আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এই দুর্গোৎসবে দরকার হলে মন্দিরে মন্দিরে পাহারায় থাকার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি নেতাকর্মীরা সক্রিয়ভাবে থাকবে এটা আশা করি। সতর্ক ও সক্রিয়ভাবে থেকে সব ধরনের উদ্বেগ দূর করার আহ্বান জানাচ্ছি। গতবারের দুর্ভাগ্যজনক অভিজ্ঞতা থেকে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। সারা দেশের মন্দিরে মন্দিরে, মণ্ডপে মণ্ডপে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সতর্কভাবে পাহারা দিতে হবে, শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে নির্দেশ দিচ্ছি। আওয়ামী লীগ মনে-প্রাণে চিন্তা-চেতনায় একটি অসাম্প্রদায়িক দল। আমাদের প্রায় প্রতিদিনের বক্তব্যে অসাম্প্রদায়িক চেতনার যে বিষয়টি আমরা ধারণ করি এবং সভা-সমাবেশে, বিক্ষোভে দৃঢ়কণ্ঠে উচ্চারণে আমরা কখনও দ্বিধাগ্রস্ত হই না। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উদ্দেশ করে মন্ত্রী বলেন, আপনারা আতঙ্কিত হবেন না, উদ্বিগ্ন হবেন না। আমরা আপনাদের পাশে আছি।
তিনি বলেন, বিভিন্ন দলীয় পরিচয়ে দুর্বৃত্তরা এ ধরনের ঘটনা ঘটায়। আমি মনে করি যারা এ ধরনের ঘটনা ঘটায়, যে পরিচয়েই হোক তাদের একমাত্র পরিচয় হচ্ছে দুর্বৃত্ত। আওয়ামী লীগ পরিচয়েও দুর্বৃত্ত আছে। দলের পরিচয় ব্যবহার করে অনেক দুর্বৃত্ত এসব ঘটনা ঘটিয়েছে। বিভিন্ন জেলায় লক্ষ করেছি। আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, সনাতন ধর্মাবলম্বীরা তাদের সবচেয়ে বড় যে উৎসব সেই উৎসবকে সামনে রেখে আতঙ্কে থাকবে, উদ্বিগ্ন থাকবে, এটা হতে পারে না। হিন্দু-মুসলমান-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান সবার ভোটেরই মূল্য সমান। আপনারাও ভোটার। এ দেশের নাগরিক আপনারা। দ্বিতীয়, তৃতীয় শ্রেণির নাগরিক এটা কারোরই মনে করা উচিত না। কারও ভোটের মূল্য বেশি, কারও ভোটের মূল্য কম নয়।
মতবিনিময় সভায় আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি, সংস্কৃতি সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া উপস্থিত ছিলেন।