আজকের দিন তারিখ ২৯শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রবিবার, ১৪ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
সারাদেশ মোংলায় ট্যুরিস্ট লঞ্চডুবি

মোংলায় ট্যুরিস্ট লঞ্চডুবি


পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: মে ২১, ২০২০ , ৮:৪১ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: সারাদেশ


দিনের শেষে ডেস্ক : ঘূর্ণিঝড় আম্পানের তাণ্ডবে মোংলায় পশুর নদে একটি ট্যুরিস্ট লঞ্চ ডুবে গেছে। এ ছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ কাঁচা ঘরবাড়ি ও গাছপালার ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। প্লাবিত হয়েছে চিংড়ি ঘেরও। তবে ঝড়ে এই এলাকায় এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। এদিকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে মোংলা বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকতে দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। সংকেত কমলেও আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে এ এলাকার ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া ও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি পড়ছে। মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার কমান্ডার ফখর উদ্দিন বলেন, ‘যেহেতু সিগনাল নামিয়ে আনা হয়েছে, এখন কর্তৃপক্ষের বৈঠক শেষে কখন থেকে বন্দরে পণ্য বোঝাই-খালাসের কাজ শুরু করা হবে, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রাহাত মান্নান জানান, সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয় নেওয়া লোকজনের মধ্যে আজ বৃহস্পতিবার সকালেও খাবার বিতরণ করা হয়েছে। বুধবার দিনে ও রাতে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে নেওয়া হয় ৪৮ হাজার মানুষ। ঝড় কিছুটা কমে যাওয়ায় তারা এখন নিজ বাড়িঘরে চলে যাচ্ছে। তবে ঝড়ে প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানদের কাছ থেকে তালিকা পাওয়ার পর জানানো হবে। এদিকে, বন্দরের পশুর চ্যানেলের তীরবর্তী কানাইনগর, কলাতলা, সুন্দরতলাসহ বিভিন্ন জায়গার দুর্বল বেড়িবাঁধের কয়েকটি জায়গা ধসে গেছে। তবে আবহাওয়া অফিসের দেওয়া পূর্বাভাস অনুযায়ী, কয়েক ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসের কথা বলা হলেও মোংলা সমুদ্রবন্দরের পশুর চ্যানেলসহ সুন্দরবনের নদ-নদীর পানির উচ্চতা অনেকটা স্বাভাবিকই ছিল। ফলে মোংলাসহ আশপাশের এলাকায় জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হওয়ার ঘটনা ঘটেনি। যদিও বেড়িবাঁধ ভেঙে কিংবা উপচে জোয়ারের যে পানি বাঁধের অভ্যন্তরে প্রবেশ করেছিল, তা আবার ভাটার সময় নেমে গেছে। পৌর কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে পৌরশহরের বিভিন্ন এলাকার মোড়ে মোড়ে দুর্গতদের মধ্যে রান্না করা খাবার বিতরণ করা হচ্ছে।এদিকে, আম্পানের তাণ্ডবে পূর্ব সুন্দরবনের ঢাংমারী স্টেশন, লাউডোব, দুবলা ও মরা পশুর ক্যাম্পের জেটি ও ঘরবাড়িসহ অন্যান্য স্থাপনা এবং বনের গাছপালার বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. বেলায়েত হোসেন। তবে এতে কোনো নৌকাডুবি, হতাহত অথবা জেলেদের নিখোঁজ হওয়ার খবর নেই বলেও জানান তিনি।