আজকের দিন তারিখ ২৭শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বুধবার, ১২ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
/////হাইলাইটস///// দেশি সিনেমা দেখতে ভালোই লাগে : প্রধানমন্ত্রী

দেশি সিনেমা দেখতে ভালোই লাগে : প্রধানমন্ত্রী


পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: মার্চ ২৩, ২০২২ , ২:৩৮ অপরাহ্ণ | বিভাগ: /////হাইলাইটস/////


দিনের শেষে ডেস্ক :   বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আজ বুধবার দুপুর ১২টার দিকে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০২০ প্রদান করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি এই আয়োজনে যুক্ত হন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানান, আকাশ পথে তিনি বাংলা সিনেমা দেখেন। এমনকি কেউ তার কাছে সিনেমা পাঠালে তিনি সেটা আগ্রহ সহকারে দেখেন। আর সিনেমা দেখতে তার ভালোই লাগে। প্রধানমন্ত্রীর ভাষ্য, ‘প্লেনে করে দেশের বাইরে গেলে দেশি সিনেমা দেখি। প্রোডাকশনগুলো খুব ভালো লাগে। কেউ যদি পেনড্রাইভে ছবি পাঠান সেটাও দেখি। সিনেমা দেখতে ভালোই লাগে। আমাদের দেশের সুপ্ত প্রতিভা আছে। তাদের কাজ দেখে মুগ্ধ হই।’ তিনি বলেন, সিনেমায় জীবন দর্শন প্রকাশ পায়, ইতিহাসের বার্তাবাহক। তাই বিনোদনের সঙ্গে শিক্ষামূলক নির্মাণে উৎসাহ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এবার মোট ২৭টি বিভাগে ৩২টি পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। যৌথভাবে শ্রেষ্ঠ সিনেমা হয়েছে চয়নিকা চৌধুরী পরিচালিত ‘বিশ্বসুন্দরী’ ও গাজী রাকায়েত পরিচালিত ‘গোর’। এর মধ্যে ‘বিশ্বসুন্দরী’ থেকে চিত্রনায়ক সিয়াম শ্রেষ্ঠ অভিনেতা ও ‘গোর’ থেকে চিত্রনায়িকা দীপান্বিতা মার্টিন হয়েছেন শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী। সর্বোচ্চ ১১টি পুরস্কার পেয়েছে সরকারি অনুদানের সিনেমা ‘গোর’।

আর ৮টি পুরস্কার নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে চয়নিকা চৌধুরীর ‘বিশ্বসুন্দরী’। ‘গোর’ সিনেমার জন্য ব্যক্তি হিসেবে সর্বোচ্চ চারটি পুরস্কার পেলেন গাজী রাকায়েত। আজীবন সম্মাননা গ্রহণ করেছেন অভিনেতা রাইসুল ইসলাম আসাদ। তবে যৌথভাবে আজীবন সম্মাননা পাওয়া জীবন্ত কিংবদন্তি অভিনেত্রী আনোয়ারা সশরীরে উপস্থিত হয়ে পুরস্কার গ্রহণ করতে পারেননি। তার পক্ষে এটি গ্রহণ করেন তার মেয়ে অভিনেত্রী মুক্তি। পুরস্কার দেওয়ার আগে তাদের নিয়ে তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

আজীবন সম্মাননা গ্রহণ করার সময় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে আসাদ বলেন, ‘যুদ্ধ ফেরত আসাদকে জোর-জবরদস্তি করে চলচ্চিত্রে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। ১৯৭২ বেতার-মঞ্চ, ৭৩ সালে চলচ্চিত্রে। যারা আমাদের এ পর্যায়ে নিয়ে এসেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। বাদ পড়ার ভয়ে তাদের কারও নাম স্মরণ করছি না। তবে একজনের কথা বলতেই হয়- সোহেল সামাদ, সহযোদ্ধা। বয়সে ছোট, অধিকারে বড়। ১৯৭১ সালে ডিসেম্বরের ২৫ বা ২৬ তারিখে প্রথম সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ঢাকায়। সেখানেই আমার কণ্ঠকে প্রথম ব্যবহার করা হয়। সোহেল সামাদ আমাকে মঞ্চে তুলে দেয়। ব্যস শুরু হয়ে গেল। কৃতজ্ঞতা জানাই তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতি। যারা আমাকে এ সম্মানের উপযুক্ত মনে করেছেন। পুরস্কারপ্রাপ্তদের সবার পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা।’

এরপর মঞ্চে কথা বলেন তথ্যসচিব মকবুল হোসেন, জাতীয় সংসদের তথ্যবিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি হাসানুল হক ইনু এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।