দিনের শেষে ডেস্ক ;  রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে পৃথক দুটি লটে ৮০ হাজার মেট্রিক টন মিউরেট-অব-পটাশ (এমওপি) সার আমদানির দুটি প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। এসব সার আমদানিতে ব্যয় হবে ২৬০ কোটি ৭ লাখ ২০ হাজার টাকা। অন্যদিকে, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ তলা প্রশাসনিক ভবন নির্মাণের একটি প্রস্তাব ফেরত পাঠিয়েছে কমিটি। বৃহস্পতিবার (১১এপ্রিল) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় তিনটি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে। অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় কমিটির সদস্য, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সচিব, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলন।

সভা শেষে অনুমোদিত প্রস্তাবগুলোর বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খান। তিনি বলেন,রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির আওতায় কানাডিয়ান কমার্শিয়াল করপোরেশন থেকে তৃতীয় লটে ৪০ হাজার মেট্রিক টন মিউরেট-অব- পটাশ (এমওপি) সার আমদানির প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। কানাডা থেকে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির মাধ্যমে এমওপি সার আমদানির বিষয়ে বিএডিসি‘র প্রস্তাব সিসিইএ সভায় নীতিগতভাবে অনুমোদিত হয়। ইতোপূর্বে সম্পাদিত চুক্তির কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়ায় বিদ্যমান চুক্তির শর্তগুলো অভিন্ন রেখে সিসিইএ সভার অনুমোদনক্রমে বিগত ২০২৪ সালের ৩ এপ্রিল তারিখে পুনরায় চুক্তি নবায়ন করা হয়। সার আমদানি চুক্তি অনুযায়ী মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি অনুসারে কানাডা থেকে তৃতীয় লটে ৪০ হাজার (+১০%) মেট্রিক টন এমওপি সার আমদানিতে ব্যয় হবে ১ কোটি ১০ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৩০ কোটি ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা। প্রতি মেট্রিক টন এমওপি সারের দাম ২৭৫.৫০ মার্কিন ডলার। তিনি বলেন,রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির আওতায় কানাডা থেকে  চতুর্থ লটে ৪০ হাজার মেট্রিক টন এমওপি সার আমদানির আরো একটি প্রস্তাবে কমিটি অনুমোদন করেছে। এর আগে সম্পাদিত চুক্তির কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়ায় বিদ্যমান চুক্তির শর্তগুলো অভিন্ন রেখে সিসিইএ সভার অনুমোদনক্রমে গত ৩ এপ্রিল পুনরায় চুক্তি নবায়ন করা হয়। সার আমদানি চুক্তিতে উল্লিখিত মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি অনুসারে কানাডা থেকে চতুর্থ লটে ৪০ হাজার (+১০%) মেট্রিক টন এমওপি সার বর্তমান আন্তর্জাতিক বাজারমূল্যে কিনতে ব্যয় হবে ১ কোটি ১০ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৩০ কোটি ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা। প্রতি মেট্রিক টন এমওপি সারের দাম পড়বে ২৭৫.৫০ মার্কিন ডলার।

সচিব বলেন, সভায় ‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়ন’ প্রকল্পের আওতায় একটি ১০তলা প্রশাসনিক ভবন নির্মাণের পূর্ত কাজ ক্রয়ের প্রস্তাব ফেরত পাঠিয়েছে কমিটি। প্রকল্পের আওতায় একটি ১০ তলা প্রশাসনিক ভবন নির্মাণের পূর্ত কাজ ক্রয়ের জন্য উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হলে চারটি প্রতিষ্ঠান দরপ্রস্তাব জমা দেয়। তার মধ্যে দুটি কারিগরিভাবে রেসপনসিভ হয়। দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসি রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে (১) এমবিপিএল এবং (২) এটিসিএল নাম প্রস্তাব করলেও কমিটি আরো যাচাই-বাছাই করার জন্য প্রস্তাবটি ফেরত পাঠায়। এ প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছিল ১৪৮ কোটি ৪৪ লাখ ৬৭ হাজার ১৯১ টাকা।