আজকের দিন তারিখ ২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সোমবার, ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
বিনোদন ‘পাবলিক ফিগাররা জনগণের বাবার সম্পত্তি, যখন যা খুশি বলা যায়’

‘পাবলিক ফিগাররা জনগণের বাবার সম্পত্তি, যখন যা খুশি বলা যায়’


পোস্ট করেছেন: delwer master | প্রকাশিত হয়েছে: জানুয়ারি ১৩, ২০২৪ , ১০:২৭ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: বিনোদন


দিনের শেষে ডেস্ক : ভারতীয় বাংলা সিনেমার অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখার্জি। জীবনটা নিজের শর্তে উপভোগ করেন। ঠোঁটকাটা স্বভাবের হওয়ায় সমকালীন নানা বিষয় নিয়েও কথা বলতে পিছপা হন না। তা ছাড়া খোলামেলা পোশাকে তোলা ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে প্রায়ই আক্রমণের শিকার হন। মোদ্দাকথা, বিতর্কের অপর নাম— ‘স্বস্তিকা।’ সম্প্রতি ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন স্বস্তিকা মুখার্জি। এ আলাপচারিতায় এ অভিনেত্রীকে জানানো হয়, ‘বিতর্ক’ আর ‘বিস্ফোরক’ শব্দ স্বস্তিকাতে ঘিরে রেখেছেৃ। এ প্রসঙ্গে স্বস্তিকা মুখার্জি বলেন, ‘‘আমি যদি গাজা (ফিলিস্তিন) নিয়ে কথা বলি, সেটা নিয়েও কাগজে কেউ লিখলেন— ‘গাজা নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন স্বস্তিকা’। এটা কি বিস্ফোরক? বিস্ফোরণ তো সত্যি সত্যি সেখানে হচ্ছে। নিজের সুবিধার জন্য কাগজের লোকজন ওইসব বিস্ফোরক, বিতর্ক শব্দগুলো জুড়ে দেয়। আমার বলা কথাগুলো খুব সাধারণ। বিশ্বাস করুন, আমি অসাধারণ কোনো কথা বলি না।’’ তারকাদের বিয়েবিচ্ছেদ কিংবা ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে মানুষের আগ্রহ অনেক। স্বাভাবিক কারণে তারকাদের নিয়ে সংবাদমাধ্যমে লেখালেখি হয়ৃ। বিষয়টি তুলে ধরার পর স্বস্তিকা মুখার্জি বলেন, ‘সংবাদমাধ্যম কীভাবে বিষয়টিকে তুলে ধরছে সেটাও ভেবে দেখা জরুরি। আমজনতার সামনে কোন খবরকে কীভাবে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে, সে বিষয়ে সংবাদকর্মীদের একটি বড় দায়িত্ব থাকে। আমি তো মনে করি, পাবলিক ফিগাররা জনগণের বাবার সম্পত্তি। আমাদের নিয়ে যখন খুশি যা ইচ্ছা বলাই যায়। আমি এটা অনেকদিন আগেই মেনে নিয়েছি। এটা নিয়ে আর মাথা ব্যথা নেই। চল্লিশ উর্ধ্ব বয়স মানেই, অর্ধেক জীবন আপনি কাটিয়ে দিয়েছেন। মানুষ আমাকে নিয়ে কী বলল, কী লিখল তা নিয়ে যদি পড়ে থাকি তাহলে বাঁচব কখন?’ পুরুষ তারকাদের কথা উল্লেখ করে স্বস্তিকা মুখার্জি বলেন, ‘আরেকটি বিষয় না বললেই নয়, পাবলিক ফিগার যদি ছেলে হয় আর সে দু’বার বিয়ে করে তাহলে কারো মাথাব্যথা হয় না। কিন্তু একটা মেয়ে যদি দু’বার বিয়ে করে, সে যদি পাবলিক জায়গার মধ্যে চলে আসে; তাকে নিয়ে সবচেয়ে বেশি কথা হয়। এটা আমাদের সমাজের নিয়ম। আমার জীবদ্দশায় তো এটা পাল্টাবে বলে মনে হয় না।’