লাগামহীন কর থেকে অব্যাহতি চান বেসরকারি চাকরিজীবীরা
পোস্ট করেছেন: admin | প্রকাশিত হয়েছে: জুন ১১, ২০১৬ , ১:৩৫ অপরাহ্ণ | বিভাগ: জাতীয়
কাগজ অনলাইন প্রতিবেদক: সদ্যঘোষিত বাজেটে বেসরকারি চাকরিজীবীদের উপর লাগামহীন করারোপ করা হয়েছে, যা তাদের প্রতিদিনকার জীবনযাপনকে বিপন্ন করে তুলবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে কয়েকটি বেসরকারি চাকরিজীবী ইউনিয়ন।
শনিবার (১১ জুন) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনী মিলনায়তনে বেসরকারি বেসরকারি চাকরিজীবীদের উপর থেকে এ লাগামহীন কর তুলে নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
গ্রামীণফোন এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন, বাংলালিংক এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন, এপিএম গ্লোবাল লজিস্টিক বাংলাদেশ এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন, বিএটি এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন, অ্যাসেঞ্জার এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন বাংলাদেশসহ কয়েকটি কোম্পানির চাকরিজীবীরা এতে অংশ নেন।
বক্তারা বলেন, বেসরকারি চাকরিজীবীদের একমাত্র আয় শ্রমের বিনিময়ে প্রাপ্ত বেতন-ভাতা। সেই বেতন ভাতার উপর অনেকদিন ধরেই আমরা আয়কর দিয়ে যাচ্ছি এবং রিটার্ন দাখিল করছি। এরই মধ্যে সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন দ্বিগুণ হয়েছে। আমরা আশা করেছিলাম বেসরকারি সেক্টরে কোম্পানিগুলোকে অন্তত একটি সাধারণ নির্দেশনা দেওয়া হবে। যেন বেসরকারি সেক্টরে বেতন-ভাতাদি যৌক্তিক পর্যায়ে নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু সেটা তো আসেইনি, উল্টো আমাদের উপর এবারের বাজেটে করের দ্বিগুণ বোঝা চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে।
তারা বলেন, এ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটে অর্থমন্ত্রী বেসরকারি খাতের কর্মজীবীদের জন্য পেনশন প্রকল্প করবেন বলেছেন। এটি নিঃসন্দেহে ভালো খবর। তবে বেসরকারি চাকরিজীবীদের চাকরির নিশ্চয়তাই প্রশ্নবিদ্ধ। যেখানে চাকরির নিশ্চয়তা নেই সেখানে পেনশন বিষয়টি কীভাবে বাস্তবায়িত হবে তা ভবিষ্যতই বলবে।
বক্তারা বলেন, দেশে করদাতা মাত্র ১২ লাখ মানুষ। আগামী বছরে করদাতার সংখ্যা ১২ লাখ থেকে বাড়িয়ে ১৫ লাখে উন্নীত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে সরকার। সেখানে যারা আয়কর দেয় না তাদের আয়কর দিতে বাধ্য করার পরিবর্তে আমরা যারা আয়কর দেই, তাদের উপর খড়্গহস্ত হয়েছেন বলেই প্রতীয়মান হয়।
নতুন প্রস্তাব অনুযায়ী, ছোট করদাতাদের কর রেয়াত নেওয়ার জন্য বিনিয়োগসীমা কমেছে। এতে ওই করদাতার করযোগ্য আয়ের পরিমাণ বেড়ে যাবে। বার্ষিক রিটার্ন জমা দেওয়ার সময় আগের চেয়ে বেশি কর দিতে হবে। অর্থমন্ত্রী এবার কর রেয়াত নেওয়ার হারেও পরিবর্তন করার প্রস্তাব দিয়েছেন।
কোনো করদাতার আয় ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত হলে ১৫ শতাংশ হারেকর রেয়াত পাবেন। কর ছাড়ের জন্য ওই করদাতা ২ লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করতে পারবেন। এতে বছর শেষে ৩০ হাজার পর্যন্ত কর রেয়াত নিতে পারবেন। আবার কোনো করদাতার যদি বার্ষিক আয় ১০ থেকে ৩০ লাখ টাকা হয়, তবে বিনিয়োগ সুবিধার প্রথম ২ লাখ টাকার ১৫ শতাংশ হারে কর রেয়াত পাবেন। বাকি টাকার ওপর ১২ শতাংশ হারে কর রেয়াত পাবেন।
এ পদক্ষেপের ফলে বেসরকারি চাকরিজীবী করদাতাদের করের বোঝা বাড়বে।
পরিবার পরিজন নিয়ে বিপন্ন বোধ করবার আগেই বহুমুখী আয়কর থেকে রেহাই দিতে সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান বেসরকারি চাকরিজীবীরা।