আজকের দিন তারিখ ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সোমবার, ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
সারাবিশ্ব, সারাবিশ্ব লীড ফ্লোরিডার নাইট ক্লাবে হামলায় আইএস’র দায় স্বীকার

ফ্লোরিডার নাইট ক্লাবে হামলায় আইএস’র দায় স্বীকার


পোস্ট করেছেন: admin | প্রকাশিত হয়েছে: জুন ১৩, ২০১৬ , ১২:৪৭ অপরাহ্ণ | বিভাগ: সারাবিশ্ব,সারাবিশ্ব লীড


RT_florida_অনলাইন আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের অরল্যান্ডো শহরের পালস ক্লাবে হামলা করে ৫০ জনকে হত্যার দায় স্বীকার করেছে জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটস (আইএস)।

আইএস নিয়ন্ত্রিত সংবাদসংস্থা আমাক নিউজ এজেন্সির বরাত দিয়ে আর্ন্তজাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো জানিয়েছে, রোববারের (১২ জুন) এ হামলার দায় ইসলামী জঙ্গি সংগঠন আইএস স্বীকার করেছে। হামলাকারীর টার্গেট ছিল আমেরিকার ফ্লোরিডার ওই নাইট ক্লাবের কমপক্ষে ১০০ জনকে হত্যা অথবা আহত করা।

আর্ন্তজাতিক সংবাদ মাধ্যম সিবিএস নিউজ জানায়, হামলার আগে ওমর মতিন (২৯) নামে ওই বন্দুকধারী ৯১১ নম্বরে ফোন করে অপারেটরকে এ হামলা আইএস’র সংশ্লিষ্টতার কথা উল্লেখ করেন এবং সারনায়েভ ব্রাদারস এর কথা বলেন। যারা ২০১৩ সালে বোস্টন ম্যারাথনে বোমা হামলা চালিয়েছিল।

এ ঘটনার পর অরল্যান্ডো মেয়র বাডি দিয়ার রাজ্যটিতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন।

অরল্যান্ডো পুলিশের প্রধান জন মিনার বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, শনিবার (১১ জুন) দিবাগত রাত ২টা থেকে ৫টা পর্যন্ত ক্লাবটিতে গুলির ঘটনা ঘটে। এ সময় সেখানে অন্তত ৩২০ জন লোক ছিলেন।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই’র এক মুখপাত্র জানান, হামলায় হ্যান্ডগান ও এআর-১৫ টাইপের অস্ত্র ব্যবহার করেছেন হামলাকারী।

এদিকে ক্লাবে হামলাকারী মার্কিন নাগরিক বলে জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ। ওমর মতিন নামে ওই হামলাকারী পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন।

স্থানীয় পুলিশ জানায়, নিহত ওমর ফ্লোরিডার এসটি লুইস কাউন্টিতে বাস করতেন। ওমরের মা আফগান নাগরিক ছিলেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় একটি সংবাদমাধ্যম।

জন মিনার জানান, হামলার সময় ওমর বেশ কয়েকজনকে জিম্মি করে রাখে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পৌঁছলে তার সঙ্গে গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে পুলিশের গুলিতে নিহত হয় ওমর। এ সময় পুলিশের এক সদস্যও নিহত হন।

পরে আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়। এদিকে আহতদের চিকিৎসায় রক্তের সংকট দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

হামলার ঘটনায় কোনো জঙ্গি সংগঠন জড়িত কিনা তা খতিয়ে দেখছে দেশটির পুলিশ। ঘটনাটিকে ‍অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক বলে অভিহিত করেছেন অনেকেই।

এর আগে ২০০৭ সালে ভার্জেনিয়ায় বন্দুকধারীদের হামলায় ৩২ জন নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছিল।