আজকের দিন তারিখ ২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সোমবার, ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
/////হাইলাইটস///// বঙ্গবাজারের আগুনে ক্ষয়ক্ষতির ঘটনায় রাষ্ট্রপতির দুঃখ প্রকাশ

বঙ্গবাজারের আগুনে ক্ষয়ক্ষতির ঘটনায় রাষ্ট্রপতির দুঃখ প্রকাশ


পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: এপ্রিল ৫, ২০২৩ , ৪:৪৫ অপরাহ্ণ | বিভাগ: /////হাইলাইটস/////


দিনের শেষে প্রতিবেদক :  রাজধানীর বঙ্গবাজার মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। বুধবার (৫ এপ্রিল) এক বার্তায় অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের প্রতি সহমর্মিতা জানান রাষ্ট্রপতি। এদিকে এখনও থেমে থেমে জ্বলছে এনেক্সকো টাওয়ারের আগুন। বঙ্গবাজারের আগুনে শেষ সম্বলটুকু হারিয়ে কেবলই ব্যবসায়ী-মালিক ও শ্রমিকদের আর্তনাদ ভারী হয়ে উঠেছে আশপাশের এলাকা। ঈদের আগে জীবিকা হারিয়ে পথে বসেছেন হাজার হাজার মানুষ।

বুধবার (৫ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বঙ্গবাজারের অগ্নিকাণ্ডের সার্বিক অবস্থা এবং ফায়ার সার্ভিসের বর্তমান কার্যক্রম নিয়ে সাংবাদিকদের ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশনস অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম জানান, এনেক্সকো টাওয়ারের প্রতিটি দোকানেই নির্ধারিত সীমার চেয়ে অতিরিক্ত পণ্য মজুত ছিল। এ কারণে আগুন স্থায়ীভাবে নেভাতে সময় লাগছে। তবে পুরো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং ফের আগুনের সূত্রপাত হওয়ার আশঙ্কা নেই।

তাজুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার সারাদিন, সারারাত পর্যায়ক্রমে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে রাখতে কাজ করেছেন এবং এখনও তা অব্যাহত আছে। তবে দোকানগুলোতে অতিরিক্ত পণ্য মজুতের কারণে ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের অভিযানে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে। তারা আগুনের উৎসের কাছাকাছি যেতে পারছেন না। এজন্য কিছুটা সময় লাগছে এবং মাঝেমধ্যেই ধোঁয়া দেখা যাচ্ছে।  তিনি বলেন, ‘মূলত এই ভবনে মালামাল মজুতের ক্ষেত্রে যেসব নিয়ম-নীতি মানা প্রয়োজন ছিল, সেটি সম্পূর্ণ অনুপস্থিত। তবে আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আমরা আগুন বাড়তে দিচ্ছি না।’

বঙ্গবাজারের কাপড়ের ব্যবসায়ীরা সারাবছর মুখিয়ে থাকেন এ রোজার ঈদের পানে। কিছুটা বাড়তি আয়ের আশা আর পরিবার পরিজনদের নিয়ে স্বাচ্ছন্দ্যে ঈদ করার। অথচ আগুনে পুড়ে ছারখার বঙ্গবাজার, ছারখার লাখো মানুষের স্বপ্ন। বঙ্গবাজার শুধু রাজধানীবাসীর বাজারই ছিল না এটি দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের চাহিদা মেটাত। বিশেষ করে নিম্নবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষের ভালো পোশাকের আশ্রয়স্থল ছিল এ বাজার।

এদিকে আগুনে পুড়ে ছারখার বঙ্গবাজারের ব্যবসায়ীদের স্বপ্ন। কাজ হারিয়ে দিশেহারা কর্মচারীরা। ঈদের আগে জীবিকা হারিয়ে পথে বসে গিয়েছেন দোকান মালিক-কর্মী-শ্রমিকসহ হাজার হাজার মানুষ। সরকারি সহায়তার আশায় ক্ষতিগ্রস্তরা। তাকিয়ে আছেন সরকারের দিকে। মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) ভোর ৬টা ১০ মিনিটে রাজধানীর বঙ্গবাজার মার্কেটে আগুন লাগার খবর পাওয়া যায়।

জানা গেছে, সংবাদ পাওয়ার পর ফায়ার সার্ভিসের প্রথম ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ভোর সোয়া ৬টার দিকে। একে একে ৪৮টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে যোগ দেয়। উদ্ধারকাজ ও আগুন নিয়ন্ত্রণে যোগ দেয় সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর দলও। সবার চেষ্টায় বঙ্গবাজারে লাগা ভয়াবহ আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে প্রায় সাড়ে ৬ ঘণ্টা পর।