রামমন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনে ২৯ বছর পর অযোধ্যায় মোদী
পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: আগস্ট ৫, ২০২০ , ২:৫৬ অপরাহ্ণ | বিভাগ: সারাবিশ্ব
দিনের শেষে ডেস্ক : রামমন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২৯ বছর পর উত্তর প্রদেশের অযোধ্যায় পা রেখেছেন।
বুধবার স্থানীয় সময় দুপুরে ৪০ কেজি ওজনের একটি রুপার ইটের মাধ্যমে তিনি মন্দির নির্মাণের আনুষ্ঠানিকতা শুরু করবেন বলে জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো।
যে জমিতে রাম মন্দির নির্মিত হচ্ছে তা নিয়ে কয়েক দশক ধরে হিন্দু ও মুসলমানদের বিরোধ ছিল। ১৯৯২ সালে উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা জমিটিতে থাকা ষোড়শ শতকের বাবরি মসজিদ ভেঙেও ফেলে। জমির মালিকানা নিয়ে কয়েক দশকের বিরোধ শেষে গত বছর ভারতের সুপ্রিম কোর্ট জমিটিতে রামমন্দির নির্মাণে সবুজ সংকেত দেয়। মসজিদ নির্মাণে মুসলমানদের অযোধ্যারই অন্য কোথাও জমি দিতে বলে তারা।
স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, মন্দির নির্মাণে ভারতের বিভিন্ন অংশের লাখ লাখ ভক্ত সোনা-রুপার কয়েন, ইট ও বার পাঠিয়েছে। এসব মূল্যবান জিনিস পাহারায় পুলিশও মোতায়েন করা হয়েছে।
মন্দিরের জন্য কয়েক বছর ধরে ভক্তদের কাছ থেকে ‘শ্রী রাম’ লেখা খোদাই করা দুই লাখ ইট সংগ্রহ করা হয়েছে, রামমন্দিরের ভিত ওই ইটগুলো দিয়েই তৈরি হবে বলে জানিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।
স্থপতি চন্দ্রকান্ত সোমপুরা দ্য প্রিন্টকে বলেছেন, মন্দিরটি উত্তর ভারতের জনপ্রিয় ‘নাগারা’ শৈলীতে নির্মিত হবে। মন্দিরের যে অংশে মূল দেবতার মূর্তি থাকবে সেটা হবে অষ্টভুজাকৃতির। তিন তলা বিশিষ্ট এ মন্দিরে থাকবে ৩৬৬টি পিলার ও ৫টি গম্বুজ।
রামমন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর ঘিরে অযোধ্যায় আচার-অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে সোমবার থেকেই। মন্দিরের কাজ শেষ হতে প্রায় সাড়ে তিন বছর সময় লাগবে বলে আনন্দবাজার জানিয়েছে। কেবল মন্দির নির্মাণেই খরচ পড়বে প্রায় তিনশ কোটি রূপি। মন্দিরের আশপাশের অন্যান্য স্থাপনা ও উন্নয়ন কাজে ব্যয় হবে আরও হাজার কোটি রুপি।
সূচি অনুযায়ী, বুধবার লখনৌ হয়ে মোদী অযোধ্যায় নামেন। এরপর যান হনুমানগরি মন্দিরে; সেখান থেকে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে। তার সঙ্গে উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ছাড়াও রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের মোহন ভাগবত ও অন্যান্য আমন্ত্রিত অতিথিরা ছিলেন।
মোদী যে রুপার ইটটি দিয়ে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন, ভূমিপূজার পর সেটি সরিয়ে নেওয়া হবে বলে আয়োজকরা জানিয়েছেন।