আজকের দিন তারিখ ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রবিবার, ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
রাজনীতি বগুড়ায় বিএনপি-যুবলীগ সংঘর্ষ, পুলিশসহ আহত ২৫

বগুড়ায় বিএনপি-যুবলীগ সংঘর্ষ, পুলিশসহ আহত ২৫


পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: নভেম্বর ১৫, ২০২৩ , ৫:১৮ অপরাহ্ণ | বিভাগ: রাজনীতি


দিনের শেষে ডেস্ক :  বগুড়ার শেরপুরে অবরোধ কর্মসূচি পালনের সময় বিএনপি-যুবলীগের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় শেরপুর থানার ওসি এবং আরো ৪ পুলিশসহ মোট ২৫ জন আহত হয়েছেন।  বুধবার বেলা সড়ে ১১টার দিকে উপজেলার ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের হাসপাতাল মোড়ে এই সংঘর্ষ হয়। জানা গেছে, সকালে অবরোধের সমর্থনে জেলা বিএনপির উপদেষ্টা ও সাবেক সংসদ সদস্য জিএম সিরাজের নেতৃত্বে একটি মিছিল বের হয়। মিছিলটি হাসপাতাল রোড মোড়ে  পৌঁছালে সেখানে উপজেলা যুবলীগের একটি মিছিলের মুখোমুখি হয়। এ সময় দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। প্রায় আধঘণ্টা ধরে চলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বেশ কয়েকটি টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে।

 

আহতরা হলেন, শেরপুর থানার ওসি বাবু কুমার সাহা, এসআই হাসান, কনস্টেবল মো. শামীম, মো. রেজাউল, মো. আলফাজ, সাংবাদিক এ জেড হিরা ও জাতীয় শ্রমিক লীগ শেরপুর উপজেলা আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মাজেদুল ইসলাম, সুঘাট ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, সীমাবাড়ি ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ রানা, ২নং ওয়ার্ডের সভাপতি কামাল হোসেনসহ ৭জন, বিএনপি-সেচ্ছাসেবকদলের আহতদের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি।

জেলা বিএনপির উপদেষ্টা ও সাবেক এমপি গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ বলেন, সকাল ১০টায় আমি বগুড়ার বনানীতে অবরোধের মিছিলে শরিক হই। এরপর শেরপুরে নির্ধারিত অবরোধের কর্মসূচিতে অংশ নেই। আমাদের মিছিল ১০০ ভাগ শান্তিপূর্ণ ছিল। আমি প্রশাসনকেও আশ্বস্ত করেছিলাম ইটস মাই রেসপন্সিবিলিট- ইতোপূর্বেও কোন অঘটন হয়নি। আজকেও হবে না। আমরা মিছিল নিয়ে রাস্তার মাঝখানে আসার পর আমাদের দিকে যুবলীগ-আওয়ামী লীগের লোকজন ককটেল নিক্ষেপ শুরু করে। এ সময় পুলিশ ছিল মাঝখানে। পুলিশ সে সময় টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে। আমি মনে করি পুলিশ ওই সময় টিয়ারসেল না মারলে সংঘর্ষ আরো হতো। সংঘর্ষটা হয়তো এড়ানো গেছে। কিন্তু টিয়ারসেল এবং তাদের ককটেলে আমাদের বেশ কিছু নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।

শেরপুর থানার ওসি বাবু কুমার সাহা বলেন, বিএনপি ও যুবলীগের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধলে পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে ছত্রভঙ্গ করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে আমিসহ পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এ ছাড়া আরও ১০ জনের আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।