আজকের দিন তারিখ ২৫শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বুধবার, ১০ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
রাজনীতি পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যাবে বিএনপি?

পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যাবে বিএনপি?


পোস্ট করেছেন: delwer master | প্রকাশিত হয়েছে: জুন ১, ২০২২ , ১১:১০ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: রাজনীতি


দিনের শেষে ডেস্ক : স্বপ্নের পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শেষ। আগামী ২৫ জুন সেতুর উদ্বোধন হবে। সেতুর নির্মাণকাজের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাদের কথার লড়াই চলছে। এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সম্প্রতি বলেছেন, পদ্মা সেতু উদ্বোধনের কথা শুনলেই বিএনপির মুখ কালো হয়ে যায়। এর জবাবে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, পদ্মা সেতু জনগণের টাকায় হয়েছে, কারও পকেটের টাকায় হয়নি। আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন ক্ষমা চেয়ে পদ্মা সেতু দিয়ে যেতে পারেন বিএনপি নেতারা। বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, পদ্মা সেতু জনগণের ট্যাক্সের টাকায় নির্মাণ হয়েছে। পদ্মা সেতু নিয়ে তারা এত রাজনীতি করছেন কেন? বিএনপি সরকারের সময় যমুনা সেতু হয়েছে, আমরা সেগুলো নিয়ে এত মাতামাতি করিনি। ক্যাম্পাসে তাদের ছাত্র সংগঠন যে পরিস্থিতি করেছে, অনুষ্ঠানে গেলেও এ ধরনের পরিস্থিতি হবে না, তার নিশ্চয়তা কী। আমরা এই ধরনের স্টান্টবাজিমূলক বক্তব্যকে গুরুত্ব দেই না। যদিও রাজনৈতিক বাগযুদ্ধের পাশাপাশি ওবায়দুল কাদের বলেছেন, পদ্মা সেতু উদ্বোধনের সময় বিএনপি নেতাদেরও আমন্ত্রণ জানানো হবে। এ পরিস্থিতিতে এখন রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা গুঞ্জন চলছে। অনেকের প্রশ্ন, পদ্মা সেতুর উদ্বোধনে যে জাঁকালো আয়োজন হবে, সেখানে আমন্ত্রণ পেলে বিএনপির কোনো প্রতিনিধি বা নেতৃত্ব যাবেন কি না। বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ে কথা বলে জানা গেছে, আমন্ত্রণ পেলে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি দলটি। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সময়মতো প্রতিক্রিয়া জানানো হবে। তবে তাদের অভিযোগ, পদ্মা সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিএনপির উপস্থিতি সরকার চায় না। বিএনপিপ্রধান খালেদা জিয়াকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে বক্তব্য দিয়েছেন তাতে বিএনপির পদ্মা সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যাওয়ার পরিবেশ নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।

আমন্ত্রণ পেলে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিএনপির যোগ দেওয়া উচিত হবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে পদ্মা সেতুর সরাসরি উপকারভোগী অঞ্চল গোপালগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শরীফ রাফিকুজ্জামান জাগো নিউজকে বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার দেশের যে গণতন্ত্রহীন পরিবেশ করেছে, এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল নেতাদের এভাবে নিজস্ব মতামত দেওয়া কঠিন। তবে দলীয় হাইকমান্ড যে সিদ্ধান্ত নেবে সেটাই আমরা সমর্থন করি। বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য বজলুল করিম চৌধুরী আবেদ বলেন, ‘পদ্মা সেতুর মতো জাতীয় ইস্যুতে অবশ্যই বিএনপি থাকতে চায়। কিন্তু সরকার সেই পরিবেশ নষ্ট করেছে। বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনৈতিক দলের নেত্রী তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশের অধিকাংশ মানুষের আবেগ অনুভূতির নাম খালেদা জিয়াকে নিয়ে তিনি (প্রধানমন্ত্রী) যে মন্তব্য করেছেন, তাতে প্রমাণ হয় সরকার চায় না বিএনপি পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে থাকুক।’

খুলনা বিভাগীয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুণ্ডু বলেন, ‘এই অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকারের কোনো কর্মকাণ্ডে বিএনপির যাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।’

পদ্মা সেতুর উপকারভোগী জেলা বরিশাল। সেই বরিশালের রাজনীতিক বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, পদ্মা সেতু নিয়ে তারা এত রাজনীতি করছেন কেন? বিএনপি সরকারের সময় যমুনা সেতু হয়েছে, আমরা সেগুলো নিয়ে এত মাতামাতি করিনি। ক্যাম্পাসে তাদের ছাত্র সংগঠন যে পরিস্থিতি করেছে, অনুষ্ঠানে গেলেও এ ধরনের পরিস্থিতি হবে না, তার নিশ্চয়তা কী। আমরা এ ধরনের স্ট্যান্টবাজিমূলক বক্তব্যকে গুরুত্ব দেই না।

এ বিষয়ে এখনই কোনো মন্তব্য করতে রাজি নন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। তিনি বলেন, আগে আমন্ত্রণ আসুক তারপর দেখা যাবে। স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, এটা আমি বলতে পারবো না। এটা তো পার্টির সিদ্ধান্ত। স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, এটা আমাদের দলের বিষয়। আমন্ত্রণ দিলে দলের সিদ্ধান্ত হবে, তারপর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যা হওয়ার হবে। দল সময়মতো প্রতিক্রিয়া দেবে।