রাজধানীর সবখানেই যানজট ও মানুষের ভিড়
পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: আগস্ট ২, ২০২১ , ২:১৯ অপরাহ্ণ | বিভাগ: /////হাইলাইটস/////
দিনের শেষে ডেস্ক : কঠোর বিধিনিষেধ একদিন শিথিলতার পর রাজধানী আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরেছে। সোমবার (২ আগস্ট) রাজধানীর সর্বত্রই যানবাহন এবং মানুষের চাপ গত এক মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। রবিবার ১৬ ঘণ্টার জন্য গণপরিবহন চলাচলের অনুমতি দেওয়া হলেও আজ দুপুরে রাজধানীর সড়কে অবাধে যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন চলাচল করে। গাবতলী-গুলিস্থান, মোহাম্মদপুর-সাইনবোর্ড, মিরপুর- গুলিস্থানসহ সব রুটের গণপরিবহন আজ দুপুর পর্যন্ত চলতে দেখা গেছে। এর পাশাপাশি সিএনজি অটোরিক্সা চলাচল করে। রিকশা ও ব্যক্তিগত গাড়ির চলাচল বেড়ে যাওয়ায় সব রাস্তায় যানবাহনের চাপ বেড়েছে। শিল্প-কারখানা ও গার্মেন্টস খোলার পর অতিরিক্ত গাড়ির চাপে রাজধানীর বেশিরভাগ সড়কে যানজট সৃষ্টি হয়। রবিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত গণপরিবহন চলাচল এর অনুমতি থাকলেও আজ দুপুর ১২টার দিকেও যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন চলাচল করতে দেখা যায়। মহাখালী থেকে বিমানবন্দর সড়ক, ফার্মগেট থেকে মহাখালী, ফার্মগেট থেকে বাংলামটর, এলিফেন্ড রোডসহ সব সড়কেই ব্যক্তিগত গাড়ির ছড়াছড়ি। এছাড়া অন্যান্য যানবাহনের ব্যাপক চাপ থাকায় প্রতিটি সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়।
রাজধানীর সড়কগুলোতে পুলিশের নিষ্ক্রিয়তাও নজরে পড়ে। অন্যান্য দিন নগরীর যেসব জায়গায় পুলিশের চেকপোস্ট ছিল আজ সেখানে কোনো চেকপোস্ট এবং পুলিশের উপস্থিতি দেখা যায়নি। মোটকথা পুলিশের উদাসীনতা এবং সরকারি বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে সব ধরনের যানবাহন ঢাকার রাস্তায় চলাচল করছে। আজও নৌপথে ঢাকায় ফিরছেন। দূরপাল্লার লঞ্চ চলাচলে আজ ভোর পর্যন্ত অনুমতি থাকায় সকাল ৯টার মধ্যে লঞ্চগুলো সদরঘাট টার্মিনালে এসে পৌঁছে। যাত্রী নেমে যাওয়ার পর টার্মিনাল পুরো ফাঁকা হয়ে যায়। সকাল দশটার পর টার্মিনাল থেকে সব লঞ্চ সরিয়ে নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
নৌপথের পাশাপাশি মহাসড়কেও যানবাহনের ব্যাপক চাপ বেড়েছে। ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে আজ ২০ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে। এদিকে রাজধানীতে মানুষের চাপ বেড়ে যাওয়ায় এবং পর্যাপ্ত গণপরিবহন না থাকায় রাজধানীবাসী কর্মস্থলে এবং জরুরি কাজে যাওয়ার পথের চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়েছেন। যানবাহনের জন্য রীতিমতো যুদ্ধ করতে হয়। বাস বন্ধ রেখে অফিস খুলে দেওয়ায় মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। সকাল সাড়ে ৯টায় রামপুরা এলাকায় পিকআপের যাত্রী হয়ে লোকজনকে অফিসে যেতে হয়। মানুষে ঠাসা ছোট পিকআপটি মতিঝিল হয়ে যাত্রাবাড়ীর দিকে চলে যায়। যাত্রাবাড়ী এলাকায় রিকশাভ্যানে পাঁচ টাকার ভাড়া ৫০ টাকা দিয়ে লোকজনকে যেতে হয়েছে। তারপরে সবাই যেতে পারেনি, হাজার হাজার মানুষ পায়ে হেঁটেই কর্মস্থলের রওনা হয়। ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেলের ভাড়া ছিল আকাশচুম্বী। জনপ্রতি ১০০ টাকা করে ভাড়ায় রায়েরবাগ-শনির আখড়া যাত্রী পরিবহন করছে ভ্যানগাড়িগুলো। এই দূরত্বে বাস ভাড়া ১৫ টাকা।