আজকের দিন তারিখ ২৫শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বুধবার, ১০ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
জাতীয় বিএনপির হরতাল : রাজধানীতে যান চলাচল কম, ছাড়েনি দূরপাল্লার বাস

বিএনপির হরতাল : রাজধানীতে যান চলাচল কম, ছাড়েনি দূরপাল্লার বাস


পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: নভেম্বর ১৯, ২০২৩ , ১২:০৫ অপরাহ্ণ | বিভাগ: জাতীয়


দিনের শেষে প্রতিবেদক : ইসির জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার প্রতিবাদে সারাদেশে বিএনপির ডাকা ৪৮ ঘণ্টার হরতাল চলছে। কিছু বাস চলতে দেখা গেলেও তাতে যাত্রীর উপস্থিতি তুলনামূলক কম। এছাড়া সকাল থেকে ঢাকা ছেড়ে যায়নি দূরপাল্লার বাস।
সরেজমিনে দেখা গেছে, হরতালের প্রথম দিন রোববার (১৯ নভেম্বর) সকালে পৌনে আটটা থেকে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত রাজধানীর ফার্মগেট, আসাদগেট, কল্যাণপুর, আগারগাঁও, মিরপুর রোড, গাবতলী, মিরপুর, পল্লবী, কালশী, মৌচাক, মালিবাগ, মগবাজার ও খিলক্ষেতে যান চলাচল কম ছিল। এসব সড়কে স্বল্প সংখ্যক প্রাইভেটকার চলতে দেখা গেছে। কিছু বাস চলাচল করলেও তাতে যাত্রীর উপস্থিতি তুলনামূলক কম ছিল। এ প্রসঙ্গে পথচারী পল্লব আচার্য বলেন, ‘আসাদগেট ও ফার্মগেট এলাকায় বাসের চেয়ে তুলনামূলক প্রাইভেটকারের সংখ্যা একটু বেশি। কিছু বাস চলতে দেখা গেলেও তাতে যাত্রীর উপস্থিতি কম ছিল।’ মগবাজারের বাসিন্দা আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘বাসে যেতে ভয় করে। কখন যে আগুন দেয়! কিন্তু অফিসে যেতেই হয়। বাসের জন্য আধাঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও আসেনি।’ সরেজমিনে দেখা গেছে, রাজধানীর মগবাজার, মালিবাগ ও মৌচাক এলাকায় মোড়ে মোড়ে নাশকতার আশঙ্কায় পুলিশ মোতায়েন করে রাখা হয়েছে। এদিকে রাজধানীর অন্যান্য সড়কের তুলনায় কল্যাণপুর বাসস্ট্যান্ডে বাসের সংখ্যা সীমিত ছিল। এ প্রসঙ্গে আরেক পথচারী স্বপ্না বেগম বলেন, ‘কল্যাণপুর বাসস্ট্যান্ডে ১৫ মিনিট দাঁড়িয়ে থাকার পর বাস পেয়েছি। হরতাল থাকায় অফিসে আসার সময় ভোগান্তি হয়েছে।’
অনলাইনকে রুহুল কবির নামের একজন বলেন, ‘গত ৭-৮ দিন ধরে কাজ পাচ্ছি না। আজকেও পাবো না। দুই মাস ধরে এমনিতেই কাজ কম। হরতাল ও অবরোধের কারণে কাজ আরও কমে গেছে। এর মধ্যে আমরা কেউ কাজ করছি’ হরতালের প্রভাবে রাজধানী ছাড়াও দূরপাল্লার বাস চলাচলও সীমিত ছিল। সরেজমিনে রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনাল ফাঁকা দেখা গেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন পরিবহন কর্মকর্তা জানান, ‘সকাল থেকে এখনও দূরপাল্লার কোনো বাস ঢাকা ছেড়ে যায়নি।’ উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার বিএনপির ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ শেষে দলের সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এক ভার্চুয়াল প্রেস ব্রিফিংয়ে হরতালের ঘোষণা দেন। এ সময় নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে ও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলসহ গ্রেপ্তারকৃত সব নেতাকর্মীর মুক্তির জন্য হরতাল পালনের ঘোষণা দেন তিনি।