আজকের দিন তারিখ ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রবিবার, ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
/////হাইলাইটস///// বাজেটে ৩৩৫ কোটি টাকা বরাদ্দ পাচ্ছে সংসদ সচিবালয়

বাজেটে ৩৩৫ কোটি টাকা বরাদ্দ পাচ্ছে সংসদ সচিবালয়


পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: জুন ৮, ২০২০ , ২:৫৮ অপরাহ্ণ | বিভাগ: /////হাইলাইটস/////


দিনের শেষে ডেস্ক :    জাতীয় সংসদে ১১টি নতুন পদ সৃষ্টিসহ বিভিন্ন পদে নতুন করে কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়ে আগামী অর্থবছরের জন্য সংসদ সচিবালয়ের জন্য ৩৩৫ কোটি ৩৪ লাখ টাকা বরাদ্দ অনুমোদন দিয়েছে সংসদ কমিশন। বরাদ্দকৃত এই টাকা সংসদে কর্মরতদের ৫ শতাংশ হারে বেতন বাড়ানো, সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ব্যয় বৃদ্ধি, সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ইনহাউজ প্রশিক্ষণ, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির ৬৯২ জন কর্মচারীর পোশাক, আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে পরিচ্ছন্নতা কর্মী ও অটোরিকশা চালক নিয়োগ, প্রাধিকারভুক্ত কর্মকর্তাদের মোটরযান রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয়, স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ওষুধ এবং রিএজেন্ট ক্রয়ে খরচ করা হবে।

এছাড়া অধিবেশন চলাকালীন বার্তাবাহক ও দৈনিক ভিত্তিক কর্মচারী নিয়োগসহ অন্যান্য বিভিন্ন চাহিদাও পূরণ করা হবে এই টাকায়।

জাতীয় সংসদ ভবনে সোমবার অনুষ্ঠিত সংসদ কমিশনের ৩০তম বৈঠকে নতুন অর্থবছরের জন্য এই টাকা বরাদ্দ ও অনুমোদন দেয়া হয়। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এ বৈঠকে কমিশনের সদস্য প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা অংশ নেন।

এছাড়া অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী, সংসদ সচিব জাফর আহমেদ খান, অর্থ সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সচিব শহীদ উল্লাহ খন্দকারসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। সার্বভৌম প্রতিষ্ঠান জাতীয় সংসদের সংশ্লিষ্টদের বেতন-ভাতাসহ আনুষঙ্গিক ব্যয় নির্বাহের জন্য প্রতিবছরই কমিশন বৈঠকে বাজেট বরাদ্দ অনুমোদন দেওয়া হয়। পরে তা অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। এছাড়া সংসদ সচিবালয়ের নতুন পদ সৃষ্টি, প্রকল্প প্রণয়নসহ বিভিন্ন নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এ বৈঠকে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০২০-২০২১ অর্থ বছরে জাতীয় সংসদের জন্য উন্নয়ন ও অনুন্নয়ন খাতে মোট ৩৩৫ কোটি ৩৪ লাখ টাকার বাজেট অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৩৩৪ কোটি ৫১ লাখ টাকা পরিচালন খাতে এবং ৮৩ লাখ টাকা উন্নয়ন খাতে। বিদায়ী অর্থ বছরের মূল বাজেটে পরিচালন খাতে ৩২৭ কোটি ৩৯ লাখ টাকা এবং উন্নয়ন খাতে ৮৩ লাখ টাকাসহ মোট ৩২৮ কোটি ২২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পরিচালন খাতের বরাদ্দ থেকে ৫ কোটি ৩৭ লাখ ৮০ হাজার টাকা সংসদ খরচ করতে না পারায় সোমবার কমিশন সভায় তা কমিয়ে ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের সম্পূরক বাজেট অনুমোদন করা হয়। উন্নয়ন খাতের ব্যয়ে কোনো হেরফের না হওয়ায় সম্পূরক বাজেটের পরিমাণ দাঁড়ায় মোট ৩২ কোটি ২৮ লাখ ৪২ হাজার টাকা। এই হিসাবে নতুন অর্থবছরে জাতীয় সংসদের বাজেট বিদায়ী অর্থ বছরের মূল বাজেটের তুলনায় ৩ দশমিক ৮৮ শতাংশ এবং সম্পূরক বাজেটের তুলনায় ৩ দশমিক ৮৭ শতাংশ বেড়েছে। নতুন অর্থবছরে বর্ধিত বরাদ্দের পুরোটাই পরিচালন খাতের। উন্নয়ন খাতের বরাদ্দ চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটের মত আগামী অর্থবছরের জন্য ৮৩ লাখ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

কমিশন বৈঠকের একটি সূত্র জানায়, সংসদের কর্মচারীদের বার্ষিক ৫ শতাংশ হারে বেতন বৃদ্ধি, নতুন কর্মকর্তা নিয়োগ, ভিভিআইপিদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন ও অন্যান্য সকল ভাতা পরিশোধ, সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ইনহাউজ প্রশিক্ষণ, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির ৬৯২ জন কর্মচারীর পোশাক, আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে পরিচ্ছন্নতা কর্মী ও অটোরিকশা চালক নিয়োগ, প্রাধিকারভুক্ত কর্মকর্তাদের মোটরযান রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয়, সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতির কার্যালয়ে আপ্যায়ন ব্যয়, স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ওষুধ এবং রিএজেন্ট ক্রয়, অধিবেশন চলাকালীন বার্তাবাহক ও দৈনিক ভিত্তিক কর্মচারী নিয়োগসহ বিভিন্ন চাহিদার কারণে নতুন অর্থবছরে পরিচালন খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয় এই বৈঠকে। দীর্ঘ আলোচনা শেষে বৈঠকে ২০২১-২০২২ অর্থবছরে ৩৫৮ কোটি ৮১ লাখ টাকা এবং ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরের ৩৮৩ কোটি ৯৩ লাখ টাকার বাজেট প্রক্ষেপণ অনুমোদন করা হয়েছে।

বৈঠকে ডেপুটি স্পিকার ও চিফ হুইপের নিরাপত্তা সংক্রান্ত পুলিশ প্রটেকশনের জন্য দুটি ডাবল কেবিন পিকআপ ভ্যান এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাওয়া একটি অ্যাম্বুলেন্স টিওএন্ডই এ অন্তর্ভুক্ত করা, সংসদ সচিবালয়ের বিভিন্ন বিভাগে ১১টি নতুন পদ সৃষ্টিসহ পদোন্নতির বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়া সংসদ সচিবালয় কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ বিধিমালা সংশোধন, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি এবং সংসদীয় কমিটির সভাপতিদের কার্যালয়ে ২১ ইঞ্চি সিআরটি টেলিভিশনের পরিবর্তে ৪০ ইঞ্চি এলইডি টেলিভিশন সরবরাহের প্রস্তাব অনুমোদন, সংসদ সচিবালয়ের সমন্বয় সভা এবং অধিবেশন প্রস্তুতিমূলক সভায় সরবরাহ করা নাস্তায় জনপ্রতি বরাদ্দ ও সংখ্যা বৃদ্ধি, সংসদ ভবনের নিরাপত্তা বৃদ্ধি, মেরামতসহ সংসদ ভবনের সার্বিক উন্নয়নের জন্য সুপারিশ করে কমিটি।