বরগুনার তালতলীতে ধর্ষণের শিকার ৭ বছরের শিশু
পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: অক্টোবর ৪, ২০২০ , ১২:০৬ অপরাহ্ণ | বিভাগ: সারাদেশ
তালতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি : বরগুনার তালতলীতে ৭ বছরের এক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় সোহেল প্যাদা (২০) নামে এক যুবক জড়িত বলে জানিয়েছে শিশুটি। শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে শিশুটিকে গ্রাম পুলিশের সহযোগিতায় উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, আমতলী উপজেলার পূর্ব চুনাখালী গ্রামের বাসিন্দা শিশুটির বাবা পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে দিনমজুরের কাজ করেন। কাজের সুবিধার জন্য স্ত্রী ও দুই শিশু কন্যাকে তালতলী উপজেলার শারিকখালী গ্রামের শ্বশুরবাড়িতে রেখে যান তিনি।
বৃহস্পতিবার বিকালে তার শিশু কন্যা বাড়ি সংলগ্ন ব্রিজের নিকট খেলতে যায়। সেখান থেকে শিশুটির সৎ মামা ফারুক প্যাদার ছেলে সোহেল প্যাদা লুকোচুরি খেলার কথা বলে ডেকে নেয়। এরপর তার চাচা ছালাম প্যাদার নির্জন রান্না ঘরে নিয়ে হাত-পা ও মুখ চেপে ধরে ধর্ষণ করে বলে জানায় শিশুটি।
দু’দিন ধরে রক্তক্ষরণ হয়েছে বলে জানিয়েছে শিশুটির পরিবার।
এদিকে ঘটনা কাউকে বললে তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয় বখাটে সোহেল। সেই ভয়ে কাউকে বলেনি। পরে শরীরের যন্ত্রণা সইতে না পেরে দু’দিন পর শনিবার বিকালে শিশুটি তার নানীর কাছে ঘটনা জানায়। ওইদিন রাত সাড়ে ৮ টার দিকে শিশুটিকে গ্রাম পুলিশ মামুন মিয়া ও আবদুল মালেকের সহযোগিতায় আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়।
ধর্ষণের শিকার শিশুর মা বলেন, আমার মেয়েকে লুকোচুরি খেলার কথা বলে ডেকে নিয়ে সোহাগ প্যাদা হাত-পা ও মুখ বেঁধে অমানষিক নির্যাতন করেছে। এ ঘটনা জানাজানি হয়ে গেলে সোহেলের পরিবারের লোকজন আমাকে জীবন নাশের হুমকি দিয়েছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ফারজানা আক্তার দিনা বলেন, শিশুটির বিষয় খুবই স্পর্শকাতর। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে যথাযথ চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। তালতলী থানার ওসি মো. কামরুজ্জামান বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।