আজকের দিন তারিখ ২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সোমবার, ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
সারাদেশ লক্ষ্মীপুরে মাদ্রাসায় খাবার খেয়ে বমি, ছাত্রের রহস্যজনক মৃত্যু

লক্ষ্মীপুরে মাদ্রাসায় খাবার খেয়ে বমি, ছাত্রের রহস্যজনক মৃত্যু


পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: মার্চ ১৮, ২০২১ , ১১:৫৯ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: সারাদেশ


রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি : করোনাকালে স্কুল বন্ধ থাকায় লক্ষ্মীপুরের রায়পুরের স্থানীয় নুরানি মাদ্রাসায় কোরআন শিক্ষার জন্য গত ছয় মাস আগে ভর্তি হয় মো. মুন্না (১৩)। অন্য শিশুদের সঙ্গে মাদ্রাসার আবাসিক কক্ষেই থাকত সে। বুধবার দুপুর ১টায় ভাত খাওয়ার পর মাদ্রাসার ছাদে খেলতে গিয়ে কয়েকবার বমি করে লুটিয়ে পড়ে মুন্না। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের-পশ্চিম কেরোয়া গ্রামের আফিয়া-হারুন নুরানি হাফেজিয়া মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে।পরে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এদিকে ওই ছাত্রের রহস্যজনকভাবে মৃত্যুর ঘটনার পর থেকে এলাকায় ক্ষোভ বিরাজ করছে।
নিহত কিশোর মুন্না উপজেলার কেরোয়া গ্রামের সৌদি প্রবাসী কামাল হোসেন ও মমতাজ বেগম দম্পতির ছেলে। এদিকে এ ঘটনার পর মাদ্রাসা সুপার মাওলানা মো. মোজাম্মেল হোসেনকে দুপুরেই আটক করেছে পুলিশ। নিহত শিশুর মা মমতাজ বেগমের ভাষ্য— বড় ছেলে ঢাকার উত্তরা একটি কলেজে স্নাকোত্তরে পড়ছে। মেঝ ছেলে স্থানীয় একটি স্কুলের অষ্টম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত। করোনার সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় মুন্নাকে ওই মাদ্রাসায় কোরআন শিক্ষার জন্য গত আগস্ট মাসে ভর্তি করান তিনি। বুধবার দুপুরে ওই মাদ্রাসায় খাওয়ার পর ভবনের ছাদের ওপর অন্য সহপাঠীদের সঙ্গে খেলা করার সময় প্রচুর বমি করে মাটিতে লুটে পড়ে মুন্না। এ অবস্থায় শিক্ষকরা দ্রুত মুন্নাকে উদ্ধার করে রায়পুর সরকারি হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তবে কী কারণে শিক্ষার্থী মারা যায়, তা বলা যাচ্ছে না বলে সরকারি হাসপাতালের কর্তব্যরত ডা. সিরাজুম মুনিরা জানান। নিহত মুন্নার মা মমতাজ বেগম বলেন, আমার আদরের বাচ্চাকে মাদ্রাসায় হত্যা করা হয়েছে। তবে কীভাবে মারছে তা বুঝতে পারছি না। যারা হত্যা করেছে, তাদের বিচার চাই। রায়পুর থানার ওসি আবদুল জলিল জানান, কীভাবে এমন ঘটনা ঘটল, তা এখনও নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। ঘটনার তদন্ত করে প্রকৃত আসামিদের আইনের আওতায় আনা হবে।
তবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মাদ্রাসা সুপার মো. মোজাম্মেল হোসেনকে আটক করা হয়েছে। নিহত মাদ্রাসাছাত্র মুন্নার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় ওই পরিবারের পক্ষে এখনও কোনো মামলা হয়নি।