আজকের দিন তারিখ ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সোমবার, ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
জাতীয় দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবেই: কৃষিমন্ত্রী মতিয়া

দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবেই: কৃষিমন্ত্রী মতিয়া


পোস্ট করেছেন: admin | প্রকাশিত হয়েছে: জুন ৭, ২০১৬ , ১১:৩৬ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: জাতীয়


motiaকাগজ অনলাইন ডেস্ক: আমাদের অর্থের সংকট রয়েছে, তবে বর্তমান সরকার যে বে-হিসাবী নয়, তা বাজেট বাস্তবায়নে দেখিয়ে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী।

সোমবার (০৬ জুন) সন্ধ্যায় জাতীয় সংসদে ২০১৫-১৬ অর্থবছরের সম্পূরক বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মতিয়া চৌধুরী বলেন, শেখ হাসিনা সরকার দেশকে উন্নয়নের পথে নিয়ে যেতে যেখানে যে অর্থের প্রয়োজন তা দিতে পেরেছে। সুশৃঙ্খলভাবে দেশ পরিচালনার এটিই বড় প্রমাণ। সমস্ত প্রতিকূলতা কাটিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দৃঢ় সংকল্প নিয়ে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করছেন। যা গোটা বিশ্ব অবাক বিস্ময়ে দেখছে। সামরিক শাসকদের মতো আমরা বলবো না, ‘মানি ইজ নো প্রবলেম’।

জাসদের মইন উদ্দীন খান বাদল বলেন, শত-শত প্রকল্প বারবার সংশোধিত হয়েছে। এটি এখন অনেকটা তামাশায় পরিণত হয়েছে। চলতি অর্থবছরে রাজস্ব আদায় কেন লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি, এ বিষয়ে কেন আলোচনা হয় না?

তিনি আরও বলেন, ৮০ হাজার কোটি টাকার ঘাটতি কীভাবে মোকাবেলা করা হবে, সে ব্যাপারেও সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই। ব্যাংক ও পুঁজিবাজার সংকট রয়েছে। আর্থিক প্রতিষ্ঠানে প্রচণ্ড দস্যুতা ও লুটপাট চলছে। এসব বিষয়ে অর্থমন্ত্রীর কোনো পরিষ্কার জবাব নেই। চৌর্যবৃত্তির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে না পারলে বাজেটের সুফল কখনই আসবে না।

জাতীয় পার্টির নুরুল ইসলাম মিলন বলেন, ৩৮টি মন্ত্রণালয় অতিরিক্ত বরাদ্দের দাবি করেছে। কিন্তু কেন অতিরিক্ত বরাদ্দ প্রয়োজন তা উল্লেখ করা হয়নি।

এতে অর্থ ব্যয়ের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অনেক প্রকল্প শুরুর আগেই দেখা গেছে, কোটি কোটি টাকা খরচ হয়ে গেছে। বছর বছর ধরে অনেক প্রকল্প চলছে। এসব প্রকল্প ৫-১০ ভাগ বাস্তবায়ন না হলেও বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচ দেখানো হয়েছে।

রুস্তম আলী ফরাজী বলেন, প্রতি বছরের শেষে সম্পূরক বাজেটে বরাদ্দ বাড়ানোর বিষয়টি এখন রেওয়াজে পরিণত হয়েছে। অস্বচ্ছতা, দুর্নীতি ও অসততার কারণে সময় মতো প্রকল্পের কাজ শেষ না করায় ব্যয় বৃদ্ধি পায়, এদিকে নজর দিতে হবে। ১৫টি মন্ত্রণালয় বরাদ্দকৃত ব্যয় করতে পারেনি।

আবার ৩৮টি মন্ত্রণালয় বরাদ্দের চেয়ে বেশি ব্যয় করেছে। এর প্রকৃত কারণ অবশ্যই সস্পূরক বাজেটে উল্লেখ থাকতে হবে।