আজকের দিন তারিখ ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সোমবার, ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
/////হাইলাইটস/////, জাতীয় তনু হত্যা: সিআইডির ডিএনএ প্রতিবেদন ময়নাতদন্তকারীদের হাতে

তনু হত্যা: সিআইডির ডিএনএ প্রতিবেদন ময়নাতদন্তকারীদের হাতে


পোস্ট করেছেন: admin | প্রকাশিত হয়েছে: জুন ৭, ২০১৬ , ৩:২০ অপরাহ্ণ | বিভাগ: /////হাইলাইটস/////,জাতীয়


1)কুমিল্লা: কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের ছাত্রী ও নাট্যকর্মী সোহাগী জাহান তনুর পুরো ডিএনএ প্রতিবেদন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের (কুমেক) ফরেনসিক বিভাগে হস্তান্তর করা হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এ প্রতিবেদন হস্তান্তর করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন দ্বিতীয় ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক বোর্ডের প্রধান ডা. কেপি সাহা।

এর আগে সোমবার রাতে ঢাকার সিআইডির ফরেনসিক বিভাগ থেকে তনুর ডিএনএ আলামতের প্রতিবেদন কুমিল্লা সিআইডি কার্যালয়ে এসে পৌঁছেছে।

সোমবার রাতে মুঠোফোনে কুমেকের ফরেনসিক বিভাগ ও দ্বিতীয় ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক বোর্ডের প্রধান ডা. কেপি সাহা জানান, ‘আমরা ডিএনএ প্রতিবেদনের অপেক্ষায় আছি, ডিএনএ প্রতিবেদন হাতে পেলে ময়নাতদন্তকারী বোর্ডের সভা আহ্বান করে স্বল্প সময়ের মধ্যেই প্রতিবেদন দেয়া হবে।’

জানা যায়, গত ২৯ মে তনুর ভেজাইনাল সোয়াব ও দাঁতের ডিএনএ প্রতিবেদন ফরেনসিক বিভাগে হস্তান্তর করতে সিআইডিকে নির্দেশ দিয়েছিলেন কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মুস্তাইন বিল্লা।

কিন্তু তনুর ভেজাইনাল সোয়াব, অন্তর্বাস, শরীরের অংশবিশেষ, কাপড়, চুলসহ ভিন্ন ভিন্ন ডিএনএ প্রতিবেদন একসঙ্গে সন্নিবেশ থাকায় পুরো প্রতিবেদনই ফরেনসিক বিভাগে সরবরাহ করার যৌক্তিকতা তুলে ধরে সিআইডি পুনরায় গত রোববার আদালতে এ আবেদন করলে আদালত ওই নির্দেশ দেন।

উল্লেখ্য, গত ২০ মার্চ রাতে কুমিল্লা সেনানিবাসের একটি জঙ্গল থেকে তনুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ২১ মার্চ দুপুরের দিকে কুমেক হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রভাষক ডা. শারমিন সুলতানা তনুর ময়নাতদন্ত করেন। ৪ এপ্রিল প্রকাশ করা প্রথম ময়নাতদন্তে তনুর মৃত্যুর কারণ বা ধর্ষণের আলামত উল্লেখ ছিল না।

এরপর ৩০ মার্চ দ্বিতীয় দফায় ময়নাতদন্তের জন্য তনুর মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন ও ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়। গত ১৪ মে কুমিল্লার আদালতে এসে পৌঁছায় নিহত তনুর ৭টি বিষয়ের ডিএনএ প্রতিবেদন। ১৬ মে তনুর ভেজাইনাল সোয়াবে তিন পুরুষের শুক্রানু পাওয়ার খবর সিআইডি থেকে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশের পর তনুর মৃত্যু নিয়ে আবারো আলোচনার ঝড় ওঠে। ওই ডিএনএ প্রতিবেদন পেতে ফরেনসিক বিভাগের চিঠি চালাচালির পর বিষয়টি গড়ায় আদালত পর্যন্ত।