আজকের দিন তারিখ ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার, ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
স্পোর্টস বিদায়বেলায় ‘গার্ড অব অনার’ পেলেন আলিম দার

বিদায়বেলায় ‘গার্ড অব অনার’ পেলেন আলিম দার


পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: এপ্রিল ৮, ২০২৩ , ২:০১ অপরাহ্ণ | বিভাগ: স্পোর্টস


দিনের শেষে প্রতিবেদক : আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম বার টেস্ট খেলতে নেমে ৭ উইকেটের জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের এই জয়টা স্মরণীয় হয়ে থাকল আরো একটি কারণেও। এই টেস্ট দিয়েই আইসিসির আম্পায়ারদের এলিট প্যানেল থেকে সরে দাঁড়ালেন পাকিস্তানের অভিজ্ঞ আম্পায়ার আলিম দার। গত মাসেই আইসিসির আম্পায়ারদের এলিট প্যানেল থেকে বিদায়ের ঘোষণা দেন পাকিস্তানের ৫৪ বছর বয়সী এই আম্পায়ার। সেই ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতেই এলিট প্যানেলের সদস্য হিসেবে শেষ বারের মতো বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ডের মধ্যকার একমাত্র টেস্টটি পরিচালনা করতে নামেন তিনি। ম্যাচটি শেষ হওয়ার মধ্যদিয়েই ‘সাবেক’ বনে গেলেন তিনি। তো এলিট প্যানেলের সদস্য হিসেবে বিদায় বেলায় উষ্ণ অভ্যর্থনাই পেয়েছেন আম্পায়ার আলিম দার। বাংলাদেশ ও আয়ারল্যান্ড, দুই দলের ক্রিকেটাররাই মাঠে সারি বদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে ‘গার্ড অব অনার’-এর সম্মানে ভূষিত করেছে তাকে। পরে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডও (বিসিবি) তাকে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করেছে। দীর্ঘ ১৯ বছর আইসিসির এলিট প্যানেলে থাকা এই আম্পায়ারের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। সেই ২০০০ সালে আম্পায়ারিং পেশায় নাম লেখানো আলিম দার পাকিস্তানের প্রথম আম্পায়ার হিসেবে আইসিসির আম্পায়ারদের এলিট প্যানেলে নাম লেখান ২০০২ সালে। তারও দুই বছর পর থেকে তার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আম্পায়ারিংয়ের যাত্রা শুরু। সেই থেকে ক্রিকেটের তিন সংস্করণ মিলিয়ে রেকর্ড ৪৪৪টি ম্যাচ পরিচালনা করেছেন তিনি। এর মধ্যে ১৪৫টি টেস্ট, ২২৫টি ওয়ানডে ও ৬৯টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ পরিচালনা করেছেন। বাকি ৬টি ম্যাচ তিনি পরিচালনা করেছেন মেয়েদের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে। ২০০৯ থেকে ২০১১, টানা তিন বছর তিনি পেয়েছেন আইসিসির বর্ষসেরা পুরস্কার। আলিম দারের সবচেয়ে বড় অর্জন-২০০৬ আইসিসি ট্রফির ফাইনাল, ২০০৭ ও ২০১১ ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনাল, ২০১০ ও ২০১২ আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে আম্পায়ারিংয়ের দায়িত্ব পালন করা। এলিট প্যানেল থেকে সরে দাঁড়ালেও আলিম দার আম্পায়ারিং চালিয়ে যাবেন। মানে আন্তর্জাতিক আম্পায়ার হিসেবে ম্যাচ পরিচালনা চালিয়ে যাবেন তিনি। অবশ্য পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড যদি চায় তবেই তিনি আম্পায়ারিং চালিয়ে যেতে পারবেন।