মীরাক্কেল আক্কেল চ্যালেঞ্জার সিজন-৯ “চ্যাম্পিয়ন ” তিন খুদে শিল্পী
পোস্ট করেছেন: admin | প্রকাশিত হয়েছে: জুন ১৩, ২০১৬ , ১২:০২ অপরাহ্ণ | বিভাগ: বিনোদন
অনলাইন বিনোদন ডেস্ক:মিরাক্কেল আক্কেল চ্যালেঞ্জার ৯ এর চ্যাম্পিয়ান হলেন তিন ক্ষুদে কৌতুক শিল্পী আদিত্য, রক্তিমা আর সুমন। রোববার মধ্যরাতে ভারতের জি বাংলা টেলিভিশন চ্যানেলের অন্যতম জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানটির গ্রান্ড ফিনালের চ্যাম্পিয়ানের নাম ঘোষণা করেন অনুষ্ঠানের সঞ্চালক মীর আফসার ওরফে মীর। ফাইনালের বিজয়ীদের একটি ব্রান্ড নিউ প্রাইভেট কারের চাবি ও দুই লাখ টাকার চেক তুলে দেয়া হয়।
গত ছয়মাস ধরে এ অনুষ্ঠানটি চলে আসছিল। উপস্থাপক মীর আবসার আলী যখন মাইক্রোফোনে মিরাক্কেল আক্কেল চ্যালেঞ্জার ৯ এর চ্যাম্পিয়ান হিসেবে তিন শিশুর নাম ঘোষণা করেন তখন গ্রান্ড ফিনালের সেটে উপস্থিত দর্শকরা উল্লাসে ফেটে পড়ে। বাঘা বাঘা পারফরমারকে পিছু ফেলে চ্যাম্পিয়ান হয় আদিত্য রক্তিমা ও সুমন।
প্রথম রানার আপ হন বাকুড়ার উৎপল ঘোষ। যৌথভাবে তৃতীয় রানার আপ হন বাংলাদেশের দুই প্রতিযোগী সাইদুর রহমান পাভেল ও কামরুদ্দিন আরমান। প্রথম ও দ্বিতীয় রানার আপকে যথাক্রমে দেড় লাখ ও এক লাখ টাকার চেক দেয়া হয়।
গ্রান্ড ফিনালেতে ছয় প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেন বাকুড়া থেকে উৎপল ঘোষ, সাইদুর রহমান পাভেল, কামরুদ্দিন আরমান, এমদাদুল হক হৃদয়, রক্তিমা, আদিত্য আর সুমন (জুটি) ও ও বিশ্বজিৎ ও শান্তনু (জুটি)। প্রথম রাউন্ড শেষে বাদ পড়েন বিশ্বজিৎ ও শান্তনু। পরবর্তীতে দ্বিতীয় রাউন্ডে পাঁচজন একবার করে পারফরমেন্স করেন।
শ্রী নিকেতনের পক্ষ থেকে ছয় ফাইনালিস্টকেও ১৫ হাজার টাকা করে গিফট ভাউচার দেয়া হয়। ওসিয়া হারবালসের পক্ষ থেকেও গিফট ভাউচার দেয়া হয়। শ্রী নিকেতনের পক্ষ থেকে ছয় গ্রোমারকে পাঁচ হাজার টাকা করে পুরস্কার দেয়া হয়।
প্রথম রানার আপ হন বাকুড়ার উৎপল। ১ লাখ ৫০ হাজার টাকার চেক তুলে দেন রুদ্রনীল।
জিলেট মার্ক থ্রি কনসিস্টটেন্ট পারফরমার অব দ্যা সিরিজ হন উৎপল ঘোষ ও কামরুদ্দিন আরমান। তারা বিজয়ী হিসেবে পান তিন রাত চারদিন সিঙ্গাপুর যাওয়ার টিকেটসহ অন্যান্য খরচ। ফেসবুকের জনপ্রিয়তায় কনসিসটেন্ট পারফরমার হন সাইদুর রহমান পাভেল।
অনুষ্ঠানের উপস্থাপক মীর আফসার জানান, মিরাক্কেল আজ ১০ বছর পূর্ণ করলো। অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে কেক কেটে ১০ বছর পূর্তি উদযাপন করা হয়। অনুষ্ঠানের পরিচালক শুভঙ্কর চক্রবর্তীকে ক্রেস্ট উপহার দিয়ে বরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে বিচারকের দায়িত্বে ছিলেন শ্রীলেখা মিত্র, পরাণ বন্দোপাধ্যায় ও রজতব দত্ত।