আজকের দিন তারিখ ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সোমবার, ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা বিশ্বের যত দামি খাবার

বিশ্বের যত দামি খাবার


পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: জানুয়ারি ২৫, ২০২১ , ২:৫৩ অপরাহ্ণ | বিভাগ: স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা


দিনের শেষে ডেস্ক :   কম দামি আর বেশি দামি হোক যে কোন খাবারের শেষ পরিণতি কি হয় তাতো আমরা সবাই জানি। কিন্তু এক বেলার জন্য বা শুধু মাত্র একটি খাবার জন্য আপনাকে যদি লাখ লাখ টাকা খরচ করতে হয় তাহলে কি বলবেন! বিশ্বের সবচেয়ে দামি কিছু খাবার নিয়ে থাকছে বাংলাদেশ জার্নালের আজকের আয়োজন।

অ্যাকোয়া ডি ক্রিস্টালো

বাজার থেকে শেষ কবে পানির বোতল কিনেছিলেন? কিংবা ৭৫০ মি.লি. এর একটি পানির বোতল এর জন্য আপনি সর্বোচ্চ কত টাকা খরচ করতে চাইবেন? খুব বোকার মত প্রশ্ন করে ফেললাম? আপনি এর থেকেও বেশি বোকা হয়ে যাবেন যখন দোকানে গিয়ে দেখবেন একটি ৭৫০ মি.লি. এর পানির বোতলের দাম ৬৫০০ মার্কিন ডলার (৫,৪৬,০০০ টাকা)! বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সংগ্রহ করা মিনারেল ওয়াটার ২৪ ক্যারটের একটি আকর্ষণীয় আর অভিজাত্য পানি পাত্রে ভরে বিক্রি করা হয়।

দ্য ফ্রোজেন হাউট চকলেট আইসক্রিম

একবার ভাবুন তো আপনি আইক্রিম মুখে দিলেন আর সেই সাথে মুখে দিলেন স্বর্ণ। হ্যাঁ এটি বিশ্বের সব থেকে দামি চকলেট আইসক্রিম এবং এটিতে খাওয়ার যোগ্য স্বর্ণ থাকে। শুধু তাই নয়, আইসক্রিম খাওয়ার শেষে এর তলানিতে গিয়ে আপনি পাবেন ১৮ ক্যারেট স্বর্ণের একটি ব্রেসলেট এবং এটি খাওয়ার জন্য দেওয়া হবে বিরল কৃষ্ণ শ্বেত ও চকলেট রঙের হীরক খচিত স্বর্ণের তৈরী একটি চামচ। এই দুটো জিনিসই আপনাকে উপহার হিসেবে দেওয়া হবে। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরে এই আইসক্রিম খাওয়ার জন্য আপনাকে ব্যয় করতে হবে ২৫ হাজার মার্কিন ডলার (২১,০০,০০০ টাকা)।

ডেনসুকি তরমুজ

এটি জাপানের হাক্কাইডু দ্বীপে উৎপাদিত এক ধরনের দূর্লভ প্রজাতির তরমুজ। যা প্রচলিত সবুজ বর্ণের তরমুজের মত নয়। বরং এর রং কালচে হয়ে থাকে। এর ওজন প্রায় ১০ কেজির মত হয়ে থাকে। তাই স্বাভাবিক তরমুজের থেকে এটি আকারে বেশ বড়।এটি শুধুমাত্র জাপানেই পাওয়া যায় এবং এর উৎপাদন হয় খুব সীমিত আকারে। তাই অনেকটা সেই কারনেই এর দাম আকাশচুম্বী। একটি ডেনসুকি তরমুজের জন্য আপনাকে গুণতে হবে ৬ হাজার মার্কিন ডলার কিংবা প্রায় ৫ লাখ টাকা।

ফ্লার বার্গার

পৃথিবী সম্পর্কে মোটামুটি ধারনা রাখে আর কেউ যুক্তরাষ্ট্রের লাস ভেগাস শহরের কথা শোনেনি এমনটা খুঁজে পাওয়া দুর্লভ। সেই শহরেরই একজন শেফ হিউ বার্ড কেলারের তৈরী গরুর মাংসের এই বার্গারে আপনি গরুর মাংস ছাড়াও আরো পাবেন এক ধরনের সুস্বাদু ছত্রাক আর হাসের কলিজা। শুধু তাই নয়, বার্গারের সাথে পরিবেশন করা হয় এক বোতল দামি ওয়াইন। লাস ভেগাসে বসে এমন একটি ফ্লার বার্গার আর ওয়াইন খেতে আপনার অ্যাকাউন্ট থেকে খরচ করতে হবে ৫ হাজার মার্কিন ডলার যা কিনা ৪ লক্ষ ২০ হাজার টাকার সমান।

দ্য গোল্ডেন ক্যানোলি

এটি এক ধরনের পেস্ট্রি। যার উৎপত্তি ইতালিতে। কিন্তু বর্তমানে এটি পাওয়া যায় যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে। এর প্রধান ও মূল আর্কষণ হলো, এটি সম্পূর্ণ একটি স্বর্ণের তৈরী খাবার যোগ্য পাতা দিয়ে এই পেস্ট্রি সম্পূর্ণটা মুড়ে দেওয়া হয়। এর এক একটি পেস্ট্রি বিক্রি হয় ২৬ হাজার মার্কিন ডলার অথবা ২১,৮৪,০০০ টাকায়।

দ্য গোল্ডেন ফিনিক্স কাপ কেক

দুবাইয়ের একটি বেকারি এই কাপ কেকটি তৈরি করে।বিশ্বের সবচেয়ে দামি এই কাপকেইক দুবাইয়ের ‘নিউ ব্লুমসবেরিজ ক্যাফে’তে খাবারের তালিকায় খুঁজে পাওয়া যাবে। ইতালীয় চকোলেট, ২৩ ক্যারেট খাবার যোগ্য সোনার পাত, জৈব ষ্ট্রবেরি এবং প্রচুর খাবার যোগ্য স্বর্ণ রেণুর দ্বারা এই ডিশ তৈরী করা হয়। এই কেক একটি ২৪ ক্যারেট ওজনের সোনার স্ট্যান্ডে পরিবেশন করা হয় এবং এ জন্য ৪৮ ঘন্টা আগে অর্ডার দিতে হয়। শেষপাতের মিষ্টি বা ডেজার্ট হিসেবে এটিই পৃথিবীর সবচেয়ে মূল্যবান। এর দাম ১৮,৭১৩ ডলার (১৫,৭১,৮৯২টাকা)।

ক্যাভিয়ার

২৫০ গ্রাম ক্যাভিয়ার খেতে হলে আপনাকে গুণতে হবে ১ হাজার ৮৭৫ ইউরো মানে টাকায় প্রায় ১ লাখ ৮৮ হাজার ৮৬০ টাকা। ক্যাভিয়ার আসলে স্টার্জন মাছের ডিম। এই মাছগুলোর দেখা মেলে উত্তর ও মধ্য এশিয়া, ইউরোপ এবং উত্তর আমেরিকায়।

সবচেয়ে উৎকৃষ্ট মানের ক্যাভিয়ার হলো ব্ল্যাক ক্যাভিয়ার। স্টার্জন মাছ শীতকালে নদীর মোহনায় পাওয়া যায়। অত্যন্ত সুস্বাদু এই ডিম পশ্চিম ইউরোপে মানুষ ষোড়শ শতক ধরে নিয়মিত খাচ্ছে।

ক্যাভিয়ার প্রস্তুতির সময় ডিমের গা থেকে সতর্কতার সঙ্গে আঁশ এবং চর্বি সরিয়ে ফেলা হয়। তারপর লবণ মাখিয়ে ছোট জারে কিংবা টিনে ভরে রাখা হয়। এর লবণাক্ত স্বাদ অনেক চমৎকার। দামি এ খাবার সবার ভাগ্যে জোটে না। ক্যাভিয়ার মূলত খাওয়া হয় ব্রেড বা টোস্ট দিয়ে কিংবা ড্রিংকের সঙ্গে ছোট ছোট বিস্কুটের ওপর রেখে। ধূসর, হালকা সবুজ ও কালো ক্যাভিয়ার ছাড়াও লাল ক্যাভিয়ার ও আছে। এগুলো স্যামন মাছের ডিম দিয়ে বানানো হয়।

দ্য বার্গার একস্ট্রাভ্যাসেন্ট

নিউইয়র্কের সিরিনীডিপিটি থ্রি’ রেস্তোরায় লভ্য এই নাম বার্গারের দাম ২৯৩ ডলার (প্রায় ২৫ হাজার টাকা)।

এটি তৈরীতে ব্যবহৃত হয় জাপানী ওয়েগু গরুর মাংস, অল্ডারউড স্মোকড প্রশান্ত মহাসাগরীয় লবণে সিজনকৃত ১০টি গুল্ম সফেদ মাখন, ভাজা কোয়েলের ডিম, শোডার পনির, ব্লিন্থি নামক ক্রিম ফ্রেঁ ও কালুগা গোল্ডেন ক্যাভিয়ার সোনালী মাছের ডিম)।

হোয়াইট ট্রাফল-বাটারসহ ক্যামপ্যাগনা রোলে এটা পরিবেশন করা হয়। সাথে দেয়া হয় একটি সোনালী হীরক খচিত শক্ত সোনার টুথপিক বা খিলাল।

 

টু থার্টি ফিফথ হট ডগ

আপনি যদি বিশ্বের সবচেয়ে দামি হট ডগ খেতে চান তবে আপনাকে যেতে হবে নিউইয়র্কের রুফ টপ বার টু থার্টি ফিফথে। দামি মাশরুম, সাদা ট্যাফোল আর ইরানের দামি জাফরান ছাড়াও এটি তৈরীর প্রধান উপকরণ হলো জাপানি ওয়াগিও জাতের গরুর মাংস। যা এর স্বাদকে নিয়ে যাবে অমৃতের কাছাকাছি। এর এক একটি হট ডগ বিক্রি করা হয় ২ হাজার ৩ শত মার্কিন ডলারে যা প্রায় ১ লক্ষ ৯৩ টাকার সমপরিমাণ।