরেছেন স্যাম তৌহিদের দুই ছেলে নিজেরা ঠিক করেছিলো তারা সুইসাইড করবে এবং সেই সাথে পুরো পরিবারকে মেরে ফেলবে। সে অনুযায়ী তারা হত্যাযজ্ঞ সম্পন্ন করে থাকতে পারে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ সংক্রান্ত একটি সুইসাইডাল নোট রেখে গেছে ১৯ বছর বয়সী ছোট ছেলে। যেখানে সে নিজেকে মানসিক বিকারগ্রস্ত বলে উল্লেখ করেছেন।

তবে নিহতদের পারিবারের ঘনিষ্ঠজন ও প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, দুই ভাইয়ের মানসিক সমস্যার কথা তারা জানতেন না। দুই ভাই ছিলো খুবই সপ্রতিভাবান, পড়াশোনায়ও ছিলো ভালো। তাদের বাবা স্যাম তৌহিদ দুই ছেলেকে নিয়ে সব সময় গর্ব করতেন। নিহতের স্বজনরা জানান, আমেরিকার পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, গেলো শনিবার তাদের মৃত্যু হতে পারে। সঠিক কারণ উদঘাটনে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

জানা যায়, দুই ছেলে এবং এক মেয়ে নিয়ে টেক্সাসের ডালাসের অ্যালেন হোমে বসবাস করতেন বাংলাদেশি দম্পতি তাওহীদুল ইসলাম ও আইরিন ইসলাম। আইরিন ইসলামের মা আলতাফুন নেসা বাংলাদেশের পাবনা থেকে এসেছিলেন মেয়ের কাছে থাকার জন্যে। দেশে ফেরার কথা থাকলেও, করোনার কারণে আটকা পড়েছিলেন তিনি। নিউ ইয়র্কে বসবাসকারী কমিউনিটি অ্যাকটিভিস্ট ও পাবনার বাসিন্দা গোপাল সান্যাল বলেন, ‘মর্মান্তিক ঘটনাটির শিকার পরিবারটি বাড়ি পাবনার দোহারপাড়ার বিখ্যাত হায়দার পরিবারের সদস্য।