আজকের দিন তারিখ ২৮শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার, ১৩ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
যুক্তরাষ্ট্র ভারতকে ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি

ভারতকে ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি


পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: এপ্রিল ৭, ২০২০ , ৭:১২ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: যুক্তরাষ্ট্র


দিনের শেষে ডেস্ক : ভারত যদি যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন রপ্তানি না করে তাহলে তার পরিণতি ভালো হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন মূলত ম্যালেরিয়া চিকিৎসার ওষুধ। তবে অনেকে মনে করেন করোনাভাইরাস প্রতিরোধেও এটি কার্যকরী। তাদের দলে ট্রাম্পও রয়েছেন।  বৈজ্ঞানিকভাবে এটি এখনও প্রমাণিত না হলেও কিছু কিছু দেশ করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসায় ওষুধটি ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে। করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসায় লাগতে পারে- এমন কথা চিন্তা করে হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন জাতীয় ওষুধ দুই সপ্তাহ আগে রপ্তানি করা বন্ধ করে দিয়েছে ভারত। এরপরই স্থানীয় সময় সোমবার হোয়াইট হাউসে নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে এসে এমন সিদ্ধান্তের জন্য নয়াদিল্লিকে কার্যত হুমকি দিলেন ট্রাম্প। এনডিটিভি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ট্রাম্প বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এমন সিদ্ধান্ত (হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন রপ্তানি বন্ধের) নিলে আমি অবাক হব। কারণ ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক খুবই ভালো। যুক্তরাষ্ট্রে ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম রপ্তানি বন্ধ করা হলে তার পাল্টা জবাব দেওয়া হবে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, আমি রোববার প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে কথা বলেছি। আমাদের মধ্যে খুব ভালো আলোচনাও হয়েছে। ওষুধ রপ্তানি বন্ধ তার সিদ্ধান্ত ছিল কিনা তা দেখব। তবে এটা তার সিদ্ধান্ত হলে আমি অবাক হব। বহু বছর ধরে ভারত বাণিজ্য ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের থেকে সুবিধা পেয়ে আসছে। হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন ওষুধকে ‘ঈশ্বরের দেওয়া উপহার’ হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন ট্রাম্প। এ ছাড়া করোনাভাইরাস মোকাবিলায় এ ওষুধটি ‘গেম চেঞ্জার’ হয়ে উঠতে পাওে বলেও উল্লেখ করেছিলেন তিনি। যদিও বৈজ্ঞানিকভাবে এটি প্রমাণিত নয় যে, হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন জাতীয় ওষুধ ব্যবহারে করোনাভাইরাস থেকে প্রতিকার মেলে। গত মাসের শেষ দিকে ভারতের কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চ করোনাভাইরাস আক্রান্তদের চিকিৎসায় নিয়োজিত চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন ব্যবহারের পরামর্শ দেয়। তার আগে ২৫ মার্চ ওষুধটি রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয় ভারত সরকার। ভারতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন চার হাজারের বেশি মানুষ। মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১০০।