বোনাস দেয়নি ৭৯ শতাংশ শিল্পকারখানা
পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: জুলাই ২৮, ২০২০ , ১২:৪২ অপরাহ্ণ | বিভাগ: অর্থ ও বাণিজ্য
দিনের শেষে প্রতিবেদক : গত সপ্তাহে সরকার, শিল্পমালিক ও শ্রমিকনেতাদের ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে ২৭ জুলাইয়ের মধ্যে শ্রমিকদের উৎসব বোনাস দেওয়ার নির্দেশনা ছিল। তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বেশির ভাগ কারখানাই বোনাস দিতে পারেনি। শিল্পাঞ্চল পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল সোমবার পর্যন্ত শিল্পাঞ্চলে অবস্থিত কারখানার ৭৯ শতাংশই ঈদ বোনাস দিতে ব্যর্থ হয়েছে। শিল্পাঞ্চলে অবস্থিত ৭ হাজার ৬০২টি কারখানার মধ্যে ঈদ বোনাস দিয়েছে মাত্র ১ হাজার ৫৮৮টি কারখানা। বাকি ৬ হাজার ১৪টি কারখানা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। শুধু তাই নয়, এখন পর্যন্ত গত জুনের বেতন দেয়নি ৮১৮টি কারখানা।
শিল্পাঞ্চল পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, বিজিএমইএর সদস্যভুক্ত ১ হাজার ৮৮২টি পোশাক কারখানার মধ্যে ৭৬ শতাংশ কারখানাই বোনাস পরিশোধ করেনি। পোশাকশিল্প মালিকদের আরেক সংগঠন বিকেএমইএর সদস্যভুক্ত কারখানার ৮৯ শতাংশই বোনাস পরিশোধে ব্যর্থ হয়েছে। এছাড়া টেক্সটাইল মিল্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) ৭৮ শতাংশ, বেপজায় অবস্থিত কারখানার ৪৫ শতাংশ এবং এর বাইরে অন্যান্য শিল্পের ৮১ শতাংশ সরকারনির্ধারিত সময়ে বোনাস পরিশোধ করতে পারেনি।
অবশ্য তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, সংগঠনটির সদস্যভুক্ত কারখানার ৭৪ শতাংশই গতকাল নাগাদ ঈদ বোনাস পরিশোধ করেছে। আর বাকি ২৬ শতাংশ কারখানার বোনাস প্রক্রিয়াধীন। বিকেএমইএর সিনিয়র সহসভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, এই ধরনের তারিখ বেঁধে দিয়ে শ্রমিকের বোনাসের অর্থ পরিশোধের নীতিতে আমরা বিশ্বাসী নই। শ্রমিক-মালিক সম্পর্কের ভিত্তিতে বোনাসের অর্থ পরিশোধের জন্য আমরা ইতিমধ্যে সদস্য কারখানাগুলোকে চিঠি পাঠিয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো সমস্যার কথা শুনিনি।
উল্লেখ্য, আগামী ১ আগস্ট দেশব্যাপী ঈদুল আজহা উদ্যাপিত হবে। ঈদের আগে গার্মেন্টস খাতের শ্রমিকদের বোনাসের অর্থ ২৭ জুলাই আর অন্যান্য খাতের শ্রমিকদের ২৫ জুলাইয়ের মধ্যে পরিশোধ করার নির্দেশনা ছিল শ্রম মন্ত্রণালয়ের। এছাড়া চলতি মাসের বেতনের অর্ধেক অর্থ ৩০ তারিখের মধ্যে পরিশোধের নির্দেশনাও ছিল। তবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে বেতন-বোনাস পরিশোধের জন্য ৩০ তারিখ ঠিক করে শ্রমিক সংগঠনসহ সংশ্লিষ্টদের চিঠি পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক জলি তালুকদার গতকাল বলেন, ‘৩০ তারিখে অনেক শ্রমিকই শেষ পর্যন্ত বেতন-বোনাস পাবে না বলে আমাদের আশঙ্কা। পরবর্তী দিন থেকে তো সরকারি বন্ধ শুরু হবে। ফলে তাদের (শ্রমিকদের) তখন কিছুই করার থাকবে না।’