পর্দা উঠছে জমকালো ইউরোর
পোস্ট করেছেন: admin | প্রকাশিত হয়েছে: জুন ১০, ২০১৬ , ৩:১৩ অপরাহ্ণ | বিভাগ: স্পোর্টস,স্পোর্টস লীড
অনলাইন স্পোর্টস ডেস্ক: ইতোমধ্যেই জমকালো উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হয়ে গেছে। আর কয়েক ঘণ্টা পরেই মাঠে গড়াবে ১৫তম ইউরোপ শ্রেষ্ঠত্বের আসর উয়েফা ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ (ইউরো)। উদ্বোধনী ম্যাচে স্বাগতিক ফ্রান্সের বিপক্ষে মাঠে নামবে রোমানিয়া।
কাগজে-কলমে ফ্রান্স এগিয়ে থাকলেও রোমানিয়াকে খাটো করে দেখার সুযোগ নেই। গত মাসের ফিফা র্যাংকিংয়েও দুই ধাপ এগিয়ে ছিল তারা। সবশেষ র্যাংকিংয়ে চার ধাপ এগিয়ে ১৭তম স্থানে উঠে আসে দিদিয়ের দেশমসের শিষ্যরা। অন্যদিকে, তিন ধাপ পিছিয়ে ২২ নম্বরে নেমে যায় রোমানিয়া।
ন্যাশনাল স্টেডিয়াম স্ট্যাড ডি ফ্রান্স এ ফ্রান্স-রোমানিয়া ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপের পর সবচেয়ে জনপ্রিয় এ টুর্নামেন্ট উপভোগ করবেন দর্শকরা। বাংলাদেশ সময় শুক্রবার (১০ জুন) দিবাগত রাত ১টায় হাইভোল্টেজ ম্যাচটি শুরু হবে। ‘এ’ গ্রুপের অপর ম্যাচে শনিবার সন্ধ্যা ৭টায় আলবেনিয়ার মুখোমুখি হবে সুইজারল্যান্ড।
স্বাগতিক হওয়ার সুবাদে এবারের আসরের অন্যতম ফেভারিট ফ্রান্স। দু’বারের ইউরো চ্যাম্পিয়নদের সামনে এবার তৃতীয় শিরোপার চ্যালেঞ্জ। সবশেষ ২০০০ আসরে বর্তমান কোচ দেশমসের নেতৃত্বে শিরোপা উল্লাসে মেতেছিল ৯৮’র বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
নিয়মিত অধিনায়ক করিম বেনজেমার অনুপস্থিতিতে সত্ত্বেও আক্রমণভাগে বিশ্বমানের সব ফরোয়ার্ড পাচ্ছেন দেশমস। সতীর্থ ম্যাথিউ ভালবুয়েনার সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগে আইনি তদন্ত চলার কারণে ইউরো স্কোয়াডেই সুযোগ পাননি রিয়াল মাদ্রিদ তারকা।
রোমানিয়ার রক্ষণভাগ একাই কাঁপিয়ে দিতে পারেন অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদের হয়ে চমৎকার মৌসুম কাটানো অ্যান্তোনি গ্রিজম্যান। কিংসলি কোমান, অলিভার জিরুদ, অ্যান্তোনি মার্শালরা তো আছেনই। মিডফিল্ডে প্রতিপক্ষের জন্য ব্লেইস মাতুইদি ও পল পগবা কতটা বিপদজনক হয়ে উঠতে পারেন তা নিশ্চয়ই ফুটবলপ্রেমীদের অজানা নয়।
দুর্দান্ত ফর্ম নিয়েই ইউরো মিশনে নামছেন পল পগবারা। সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলিয়ে শেষ ১০ ম্যাচের মধ্যে ৯টিতেই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে দেশমসের শিষ্যরা। সবশেষ গত রোববার (৫ জুন) প্রীতি ম্যাচে স্কটল্যান্ডকে ৩-০ গোলে হারিয়ে ইউরোর শেষ প্রস্তুতি সেরে নেয় স্বাগতিকরা।
রোমানিয়ার বিপক্ষে সবশেষ ১০ ম্যাচে অপরাজেয় ফ্রান্স। কিন্তু শেষ পাঁচবারের দেখায় চারটিই ড্রয়ের মুখ দেখে। অপরদিকে, কোয়ালিফাইং রাউন্ডে অ্যাঙ্গেল লর্ডান্সকুর শিষ্যদের ডিফেন্সিভ রেকর্ড চোখে পড়ার মতো। ১০ ম্যাচে মাত্র দু’টি গোল হজম করে তারা।
ইউরোয় এর আগে দু’বার মুখোমুখি হয়েছিল দু’দল। ১৯৯৬ সালের ইভেন্টে ১-০ গোলের জয় পায় ফ্রান্স। আর ২০০৮ আসরের ম্যাচটি গোলশূন্য ড্রতে নিষ্পত্তি হয়।