বিধিনিষেধে চলছে সবই
পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: আগস্ট ৮, ২০২১ , ১১:১৯ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: /////হাইলাইটস/////
দিনের শেষে প্রতিবেদক : করোনা রোধে চলমান বিধিনিষেধ শেষ হচ্ছে ১০ আগস্ট। এরপর থেকে প্রায় সবকিছু খুলে দিবে সরকার। তবে বিধিনিষেধ শেষ হওয়ার আগেই যেনো তা ভেঙে পড়েছে। রাস্তায় চলছে গাড়ি, পাড়া-মহল্লা ও চায়ের দোকানে চলছে আড্ডা, খুলছে দোকাদনপাটও। জীবিকার তাগিদে মানুষ কোনো বিধিনিষেধই মানছেন না। কোথাও ছিলো না স্বাস্থ্যবিধির বালাই। রোববার সকালে বিধিনিষেধের ১৭তম দিনে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
রাজধানীর শুক্রাবাদ কাচাবাজারের পাশে বেশ কয়েকটি চায়ের দোকান খোলা। ৪ জন আলাপে মশগুল, তাদের জন্য তৈরি হচ্ছে চা। এরমধ্যে কথা হয় শরিফুল ইসলামের সাথে। তার ভাষায়, এভাবে কতদিন বলেন? বাসায় থাকতে থাকতে তো মানসিক রোগি হয়ে যাবো। মানুষের সাথে কথা, স্পর্শে না আসতে পারলে নিজেকে রোবট মনে হয়। তাই বন্ধুদের সাথে একটু চায়ের আড্ডা দিচ্ছি।
এদিকে নগরীতে প্রাইভেট কার, মোটরসাইকেল, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, পণ্যবাহী গাড়িসহ সাধারণ মানুষের উপস্থিতি ছিল অনেক বেশি। তবে বরাবরের মতো সড়কগুলো ছিল রিকশার দখলে। এসময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তল্লাশিচৌকি খুব একটা দেখা মেলেনি। অফিসগামী ইমরান বলছেন, বিধিনিষেধ চললেও অফিস তো বন্ধ নেই। যাতায়াতে খুবই কষ্ট হচ্ছে, গুনতে হচ্ছে বাড়তি ভাড়া। আসলে লকডাউন বলতে এখন কিছুই নেই। বাস বাদে সবই চলছে। দ্বিতীয় দফায় লকডাউন বাড়ানো ঠিক হয়নি।
অন্যদিকে রাজধানীর সায়দাবাদ ও গাবতলী বাস টার্মিনালে এখনও অসংখ্য মানুষ পরিবার-পরিজন নিয়ে শহরে ঢুকছেন। তাদের কাউকে পুলিশের জেরায় পড়তে দেখা যায়নি। তবে কিছু যায়গায় পুলিশের তল্লাশিচৌকি চোখে পড়ে। দু-একটি গাড়ি থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দেওয়া হয়। ঢাকা ফেরা শামীম বলছেন, সংসার চালাতে কষ্ট হচ্ছে। আসলে টাকার কাছে করোনা কিছু না, আমি বাড়ির বড় ছেলে সব দায়িত্ব আমার। টাকা উপার্যন করতে হলে অফিস করতেই হবে। পরশু অফিস শুরু হবে, তাই ঢাকা যাচ্ছি।
হাইওয়ে পুলিশ বলছে, উত্তরবঙ্গ থেকে ঢাকাগামী বাসগুলো ৩/৪ গুণ বেশি ভাড়া নিয়ে রাতের বেলা চলাচল করছে। বেশ কিছু বাস জব্দ করা হয়েছে।অন্যদিকে ঢাকা মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (মিডিয়া) ফারুক হোসেন জানানা, শনিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় লকডাউনের বিধিনিষেধ ভঙ্গ করায় ৩৪২ জনকে গ্রেপ্তার করেছেন তারা। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করা হয়েছে ১৭১ জনকে। এছাড়া ট্রাফিক বিভাগ ৪৯২টি গাড়ির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে।